**************************************************************************************************************************************************** ****************************************************************************************************************************************************
Showing posts with label ভিন্ন. Show all posts
Showing posts with label ভিন্ন. Show all posts

ভালো খেতে ইচ্ছা করছে যে কোন কমিউনিটি সেন্টারে ঢুকে পড়ুন বিনা দাওয়াতে!!

সেলফি উইথ বর কনে
বিনা দাওয়াতে বিয়ে খাওয়ার কয়েকটি টিপস


অনেকেই পেটের দায়ে কিংবা মনের আনন্দে বিনা দাওয়াতে বিয়ে খেতে যায়। কিন্তু সহজ কিছু কৌশলের অভাবে নানা রকম অস্বস্তিকর মুহূর্তের মুখোমুখি হতে হয় এঁদের অনেককেই। যাঁরা বিনা দাওয়াতে বিয়ে খেতে যান, তাঁদের জন্য কিছু সহজ কৌশল দেওয়া হলো। এগুলো প্রয়োগ করে বিনা দাওয়াতে বিয়ে খেতে গিয়ে আপনাকে কোনো অসুবিধায় পড়তে হবে না।

আঁকা: ষুভ* কার বিয়ে, সেটা জেনে নিতে হবে সবার প্রথমে। এতে প্রাথমিক নিরাপত্তা জোরদার হয়।
* ভালো কাপড় পরে যেতে হবে। ইস্তিরি করা কাপড় হলে সবচেয়ে ভালো। নিজের না থাকলে বন্ধুর কাছ থেকে ধার করে নিন।
* পাত্র আর পাত্রীর নাম সংগ্রহ করে ফেলতে হবে। যদি আরও কিছু তথ্য সংগ্রহ করা যায়, সেটা আরও ভালো। পাত্র-পাত্রীর নাম ঠোঁটস্থ রাখতে হবে। এতে আপনি বিয়ের অনুষ্ঠানের পুরো সময়ে নানা রকম সুবিধা পাবেন।
* সাধারণত পাত্র কিংবা পাত্রী মঞ্চে রোবটের মতো বসে থাকে। খাওয়ার আগে একবার মঞ্চ থেকে ঘুরে আসতে পারেন। পাত্রীর কাছে গিয়ে নিজেকে বরের ভাইগোত্রীয় কেউ পরিচয় দিয়ে পাত্রীকে অবশ্যই ভাবি সম্বোধন করবেন। পাশাপাশি ‘ভাইয়ার জন্য পারফেক্ট বউ’, ‘ভাইয়ার সঙ্গে মানাবে’, ‘ভাবি হিসেবে যাঁকে কল্পনা করেছি একদম সে রকম’ এই টাইপের কিছু কথা শুনিয়ে আসতে হবে। একইভাবে বরের কাছে গিয়ে নিজেকে কনের ছোট ভাইস্থানীয় কেউ পরিচয় দিয়ে তাঁকে সোজা দুলাভাই সম্বোধন করতে হবে। পাশাপাশি ‘আপুর জন্য এ রকম বরই দরকার’, ‘আমার আপুর জন্য পারফেক্ট বর’, ‘হ্যান্ডসাম দুলাভাই’ ইত্যাদি কিছু কথা এখানেও শোনাতে হবে। এর ফলে আপনার নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি বাড়তি সমাদরও জুটতে পারে।
* বর ও কনের সঙ্গে এর আগের কৌশলটি প্রয়োগ করার সময় একটা সেলফিও তোলা যেতে পারে। এর ফলে মঞ্চের দিকে নজর রাখা মানুষগুলো আপনাকে সন্দেহ করার অবকাশই পাবে না।

* খেতে বসে অনেক গল্প করবেন। তবে গল্প করার আগে বর-কনের বয়স দেখে নেবেন। সেই অনুযায়ী গল্প সাজাতে হবে। যেমন ধরি, কনের নাম শিল্পী। আপনি এমন গল্প বলতে পারেন—আরে শিল্পী তো অঙ্কে দুর্বল ছিল। কত বলতাম অঙ্কটা শেখ। কিন্তু শিখত না! সেদিনই বুঝেছিলাম ওকে দিয়ে সংসার ভালো হবে। হা হা হা! আজ ওর বিয়ে খাচ্ছি। এ ছাড়া বর-কনের কাছের মানুষ পরিচয় দিয়ে আরও নানা রকম স্মৃতিচারণা করতে পারেন। এর ফলে আপনি ওয়েটারকে হালকা ঝাড়ি দিয়ে বাড়তি রোস্ট আদায় করে নিতে পারবেন। প্রয়োজনে গল্প বলবেন, ‘তৌহিদ (বর) বলেছিল, ওর বিয়েতে আমার জন্য দুইটা রোস্ট বরাদ্দ থাকবে। এখন ওকে কি স্টেজ থেকে ডেকে নিয়ে আসব?’
* মুরব্বি দেখামাত্রই সালাম দিতে হবে। প্রয়োজনে শরীর-স্বাস্থ্যের কী অবস্থা, সেটাও জিজ্ঞেস করতে হবে। তবে সেটা পরিমিতভাবে। নইলে বিয়ে খাওয়ার বদলে ধরা খাওয়ার আশঙ্কা আছে।
* কখনো কনফিডেন্স হারানো চলবে না। মনে মনে বিশ্বাস করবেন, আপনি আসলে আপনার আপন কারও বিয়ে খেতে যাচ্ছেন। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, সেখানে আপনাকে কেউ চেনে না।
* খাবার শেষে বেশিক্ষণ অবস্থান করবেন না। অনেকেই আবেগে পড়ে, প্রেমে পড়ে খাবার শেষেও অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে। খাবার শেষে সঙ্গে সঙ্গে স্থান ত্যাগ করতে হবে।

