**************************************************************************************************************************************************** ****************************************************************************************************************************************************

দেখেনিন চাইনার সেই বিখ্যাত প্রাচিরের ইতিহাস সহ সকল পাতিহাস the great wall china

 
চীনের প্রাচীর রাজা-বাদশাহরা সব সময়ই নিজ নিজ রাজ্যকে বহিঃশত্র“র হাত থেকে রক্ষা করতে থাকতেন মরিয়া। আধুনিক জাতিরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। প্রাচীনকালে সীমানা নিষ্ককণ্টক রাখতে পারলেই রাজ মুকুট রক্ষা
পেত। আধুনিককালের অনেকটা সময় জুড়েও দেশ দখল আর রার বিষয়টি সীমানাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে।
বেশি দিন আগের কথা নয়, প্রতিবেশীর হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ইউরোপে জিগফ্রিড লাইন ম্যাজিনো লাইনের মতো আরো অনেক দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। উন্মত্ত হিটলার আর ফ্যাসিবাদী মুসোলিনির আগ্রাসন ঠেকাতে শঙ্কিত অনেক ইউরোপীয় দেশ এসব দেয়ালের ওপর নির্ভর করেছে। বার্লিন প্রাচীর ভাঙা হয়েছে অল্প কিছু দিন আগে। পুরো বিশ্বেই প্রাচীর দিয়ে সীমানা সুরা প্রচেষ্টার নজির রয়েছে। কিন্তু চীনারা মাতৃভূমিকে আক্রমণকারী জাতি থেকে রা করতে গিয়ে দীর্ঘ ২ হাজার বছরে যে দেয়াল নির্মাণ করেছে, তা সত্যিই অতুলনীয়। খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতকে প্রকাণ্ড এক প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে তারা। মঙ্গল তাতার আর উজবেকদের থাবা থেকে বিশাল চীনা সাম্রাজ্যকে রক্ষা করতে সাড়ে ৬ হাজার কিলোমিটারেরও ওপর এক অনন্য দেয়াল নির্মাণ করে তারা। মধ্যযুগের সপ্তম আশ্চর্যের এটি অন্যতম। গ্রেট ওয়াল নামে খ্যাত চীনা প্রাচীরটি মানুষ নির্মিত এ যাবৎকালের সবচেয়ে বৃহৎ স্থাপনা। জাতিসঙ্ঘের অন্যতম সংস্থা ইউনেস্কো ১৯৮৭ সালে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
দ্য গ্রেট ওয়াল
গানসু প্রদেশের জিয়াউগুয়ান পাস থেকে শুরু হয়ে পূর্বে হেবাই প্রদেশের সানহাইগুয়ান পাসে এসে শেষ হয়েছে গ্রেট ওয়াল। এর দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৭০০ কিলোমিটার। এটি মূলত পাথর এবং মাটি দিয়ে তৈরি। খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম অব্দ থেকে ষোড়শ শতক পর্যন্ত দীর্ঘ ২ হাজার বছর ধরে এটি নির্মাণ, পুনঃ নির্মাণ আর মেরামত হয়। হাজার হাজার মাইলের বিশাল প্রাচীর নির্মাণে অকল্পনীয় সরঞ্জাম লেগেছে। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা তখনকার দিনে কল্পনাও করা যেত না। এত বেশি পরিমাণ নির্মাণসামগ্রী বয়ে নিয়ে যাওয়া ছিল প্রায় দুঃসাধ্য। তাই নির্ভর করা হতো স্থানীয় উপায় উপকরণের ওপর। পর্বতসঙ্কুল এলাকায় পাথর এবং সমতল এলাকায় প্রক্রিয়াজাত মাটির ঢেলা দেয়াল নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে। মূলত চীন (qin) রাজবংশ এভাবে দেয়াল নির্মাণ করে। পরবর্তী হান, সুই এবং জিন রাজবংশ এ দেয়ালের মেরামত, পুনঃ নির্মাণ এবং সম্প্রসারণের কাজ করে। মধ্যযুগে প্রতিষ্ঠিত চীনা রাজবংশ মিঙ্গ পর্যুদস্ত হতে থাকে মঙ্গলদের হাতে। বেশ কয়েকবার পরাজয়ও বরণ করে। তখন মিঙ্গ রাজারা মঙ্গলদের চীনা সীমানার বাইরে রাখার কৌশল অবলম্বন করে। প্রাচীন চীনের গ্রেট ওয়াল পুনঃ নির্মাণ ও মেরামতের বড় ধরনের উদ্যোগ নেয় তারা। শুরু করে একটি টেকসই এবং অলঙ্ঘনীয় প্রাচীর নির্মাণ। পূর্বে নির্মিত দেয়ালকে মূল ধরে এ দেয়াল নির্মাণের কাজ এগিয়ে যায়। এবার সাধারণ মাটির পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় পাথর আর ইট।

অভ্যন্তরীণ ও বিরোধী শক্তিগুলো রাজাদের বিরুদ্ধে প্রায়ই যড়যন্ত্রে লিপ্ত হতো। বিদেশী শক্তিকে ডেকে আনত দেশীয় ক্রীড়নকরা। এ জন্য রাজারা দেশীয় ও বহিঃশক্তির হাত থেকে রাজত্বকে সুরক্ষিত রাখতে দেয়াল নির্মাণ করে। এর মাধ্যমে তারা হাজার হাজার বছর ধরে চলা চীনা সঙ্কটের একটি সমাধান করতে চেয়েছিল। বিশেষত মঙ্গোলীয় আগ্রাসন প্রতিহত করাই ছিল এর প্রধান ল্ক্ষ্য। মঙ্গলরা ১২৭৯ সালে একবার চীন দখল করে। তাদের প্রতিষ্ঠিত ইউয়ান রাজবংশ ১৩৬৮ সাল পর্যন্ত বিশাল চীন সাম্রাজ্য শাসন করে। এরপর মিঙ্গদের পরাস্ত করে বহিরাগত মাঞ্চুরা ১৬৪৪ সালে কিঙ্গ রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করে। অবশ্য এরপর আর নতুন করে গ্রেটওয়াল নির্মাণ বা সংস্কারের কাজ হয়নি। কারণ এরা নিজেরাই তাদের রাজত্বকে চীনের বাইরে নিয়ে যায়। তারা ১৯১১ সাল পর্যন্ত চীন শাসন করে।
দেয়ালের ইতিহাস
কখন এ দেয়ালের নির্মাণ শুরু, তা নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। তবে সামরিক উদ্দেশ্যে নির্মিত দেয়ালের ল্য ছিল আক্রমণকারী উপজাতি গোষ্ঠীগুলোর থাবা থেকে চীনকে রা করা। সাধারণভাবে মনে করা হতো; খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে চীন (qin) রাজবংশ দেয়াল নির্মাণ শুরু করে। পরে অনুসন্ধান ও প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, আনুমানিক আরো ৪০০ বছর আগে এটির নির্মাণ শুরু হয়। প্রাচীন জু নামক রাজবংশের শুরুর দিকে। পারবর্তী রাজবংশ ধারাবাহিকভাবে দেয়াল নির্মাণের কাজ এগিয়ে নেয়। প্রকৃতপে পুরোদমে গ্রেট ওয়াল নির্মাণ শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকেই। চিন সি হুয়াং ২২১ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে চীনের সব রাজাকে পরাস্ত করে একটি একীভূত চীনা রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। সামন্তবাদী স্থানীয় রাজাদের দমন করে তিনি