মাটির নীচে পিপিলিকাদের অসাধারন প্রাসাদ। (ভিডিও)

আমরা জানি পিপিলিকারা মাটির নীচে থাকে। কিন্তু মাটির নীচে যে তাদের কত সুন্দর একটি রাজ্য আছে তা দেখুন এই ভিডিওতে। তাদের শৈল্পিক রাজ্য দেখে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। এ যেন এক দক্ষ ইন্জানোয়ারের হাতে তৈরি প্রাসাদ! দেখুন তাদের অসাধারন শৈল্পিকতার সেই মারাত্তক ভিডিও হয়তো আপনি নতুন কিছু শিখবেন


ভুতুড়ে গল্প যানাজার নামায

রমিজ মিয়া লাশটাকে দেখে যত ভয়
পেলো তা মনে হয়
সারাজীবনে সে কোনদিন পায় নাই।
এইটাই তার পেশা,কবর খুঁড়ে লাশ
নামানো।বেশিরভাগ বেওয়ারিশ লাশ
এইখানে কবর দেওয়া হয়।
রমিজ মিয়ার এইসব লাশ
কবরে রাখতে খুব মায়া হয়।
লোকটা পৃথিবীতে এতদিন কত আমোদেই

কাটাইলো আর এহন মারা যাওনের পর
তার লাশডাও কেউ খুজতে আইলো না।
এই লোকের ভাগ্যে হয়ত এইটাই
লেখা ছিলো।এসবই ভাবে রমিজ
মিয়া লাশগুলারে মাটি দেয়ার সময়।
কিন্তু এই লাশটার ক্ষেত্রে তার এমন
কোন অনূভুতি কাজ করলো না।বরং ভয়
পেয়েছে সে।লোকটার মুখ দেখে বয়স
আন্দাজ করেছে রমিজ মিয়া,প্রায় ৫০
হবে।কিন্তু চেহারায় রাগি রাগি ভাব।
বেশিক্ষন লাশটার
দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে নাই সে।এত
বীভৎস!!
লোকটার এমন কি অপরাধ
ছিলো যে কে বা কারা তাকে এভাবে মেরেছে।
প্রথমে মাথা শরীর
থেকে আলাদা করেছে,তারপর সারা শরীর
চাপাতি বা এই জাতীয় কিছু
দিয়ে কুপিয়ে গায়ে এসিড ঢেলে দিয়েছে।
ওহ কি নৃশংস!!এই লাশটার কোন পরিচয়
পাওয়া যায় নাই।এমনকি ৪-৫দিন শহর
থেকে কেউ হারিয়ে গেছে এমনটাও
শোনা যায় নাই।তাই হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষকে থানা থেকে নোটিশ
পাঠানো হয়েছে পোস্ট মর্টম করে লাশ
কবর দিয়ে দিতে।
কিন্তু মফস্বলের
সরকারী হাসপাতালগুলোতে যা হয়,তাই
হয়েছে এই লাশটার ক্ষেত্রেও।অর্থাৎ
পোস্ট মর্টম
করে কোনমতে দায়সারা সেলাই দিয়ে লাশ
পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে কবরস্থানে।
সরকারি হাসপাতাল
থেকে পাঠানো বেওয়ারিশ
লাশগুলোকে দাফন করা হয়
যে কবরস্থানে তার পাহারাদার রমিজ
মিয়া।
আজ যখন এ্যাম্বুলেন্স এসে এই
লাশটা কবরস্থানে রেখে গেলো তখন
রমিজ
মিয়া বুঝে গেলো আরো একটা বেওয়ারিশ
লাশ তাকে যত্ন নিয়ে কবর দিতে হবে।
কিন্তু লাশটিকে দেখার পর তার সেই
পুরোনো মায়া দরদ কাজ করলো না।
এমনিতেও প্রায় সন্ধা হয়ে এলো,তাই
তাড়াতাড়ি ঝন্টুকে ডাক দিয়ে কবর
খুড়তে লেগে গেলো সে।আর বারবার তার
চোখে ভাসতে লাগলো দেহ
থেকে বিচ্ছিন্ন মাথাটার কথা।
সরকারী হাসপাতাল গুলো এত
গাফেলতি করে যে বেওয়ারিশ
বলে লাশটার মাথা সেলাই
করে লাগিয়ে দেয় নাই।তার ওপর
হাসপাতালের মর্গে ৪-৫দিন
পরে ছিলো।কি যে দূর্গন্ধ বের
হচ্ছিলো।।
রমিজ মিয়া আর ঝন্টু মিলে যখন
লাশটা কবর দেয়া শেস করলো তখন
মাগরিবের আজান পড়ে গেছে।রমিজ
মিয়া গোছল করতে গেলো আর কাজ শেস
বলে ঝন্টুও চলে গেলো।
ঝন্টু ১০-১২ বছরের
একটা ছেলে রমিজ