একটি কেন্দ্রীয় শাসন চালু করেন। তিনি আগের সব সীমানা দেয়াল মুছে দেয়ার নির্দেশ দেন। সাথে সাথে বৃহত্তর চীনকে হামলাকারীদের হাত থেকে রা করতে গ্রেট ওয়াল নির্মাণেরও নির্দেশ দেন। সেখানে আক্রমণকারী জাতিটির নাম জিয়াংনু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তখন গ্রেট ওয়ালের নাম দেয়া হয় ‘ওয়ান লি কাঙ্গ ক্যাঙ্গ’। অর্থ করলে দাঁড়ায় ৫ হাজার কিলোমিটার লম্বা দেয়াল। তখন ৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত নির্মাণ করা হয় বলে এটির এমন নামকরণ করা হয়।
এরপর প্রথম শতাব্দীতে চীনা রাজবংশ হান এটির নির্মাণ ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নেয়। মাঝখানে ১ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে বেশ কয়েকটি রাজবংশ দেয়াল মেরামত পুনঃ নির্মাণ ও বর্ধিতকরণের কাজ চালিয়ে যায়। এটা পূর্ণতা পায় চৌদ্দ শতকে শুরু হওয়া মিঙ্গ রাজবংশের সময়। বর্তমানে গ্রেট ওয়ালের বেশিরভাগই এ রাজবংশের আমলে নির্মিত। উচ্চতা ১০ মিটার এবং ৫ মিটার চওড়া। প্রকাণ্ড এ প্রাচীন মানব কর্মটি মাথা উঁচু করে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে। ঘোষণা করছে চীনা ইতিহাস, সংস্কৃতি আর উন্নয়নের উচ্চতার স্মারক হিসেবে। এ সময় উত্তর দিকের যাযাবর জাতিগুলো অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। মিঙ্গরা ১৮ বার দেয়ালটি পুনঃ নির্মাণের কাজ করে। তবুও শেষ রা হয়নি মিঙ্গদের। ১৬৪৪ সালে মাঞ্চুরিয়রা দেয়াল অতিক্রম করে চীনে ঢুকে পড়ে। এক চীনা জেলারেলের বিশ্বাসঘাতকতাই এর জন্য দায়ী। মাঞ্চুরা ঘুষ দিয়ে তাকে বশীভূত করে সানহাই পাসের চাবি হাত করে। মাঞ্চুরা বেইজিং অবরোধ করে এতে মিঙ্গরা সহজে পরাস্ত হয়। মাঞ্চুদের নেতৃত্বে কিন রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করা হয়। তারা চীনের সীমানাকে গ্রেট ওয়ালের বাইরেও বিস্তৃত করে। মাঞ্চুরিয়াকে চীনা সম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে।
নির্মাণশৈলী
গ্রেট ওয়ালের বিশাল আকৃতি আর অনন্য নির্মাণশৈলী বিস্ময়কর। খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে জু রাজারা যখন এর নির্মাণকাজ শুরু করেন তাদের ল্য ছিল আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অর্থাৎ চীনের ঠিক যে প্রদেশটিতে তাদের বসবাস ছিল সেটির নিরাপত্তা বিধান। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় বা তৃতীয় শতকে চীন (qin) রাজারা প্রথম সমগ্র চীনকে কেন্দ্র করে দেয়াল নির্মাণ করে নিরাপত্তাব্যূহ তৈরির উদ্যোগ নেয়। শুরু হয় এর আগে বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে নির্মিত দেয়ালগুলো জোড়া লাগানোর কাজ। প্রাচীনকালের সে সময়টায় সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে ছিল তলোয়ার, বর্শা ও বল্লমের মতো অতি সাধারণ কিছু অস্ত্র। সে তুলনায় দেয়ালের নির্মাণ কৌশল দেখে বিস্মিত হতে হয়। তখন চীনাদের নির্মাণেেত্র প্রযুক্তিজ্ঞান তাক লাগানোর মতো। স্থানীয় উপায় উপকরণকে কাজে লাগিয়ে তারা প্রকাণ্ড দেয়ালের নির্মাণ এগিয়ে নেয়। তারা এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যা মাটি পাথর বা অন্য কোনো পদার্থকে টেকসই নির্মাণসামগ্রীতে রূপান্তর করে। নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর সুরতি ফটক। এগুলো দুর্গের বড় দরজার মতো। দায়িত্বে নিয়োজিত ফৌজের কাছে এর চাবি থাকত। প্রয়োজনে সৈন্য এবং সরঞ্জাম নিয়ে বাইরে যাওয়া যেত। দেয়ালের ওপর কিছু দূর পরপর ওয়াচ টাওয়ার। থাকত সিগন্যাল টাওয়ার। বিশেষ কায়দায় আগুন ও ধোঁয়ার মাধ্যমে সঙ্কেত পাঠানো হতো। আগুনে পুড়িয়ে তৈরি ইট ব্যবহারের আগে দেয়াল নির্মাণে প্রাচীন চীনারা মাটি পাথর এবং কাঠ ব্যবহার করেছে। মিঙ্গ রাজারা ইটের পাশাপাশি টাইলস, চুনাপাথর থেকে তৈরি সিমেন্ট এবং পাথর ব্যবহার করে। ইটের আকার ও ওজন প্রাচীর তৈরির কাজকে দ্রুত ও সহজ করে। পাথরকে চতুর্ভুজাকৃতিতে কেটে দেয়ালের ভিত্তিতে লাগানো হতো। বিশেষ করে প্রান্তভাগ এবং ফটকে টেকসই পাথর ব্যবহার হতো। বেইসে দেয়ালটি ২১.৩ ফিট চওড়া। উপরে দিকে কিছুটা সরু হয়ে তা শীর্ষে ১৯ ফুট। এর গড় উচ্চতা ২৩ থেকে ২৬ ফুট, তবে উঁচুভূমির মাঝ দিয়ে যাওয়ার সময় উচ্চতা বেশ খানিকটা কম।
পর্যবেক্ষণ টাওয়ার
দেয়ালের নির্দিষ্ট দূরত্বে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ছিল। এগুলোতে অস্ত্রশস্ত্র গুদামজাত থাকত। এখানে ক্যাম্প করে সৈন্যরাও বসবাস করত। এগুলো থেকে ধোঁয়া উদ্গিরণের মাধ্যমে সঙ্কেত পাঠানো হতো। পর্যবেণের সুবিদার্থে পাহাড়ের চূড়া বা উঁচু স্থানে ওয়াচ টাওয়ারগুলো স্থাপন করা হতো। সেনা চৌকিগুলোর মাঝে যোগাযোগ এবং শত্র“দের গতিবিধি লক্ষ্য রাখা হতো এ টাওয়ার থেকে। সেনা গ্যারিসনে নিয়মিত রিপোর্ট করা হতো এখান থেকে।
গ্রেট ওয়াল কিছু কাহিনী
গ্রেট ওয়াল নির্মাণে যে শ্রম শক্তি ব্যবহৃত হয়েছে, তা ওয়ালের চেয়েও বিস্ময়কর। লাখ লাখ মানুষের ঘাম-রক্ত আর অনেক মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে এটি গড়ে ওঠে তিলে তিলে। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে চীন (qin) রাজত্বকালে জেনারেল মেঙ্গ তিয়ানের ১০ বছরে ৩ লাখের বেশি শ্রমিক এ কাজ করে। ষষ্ঠ শতকে কি নামক অন্য এক রাজবংশের সময়ে ৪৫০ কিলোমিটার দেয়াল নির্মাণে ১ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিককে জোরপূর্বক খাটানো হয়। ভারি পরিশ্রমের এ কাজ করতে গিয়ে অসংখ্য শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের কবরও দেয়া হয়েছে দেয়ালের ভিত্তিমূলে। গ্রেট ওয়াল নির্মাণের সাথে অনেক করুণ ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। যেগুলো রূপকথার মতো চীনাদের মাঝে বেঁচে আছে। এক নারীর স্বামীকে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণে নিয়োগ করা হয়। স্বামীর খোঁজে বেরিয়ে পড়েন তিনি। অনেক দিন খোঁজখুঁজির পর যেই মুহূর্তে মহিলা স্বামীকে পেল, তখন তার স্বামী আর জীবিত নেই। মহিলার করুণ বিলাপ আর আহাজারি আকাশ-বাতাস ভারী করে তোলে। এর ফলেই দেয়ালের একটি অংশ ধসে পড়ে বলে অনেকের বিশ্বাস।

অন্য একটি ঘটনা মিঙ্গ রাজবংশের সময়ের। কাইজাং নামের এক লোক গণিতে অত্যন্ত দ ছিলেন। একটি দেয়াল নির্মাণে ৯৯ হাজার ৯৯৯টি ইট লাগবে বলে হিসাব কষে বলে দিলেন। দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা তার কথায় বিশ্বাস করলেন না। ওই কর্মকর্তা হুমকি দিলেন, যদি একটি ইটও কম-বেশি লাগে তাহলে সবাইকে ৩ বছরের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। নির্মাণ শেষে দেখা গেল শহরের ফটকে একটি ইট উদ্বৃত্ত রয়ে গেছে। কর্মকর্তা অত্যন্ত খুশি; তাদের শাস্তি গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হতে বললেন। দ গাণিতিক বললেন ওই ইটও গণনার মধ্যেই আছে এবং ইচ্ছে করেই সেটা ওখানে রাখা আছে। যদি ইটটি সেখান থেকে সরানো হয় তাহলে ধসে পড়বে দেয়াল। অবিশ্বাস্য হলেও এখনো সেই ইটটি এ ঘটনার সাী হয়ে আছে। কেউ নড়ায়নি সেটি।
রাজধানী বেইজিংয়ে গ্রেট ওয়াল
রাজধানী বেইজিংয়ের পাশে দেয়ালটি অনেক বেশি মজবুত করে নির্মিত। বর্তমান সময়ে এটি পর্যটক আকর্ষণীয় স্পট। প্রাচীনকালেও চীনা সাম্রাজ্যের জন্য এলাকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ অংশটি রার জন্য প্রশিক্ষিত বাহিনী ছিল তখন থেকে। এখানে গ্রেট ওয়ালের উচ্চতা ৭ দশমিক ৮ মিটার। প্রস্থে ৫ মিটার। এমনভাবে দেয়ালটি নির্মিত কোনো মানুষের পে তা টপকানো দুঃসাধ্য। এমন কি কোনো ধরনের মই দিয়েও সেটি অতিক্রম করা যাবে না। ১১ কিলোমিটার লম্বা এ দেয়ালে রয়েছে ৬৭টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। গড়ে এটি সমুদ্র সমতল থেকে ৯৮০ মিটার উঁচু।

হুমকির মুখে গ্রেট ওয়াল
গ্রেটওয়াল হুমকির মুখে পড়ছে। চায়না গ্রেট ওয়াল একাডেমি এটি রার ডাক দিয়েছে। তারা দেয়ালের ১০১টি ভাগে একটি জরিপ চালিয়েছে। অনেক জায়গায় এ মেগা স্ট্রাকচারটির অস্তিত্ব শঙ্কার মধ্যে পড়েছে। মানুষের অবিবেচিত কর্মকাণ্ড এর মূল নকশা তিগ্রস্ত করছে। মাত্র ৩০ শতাংশ দেয়াল এ ধরনের তির হুমকির বাইরে বলে জরিপের ফলাফলে দেখা যায়।
 
Thanks%2BFor%2Breading%2Bthis%2BPost আপনার যদি ব্লগ অথবা ওয়েব সাইট থাকে তাইলে আপনার জন্যই উক্ত পোষ্ট।ওয়েব সাইট ও পাওয়ার প্রেজেন্ট সহ আরো অনেক কজের জন্য ছবিকে এবং লেখাকে এনিমেশনে...
hh আপনার যদি ব্লগ অথবা ওয়েব সাইট থাকে তাইলে আপনার জন্যই উক্ত পোষ্ট।ওয়েব সাইট ও পাওয়ার প্রেজেন্ট সহ আরো অনেক কজের জন্য ছবিকে এবং লেখাকে এনিমেশনে...

No comments:

Post a Comment