মিয়াকে কাজে সাহায্য
করে,সন্ধা পর্যন্ত থাকে তারপর
চলে যায়।আর তখন
কবরস্থানে থাকে শুধু রমিজ মিয়া একা।
কবরস্থানে যে জায়গাটায় মু্র্দার
জানাযা পড়ানো হয়,তার সামনে গেট
থেকে বের হয়েই পাশে খুপরি মত
একচালা ঘরে রমিজ মিয়া থাকে।নাম
মাত্র গেট
থেকে বাইরে,বলতে গেলে কবরস্থানের
ভিতরেই থাকে সে।মফস্বলের
কবরস্থান বলে কথা,তার উপর আবার
বেওয়ারিশ লাশের,তাই
বলতে গেলে শহরের এক
কোণায়,জনবসতি থেকে একটু দূরের
জায়গাটাই বেছে নেওয়া হয়েছে।
একজনের রান্না,তাই প্রতিদিন এশার
নামাজ
পড়ে রাণ্ণা করে খেয়ে শুয়ে পড়ে রমিজ
মিয়া।
মাঝে মাঝে বাইরে এসে কবরস্থানের
দিকে তাকায় একবার।
তারমতে কবরস্থানে পাহারা দেয়ার কিছু
নাই।বড় বড় শহরে তো নাকি লাশ
চুরি হয় কিন্তু এই শহরে এমন কিছু
ঘটেছে বলে শোনে নাই সে।
তবুও তার চাকরী যখন এইটাই তাই
ঘুমানোর আগে আজও নিয়মমাফিক
খাওয়া দাওয়া সেরে একটা বিড়ি ধরিয়ে এসে তাকায়
কবরগুলার দিকে।স্বভাবমতই চোখ যা্য
নতুন দেয়া কবরটার দিকে।চোখের ভুল
নয় তার স্পষ্ট মনে হলো কবরটার
মাথা’র দিকে কি যেন আছে!!
কাছে গিয়ে দেখলো মাটি খোড়া!!
কি ব্যাপার!!
মাত্র ৩-৪ ঘন্টা আগেই তো সে আর
ঝন্টু মিলে পরিপাটি করে কবর দিলো।
একটু
তাড়াহুরা সে করেছিলো অন্যদিনের
তুলনায় কিন্তু এভাবে রেখে যায় নাই।
স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে কেউ মাটি খোড়ার
চেষ্টা করেছে এবং কতটুকু খুড়েও
ফেলেছে।
পরমূহুর্তে সে ভাবলো হয়ত গেট
দিয়ে ঢুকে কোন কুকুর এই কাজ করেছে।
তাই সে হাত দিয়ে মাটি জায়গামত
চাপা দিয়ে দিলো,কিন্তু
এইটা সে একবারও
চিন্তা করলো না যে সে নিজহাতে প্রতিদিন
গেট লাগিয়ে তালা লাগায় দেয়।তারপর
কোন কুকুর কেন,মানুষের পক্ষেও
কবরস্থানে ঢোকা সম্ভব নয়!!
ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে নিশ্চিত
মনে ঘুমিয়ে পড়লো সে।প্রচন্ড
অস্বস্তিতে ঘুম ভেংগে গেলো তার
রাতে।তার এমন হয় না কখনো,একঘুমেই
রাত শেস হয়ে যায়।তার
কাছে ঘড়ি না থাকায় বুঝলো না রাত
ঠিক কয়টা বাজে।ঘুম ভাংলে তার
এধরনের অনূভুতি হয় না কখনো,কিন্ত
আজ তার কেন
জানি দরজা খুলে বাইরে যেতে ইচ্ছা হলো।
দরজা খুলে বাইরে যাবার পর তার
নাকে পচাঁ কটু গন্ধ এসে লাগলো।গন্ধের
উৎস খুজতে আশে-পাশে তাকালো সে।
পরিষ্কার চাদেঁর আলোয় দেখলো মূর্দার
জানাযা পড়ানো হয় যে জায়গায়
সেখানে সাদা কাপড়ে মোড়া কিছু
একটা রয়েছে সম্ভবত একটা লাশ!!
রমিজ মিয়া ভীতু কখনোই নয় তাই ভয়
সে একটুও
পেলো না বরং কাছে এগিয়ে গেলো ভালো করে দেখার
জন্য।ঠিক মূর্দার
খাটিয়া যেখানে রেখে জানাযা পড়ানো হয়
সেখানে একটা লাশ পড়ে আছে।
এতরাতে কারা লাশ
নিয়ে আসলো ভাবতে শুরু করলো রমিজ
মিয়া।যদি কেউ
এনে থাকে তাহোলে তাকে ডেকে তুললো না কেন।
আবার ভাবলো ভিতরে ঢুকতে হলে গেট
দিয়েই ঢুকতে হবে যার চাবি একমাত্র
রমিজ মিয়ার কাছেই আছে!!
এবার চারিদিক থেকে ভয়ের
অনূভুতি গ্রাস করলো তাকে।হাটার
শক্তিও মনে হলো কেউ কমিয়ে দিয়েছে।
তবুও বিকারগ্রস্থের মত
সে এগিয়ে গেলো লাশটার দিকে।কাপড়
খুলে যা দেখলো তাতে তার
মনে হলো সে বুঝি এখনই অজ্ঞান
হয়ে পড়ে যাবে!!
সেই মুখটা,যা দেহ
থেকে আলাদা করা হয়েছে এখন তার
সামনে আবার।বিকালে কবর
দেয়া লাশটা এখানে কিভাবে আসবে??
এসিডে পোড়া পচা শরীর থেকে ভুরভুর
করে গন্ধ বের হচ্ছে।রমিজ মিয়ার
মাথায় এসব কিছুই ঢোকে না।
অতি শোকে পাথর হবার মত
সে অতি ভয়ে বিহবল এখন!! হঠাৎ তার
মনে হলো এখনই বুঝি প্রত্যেকটি লাশ
উঠে এসে এভাবে পড়ে থাকবে তার
সামনে।কিন্তু এমন কিছুই ঘটলো না।
রমিজ মিয়ার সামনে নিথর
পড়ে আছে লাশটি।
রমিজ মিয়ার
মনে হলো সে গায়ে শক্তি ফিরে পেলো হঠাৎ
বা ভয়ের ঝাপটা টা চলে গেলো তার
উপর দিয়ে।কিভাবে কেন লাশ কবর
থেকে উঠে আসলো এসব
চিন্তা না করে সে ভাবলো লাশটাকে আবার
কবর দিতে হবে।
এই ভাবা মাত্রই
সে লাশটাকে কাধে তুলে নিলো।
জীবনে মনে হয় এত ভারী লাশ
সে কোনদিন বহন করে নাই তাই
মনে হলো রমিজ মিয়ার।ভার
সামলাতে বেশ বেগ পেতে হলো তার।
৫-৬ দিনের পুরানো লাশ রমিজ
মিয়া জোরে ধরা মাত্রই
ধুমড়ে মুচড়ে গেলো।মনে হলো এখনই
বুঝি হাত বা পা খুলে পড়বে।রমিজ
মিয়ার মনে ছিলো না যে লাশটার
মাথা শরীর থেকে আলাদা,তাই
সে লাশটা ঘাড়ে নেওয়া মাত্রই
মাথাটা থপ করে পড়লো কাপড়ের ভিতর
থেকে।আর একহাতে মাথাটাও
তুলে নিলো রমিজ
মিয়া,চললো কবরে লাশটি রেখে আসতে।
লাশটি কবরে রেখে মাথাটা ঠিক জায়গায়
বসানো মাত্রই চোখ
কপালে উঠলো তার।বড় বড় হলুদ চোখ
দিয়ে লাশটা তাকিয়ে আছে তার
দিকে আর একটা হাত
দিয়ে ধরে রেখেছে রমিজ মিয়ার হাত
এবং এ্ত জোরে যে কারো সাধ্য নাই সেই
হাত ছাড়ানোর!!
রমিজ মিয়ার গায়ের সব লোম
খাড়া হয়ে গেলো এবং এতকিছু আর সহ্য
করতে না পেরে সে জ্ঞান হারালো।
যখন তার জ্ঞান ফিরলো তখন
সকাল,সে দেখলো ঝন্টু তার মুখের উপর
ঝুকে আছে।ঝন্টু জিগেস
করলো রাতে কি হয়েছিলো এবং কিভাবে নতুন
কবর দেয়া লাশটা মুর্দার
জানাযা পড়ানোর জায়গায় গেলো!!
এই কথা শুনে রমিজ মিয়ার
কানে তালা লাগার জোগাড় হলো।
সে নিজে কাল ২য় বারের মত লাশ
কবরে রেখে এসেছিলো শুধু
মাটি দিতে পারে নাই।কেন পারে নাই
তা আর কাউকে বললো না শুধু
বললো সে আর এখানে কাজ
করবে না এবং তখনই চলে গেল।
কবরস্থান কর্তৃপক্ষ এসব ব্যাপার
নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি না করে লাশটিকে আবার
কবর দিয়ে নতুন দারোয়ান নিয়োগের
সিদ্ধান্ত নিলো।সেদিন কার মত
কাউকে না পেয়ে কবরস্থান
কর্তৃপক্ষরাই
গেটে তালা লাগিয়ে চলে গেলো।
সেদিন শুক্লপক্ষের রাতে কেউ
যদি কবরস্থানে উকি দিতো তাহলে দেখতে পেতো,নতুন
কবর দেয়া লাশটি থেকে একটা হাত বের
হয়ে অতিকষ্টে হাতড়ে কবর
থেকে মাটি সরিয়ে নিজের
মাথাটা একহাতে ধরে উঠে দাড়ালো।
তারপর
ধীরে,অতি ধীরে এগিয়ে গেলো মুর্দার
জানাযা পড়ানোর জায়গায়,চুপচাপ
সেখানে শুয়ে পড়লো।
মুসলমানের ঘরে জন্ম
তার,জানাযা ছাড়া কবরে থাকতে চা্য়
না সে।বড় কষ্ট এতে,বড়ই কষ্ট….

“বোবা ধরা” সম্পর্কে ইসলাম কি বলে এবং এর প্রতিকার।“বোবা ধরা” সম্পর্কে ইসলাম কি বলে এবং এর থেকে বাচার উপাই।


20‘বোবা ধরা’ সারা বিশ্বের সকল সমাজে প্রচলিত অতি প্রাচীন এবং অতি প্রাকৃতিক ঘটনা। একে ঘুম বিশেষজ্ঞগণ চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় “স্লিপিং প্যারালাইসিস” (Sleeping Paralysis) বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। আর এর কারণ হচ্ছে বর্তমান চিকিৎসাবিজ্ঞান সেক্যুলার নাস্তিক্যবাদে বিশ্বাসী এবং ধর্মীয় বিশ্বাস ও অতিপ্রাকৃতিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বিবর্জিত। তাই তারা এই প্রাচীন এবং বর্তমানেও সংঘটিত ও অভিজ্ঞতালব্ধ বিষয়টিকে (বোবা ধরা
) নিজেদের মতো করেই ব্যাখ্যা করে থাকেন। তারা যেমন বলেন “বোবায় ধরা” একটা মানসিক ব্যাধি, তেমনি এর কারণ দর্শিয়ে (তাদের মতে) বলেন, এটা মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, অনিয়মিত ঘুম ইত্যাদি কারণে হয়।
যখন কাউকে বোবায় ধরে এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ যখন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন, ঐ সকল বিশেষজ্ঞগণ এর চিকিৎসায় ঘুমের পিল এবং আরও কিছু মনোরোগ, শ্বাস-প্রশ্বাস ও স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালনের ওষুধ দিয়েই ক্ষান্ত হন। সম্ভব হলে নিজের তত্বাবধানে রেখে নিয়মিত চেক-আপও করেন। কিন্তু তারপরও যখন কোনো সুচিকিৎসা দিতে পারেন না, তখন বলেন, এটা “প্যারানরমাল” (Paranormal), “সুপার-ন্যাচার‍্যাল” (Supernatural) বা “অদ্ভূদ রোগবিশেষ”!! যদিও বোবায় ধরা কোন মানসিক রোগ নয়।
মুলতঃ এর ব্যাখ্যা ইসলাম অত্যন্ত ভালভাবেই দিতে পারে। এর জন্য আসুন জেনে নিই, ইসলামী দর্শন এ বিষয়টিকে কিভাবে ব্যাখ্যা করে।
আপনারা জানেন, পৃথিবীতে সৃষ্টিকুলের মধ্যে যেমন দৃশ্যমান মানবজাতি এবং জীব-জন্তু রয়েছে, তেমনি রয়েছে অদৃশ্যমান জ্বীনজাতি ও ফেরেশতাকুল। জ্বীন সম্প্রদায়ের মধ্যেও মানুষের মতো বোবার অস্তিত্ব আছে। সেইসব বোবা জ্বীনদের মধ্য থেকে কতিপয় জ্বীন যখন মানব সমাজে চলে আসে বা বিচরণ করে, তারা অন্যান্য স্বাভাবিক জ্বীনের মতো মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারে না, আর পারে না অন্যান্য জ্বীনদের সাথেও তাদের মতামত আদান-প্রদান করতে। তাই তারা কখনও কখনও তাদের ইচ্ছেমত মানুষকে বিরক্ত করে। অন্য সময় পারে না বলে ঘুমের সময়টাকেই তারা বেছে নেয়।
কখনও কখনও এই সব বোবা জ্বীন তাদের পছন্দমত মানুষের কাছে আসে এবং ঘুমের মধ্যে তার উপর ভর করে। পছন্দমত বলছি এ কারণে, যেহেতু তারা দুনিয়ার সকল মানুষকেই ধরে না। ফলে অনেক মানুষই বলে থাকে যে, “আমাকে তো কখনই বোবায় ধরে না?” যাই হোক, বোবা জ্বীনরা কখনও দুষ্টামী করেই কারও উপর ভর করে, আবার কখনও ইচ্ছাকৃতভাবে ভয় দেখানোর জন্য কিংবা বিরক্ত হয়েই তার উপর ভর করে। তবে ঠিক কি কারণে তারা এমনটি করে, তা জানা সম্ভব হয় না এ কারণে যে, তারা বোবা (হাজারবার জিজ্ঞেস করলেও এরা আপনাকে উত্তর দিতে পারবে না)। তাই শুধু অনুমান করা যায় মাত্র। এমনও ঘটেছে যে, সারা জীবনে কোনো কোনো মানুষকে মাত্র একবার বোবায় ধরে, আবার কেউ কেউ বহুবার তাকে বোবায় ধরেছে বলেও স্বীকার করে। এর সঠিক কারণ জানা যায় না যে, কেন কারো ক্ষেত্রে কম আর কারো ক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে ঘটে থাকে? আল্লাহ পাক এবং তাঁর রসূলই এর অধিক ভাল জানেন।
► বোবায় ধরলে কী কী অভিজ্ঞতা হতে পারে?
————————————–
এখানে একটি বিষয় ব্যাখ্যা করা দরকার, তা হলো অনেকের এমন হয়, বোবায় যে ধরেছে, এটা বুঝার পূর্বে তারা অনেক দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকেন। তারপর দুঃস্বপ্নের এক পর্যায়ে তারা বুঝতে পারেন, তাদের পুরো শরীরের উপর বা কোনো বিশেষ অঙ্গের (যেমনঃ মাথা, বুক, হাত ইত্যাদি) উপর কেউ ভর করে আছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে কারও (জ্বীনের) লোমশ হাতের কথাও অনেকে বলে থাকেন। এক এক জনের অভিজ্ঞতা এক এক রকম। যাই হোক, দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকার কারণ হলো, ঐসব বোবা জ্বীন স্বল্প সময়ের জন্য মানুষের স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং তারা সাধারণত দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে মানুষকে নিতেই পছন্দ করে যেন ঐ সকল মানুষ স্বপ্নের এক পর্যায়ে আকস্মিক ঘুম ভেঙ্গে উঠে অসহনীয় এবং প্রতিকূল পরিস্থিতি অনুভব করে। তাই এটা বোবা জ্বীনদের মানুষের শরীরের নড়াচড়া করতে না দেয়ার পাশাপাশি আরেকটি কূট-কৌশল।
এটা সচরাচর প্রায় সবার ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে যে, এই পরিস্থিতিতে বোবায় ধরা ব্যক্তি নিজের হাত-পা বা দেহের কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াতে পারে না (চোখের কর্নিয়া ব্যতীত)। এর কারণ খুঁজে দেখা গেছে, বোবা জ্বীনদের এক বিশেষ ক্ষমতা থাকে, যাকে বলা হয় “ব্লাড বেন্ডিং (Blood Bending)”। এ ক্ষমতার দ্বারা তারা মানুষের রক্তের চলাচল পথকে এবং রক্তকণিকাকে স্বল্প সময়ের জন্য নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে। আর রক্তের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বলেই, দেহের বিভিন্ন স্থানে তারা রক্ততঞ্চন ঘটাতে পারে, ফলে সারা শরীর বা শরীরের নির্দিষ্ট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহ নড়াচড়া করা সম্ভব হয় না। এবং তারা যে সময়টুকু মানুষের উপর ভর করে থাকে, এর চলে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এ বিশেষ ক্ষমতার প্রয়োগ তারা দেখাতে পারে। এর আরেকটা কারণ হচ্ছে, তারা চায় না, তাদের অদ্ভূদ আকৃতি-প্রকৃতি বা চেহারা কোন মানব দেখুক। আবার ইচ্ছা করলে তারা অদৃশ্যভাবেও মানুষের উপর ভর করতে পারে।
তবে হ্যাঁ, বোবা ধরলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শ্বাস-প্রশ্বাস বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহ নড়াচড়ায় ব্যাঘাত ঘটলেও মারা যাওয়ার আশংকা নেই। এ পর্যন্ত কোন জ্বীন ঘুমের মধ্যে কাউকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছে বা মেরে ফেলেছে বলে শোনা যায় না। আল্লাহ পাক এ বিষয়টি মানুষ এবং জ্বীন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভারসাম্য বিধান করে দিয়েছেন। বোবা জ্বীনের কারণে বা বোবায় ধরলে যদি অসংখ্য মানুষ মারা যেত, তাহলে তা মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকিসরূপ হয়ে দাঁড়াত। আবার জ্বীনজাতি দৃশ্যমান হলে, মানুষ তাদেরকে হত্যা করা বা সহজে বশ করার কোনো না কোনো উপায় বের করে ফেলত। এ জন্যই তারা অদৃশ্যমান। এ বিষয়টির ব্যাখ্যা করতে অনেক লেখা-লেখির প্রয়োজন বিধায় এখানে আর আলোচনা অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করছি না।
► বোবায় ধরা যে জ্বীন দ্বারা সংঘটিত ঘটনা, তার যৌক্তিক প্রমাণঃ
————————————–
বোবায় ধরা যে জ্বীন দ্বারা ঘটিত একটি ঘটনা (বিজ্ঞান তার ব্যাখ্যা করতে পারুক না না-ই পারুক) তা বুঝা যায়, কোন দরূদ শরীফ বা সূরা ইত্যাদি পড়লে বোবায় ধরার প্রভাবটা আর থাকে না এবং মুহূর্তের মধ্যেই চলে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে সাথে সাথে চলে যায়, আবার অনেকের ক্ষেত্রে দোয়া-কালাম পাঠ শুরু করার কিছুক্ষণ পর চলে যায়। এরপর অনেক ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাপ্রাপ্ত ব্যাক্তি উঠে বসে, আবার অনেকেই ঘামতে থাকে, অনেকে আবার ভয়ে হাঁপাতে থাকে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা যদি বিশ্বাস করি যে, আমরা আশরাফুল মাখলুকাত, ওরা আমাদের কিছুই করতে পারবে না এবং এক আল্লাহর উপর নির্ভর করি, তাহলে এরকম ঘটনা আমাদের জন্য কোন ব্যাপারই না।
এমনও দেখা গেছে যে, অভিজ্ঞতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বিছানায় শয়ন করার দু’-এক মিনিটের মধ্যেই (অর্থাৎ, তখনও সে সম্পূর্ণ সচেতন) তার উপর কোনো কিছু এসে ভর করেছে। অর্থাৎ, বৈজ্ঞানিক পরিভাষা স্লিপিং প্যারালাইসিস, যা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে গেলে ঘটতে পারে, এমন যুক্তি এ ক্ষেত্রে অচল হয়ে যায়। আর হ্যাঁ, এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক বোবা জ্বীনকে দেখে ফেলার সম্ভাবনাই তুলনামূলক বেশি, কেননা পুরোপুরি ঘুমিয়ে যায় নি এমন ব্যক্তির উপরে blood bending করা জ্বীনের জন্য দুষ্করই বটে।
আবার এমনও দেখা গেছে যে, অভিজ্ঞতাপ্রাপ্তব্যক্তি পুরোপুরি উপুড় হয়ে শয়ন করে নি, বরং এককাত হয়ে ডান বা বাম দিকে হয়ে শুয়ে আছে, এই অবস্থায়ও বোবা এসে ভর করে। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানের অথর্ব পরিভাষা স্লিপিং প্যারালাইসিস, যার মূল যুক্তিই হচ্ছে, ঘুমন্ত ব্যক্তি লম্বালম্বিভাবে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকে বলে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত জমাট বেঁধে যায়, তাই ঐ অনুভূতি হয়, এমন যুক্তি নিতান্তই খোঁড়া ও অচল।
এছাড়াও কোনো কোনো অভিজ্ঞতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে, বোবায় ধরার (জ্বীন আসার) আগে বা (জ্বীন চলে যাওয়ার) পরে তারা যদি আধো-ঘুমন্ত অবস্থায় থাকেন, তবে ঘরে শব্দ শুনতে পান। অর্থাৎ বোবা ধরার আগে, জানালা দিয়ে কোনো কিছু আসার শব্দ আর চলে যাওয়ার পর একইভাবে জানালা দিয়ে কোনো কিছু চলে যাওয়ার শব্দ শুনে থাকেন। তবে এই অভিজ্ঞতা সবাই লাভ করেন না। আর এই শব্দও বৈজ্ঞানিক যুক্তি স্লিপিং প্যারালাইসিসকে সমর্থন করে না, বরং কোনো অতিপ্রাকৃতিক কিছুর অস্তিত্বই স্বীকার করে।
বোবা ধরার সময়, বা চলে যাওয়ার মুহূর্তে কেউ কেউ উক্ত বোবা জ্বীনকে দেখে ফেলতে পারেন। এমন হয়েছে যে, জ্বীনের আকৃতি-প্রকৃতি পরিষ্কার বুঝা যায় নি, শুধু কালো বিকট এক আকৃতির অস্তিত্ব উপলব্ধি করা গিয়েছে। আবার এমনও হয়েছে যে, জ্বীনটি তার আসল রূপ বা কোনো কুৎসিত চেহারা নিয়ে অভিজ্ঞতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে দেখা দিয়েই উধাও হয়ে গিয়েছে। তবে জ্বীন দেখা দিয়েছে, এমন ঘটনা দুর্লভ।
► বোবায় ধরলে যা যা করা উচিত, তার মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে
————————————–
১) দরূদ শরীফ পড়তে থাকা।
২) আল্লাহর কালাম অর্থাৎ কুরআনুল কারীমের যে কোন সূরা থেকে আয়াতে পাক পাঠ করতে থাকা। সূরা বাকারা, ইখলাস অথবা ইয়াসীনের আয়াতসমূহ পাঠ করা যেতে পারে।
৩) আয়াতুল কুরসী পাঠ করতে থাকা। এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
৪) হুযুরে পাক (সঃ) অথবা কোন নবী বা ওলীর উছিলায় ঐ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা।
এছাড়াও যাদের পক্ষে সম্ভব হয়, নিজে কোন বিজ্ঞ আলেম ব্যক্তির শরণাপন্ন হয়ে তাঁর থেকে এতদভিন্ন কোন নির্দিষ্ট আয়াতে পাক বা দোয়া জেনে নিতে পারেন।
► বোবায় ধরা থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্তি চাইলে করণীয়
————————————–
১) ঘুমানোর আগে অযু করে শোয়া।
২) পুরোপুরি উপুড় হয়ে না শোয়া।
৩) ডান কাত হয়ে শোয়া।
৪) কারও উপুড় হয়ে শোয়ার অভ্যাস সহজে না গেলে, কাঁথা, চাদর বা কম্বল দ্বারা মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে তারপর উপুড় হয়ে শোয়া। তবে ৩ নং আমলটিই অধিকতর শ্রেয় এবং সুন্নত সম্মত।
৪) ঘুমের দোয়াসমূহ পড়ে তারপর ঘুমানো। কি দোয়া পড়ছেন, তার অর্থ জানা থাকলে ভাল। ঘুমের একটি সহজ এবং অধিক পঠিতব্য দোয়া হচ্ছে,
“আল্লাহুম্মা বি-ইস্‌মিকা আমূওতু ওয়া আহ্‌ইয়া।”
অর্থঃ হে আল্লাহ ! তোমারই নামে মৃত্যুবরণ করি, আবার তোমারই নামে জীবন ধারন করি।
৫) দুঃস্বপ্ন দেখে আকস্মাৎ জেগে উঠলে বাম দিকে ফিরে তিনবার “আউযুবিল্লাহি মিনাশ্‌ শাইত্বনির্‌ রাজীম” বলে তিন বার থুথু দেয়া। থুথু দিলে পাশের জায়গা ভিজে যাবার আশংকা থাকলে থুথুর মত করে ফুঁ দেয়া।
৬) শোবার সময় দশ বার করে “লা- হাওলা ওয়ালা- কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্‌” পাঠ করা।
৬) দুঃস্বপ্ন বা বোবায় ধরার কাহিনী কোনটাই কাউকে না বলা। আর প্রকাশ করলে এমন কারও কাছেই তা করা উচিত যিনি এর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেন এবং প্রতিকার বাতলে দিতে পারেন।
৭) ঘরে লেবু রাখা, কেননা যে ঘরে লেবু থাকে জ্বীন সেখানে প্রবেশ করে না।
সুত্রঃ কোরআন ও বিজ্ঞান

বসরের বাছাই করা সেরা ১৭ টি ছবি ও তার বিবরন সহ দেখেনিন

                                              ছবি দেখা নাগেলে ছবির উপরে ক্লিক করুন>>

১.এএফপির পিকচার অব দ্য ইয়ারে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশের এই ছবিটিও। ছবিটিতে একজন জেলে তাঁর পোষা ভোঁদড়গুলোকে খাবার খাওয়াচ্ছেন। ছবিটি ১১ মার্চ নড়াইল থেকে তোলা।

                                         ছবি দেখা নাগেলে ছবির উপরে ক্লিক করুন>>
 ২.ফ্রান্সে গত ৭ অক্টোবর প্রবল বর্ষণে দেখা দেওয়া আকস্মিক বন্যায় এই গাড়িটি ভেসে এসে পথ হারিয়ে লটকে থাকে গাছে। ছবিটি মঁপেলিয়ের থেকে তোলা। ছবি: এএফপি


৩. রাজনৈতিক সংস্কার তথা পুরোপুরি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিক্ষার্থীসহ হংকংয়ের সর্বস্তরের মানুষ জমায়েত হয়ে এভাবেই হাত উঁচিয়ে নিজেদের মুঠোফোনের আলো জ্বেলে বিক্ষোভ করেন। ছবিটি ২৯ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সামনে থেকে তোলা। ছবি: এএফপি
                                          ছবি দেখা নাগেলে ছবির উপরে ক্লিক করুন>>
 

৪.জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলার ভয়ে শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে সিরিয়া ও তুরস্কের সীমান্ত এলাকা পাড়ি দিয়ে নিরুদ্দেশের দিকে যাত্রা করছেন এই মা। ছবিটি ২৩ সেপ্টেম্বর তোলা। সে সময় প্রায় চার লাখ মানুষ এভাবে দেশ ছেড়ে পাড়ি জমায় নিরুদ্দেশের দিকে। ছবি: এএফপি

                                              ছবি দেখা নাগেলে ছবির উপরে ক্লিক করুন>>

৫.পানির নিচে বিচিত্র ভঙ্গিমায় ২৬ বছরের চীনা তরুণী লেং ইউতিং। এ বছরই সমবয়সী কিন রিয়াংকে বিয়ে করবেন তিনি। সেই বিয়ের অনুষ্ঠান সামনে রেখে ব্যতিক্রমী আয়োজন হিসেবে পানির নিচে নানা ভঙ্গিতে ছবি তোলেন দুজন। ছবিটি গত ৩ সেপ্টেম্বর সাংহাই থেকে তোলা। ছবি: এএফপি
                                          ছবি দেখা নাগেলে ছবির উপরে ক্লিক করুন>>
 
৬.ইউক্রেন-সংকট নিয়ে সরকারি বাহিনী ও রুশপন্থী বিদ্রোহীদের মধ্যে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাড়ির সামনেই নিহত হয়েছে মেয়ে। তার মৃতদেহের পাশে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা। ছবিটি ১৯ আগস্ট ইউক্রেনের মাকিইভকা শহর থেকে তোলা। ছবি: এএফপি

                                            ছবি দেখা নাগেলে ছবির উপরে ক্লিক করুন>>


৭.ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত বাড়ির এক কোণে বসে রুটি খাচ্ছে এই শিশুটি। ছবিটি ২ আগস্ট গাজা থেকে তোলা। ছবি: এএফপি

 
                                                ছবি দেখা নাগেলে ছবির উপরে ক্লিক করুন>>

৮.ফিলিস্তিনের গাজা শহরে ইসরায়েলিদের হামলা। ছবিটি ২৯ জুলাই তোলা। ছবি: এএফপি


                                             ছবি দেখা নাগেলে ছবির উপরে ক্লিক করুন>>

৯.ঝুলন্ত গালিচার ওপর বসে পিয়ানো বাজাচ্ছেন জার্মান পিয়ানোবাদক স্তেফান অ্যারন হুভারস। ছবিটি ২৩ জুলাই মিউনিখ বিমানবন্দর থেকে তোলা। ছবি: এএফপি

 
                                              ছবি দেখা নাগেলে ছবির উপরে ক্লিক করুন>>

১০.সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় বিধ্বস্ত ভবন থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে যাচ্ছে এক ব্যক্তি। ছবিটি ৯ জুলাই আলেপ্পো শহর থেকে তোলা। ছবি: এএফপি

            
                                                 ছবি দেখা নাগেলে ছবির উপরে ক্লিক করুন>>
         

১১.দক্ষিণ সুদানের বোর শহরে চলছে সহিংসতা। এরই মাঝে একটি স্যুটকেসের ভেতর ঢুকে লুকোচুরি খেলছে দুই শিশু। ছবিটি ২৭ ফেব্রুয়ারি তোলা। ছবি: এএফপি

 
                                           ছবি দেখা নাগেলে ছবির উপরে ক্লিক করুন>>

১২.ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের মাউন্ট সিনাবাং আগ্নেয়গিরি থেকে বের হচ্ছে লাভার ছাই ও ধোঁয়া। ছবিটি ১ ফেব্রুয়ারি তোলা। ছবি: এএফপি

 
                                          ছবি দেখা নাগেলে ছবির উপরে ক্লিক করুন>>

১২.ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর ইপানেমা সৈকতে সূর্যাস্তের সময় জলবুদবুদ দিয়ে এই রঙধনু তৈরি করেন এক জার্মান পর্যটক। ছবিটি ১৩ অক্টোবর তোলা। ছবি: এএফপি

 
                                            ছবি দেখা নাগেলে ছবির উপরে ক্লিক করুন>>

১৩.খাঁচার ভেতর মানুষ, আর বাইরে থেকে তাদের দেখছে সিংহ। ছবিটি চিলির রাঙ্কাগুয়ায় সাফারি লায়ন জু থেকে ৩০ অক্টোবর তোলা। ছবি: এএফপি

 
                                              ছবি দেখা নাগেলে ছবির উপরে ক্লিক করুন>>

১৪.স্পেনে একটি উৎসবে তৈরি করা হয় মনোমুগ্ধকর এই মানবস্তম্ভটি। ছবিটি ৩০ অক্টোবর স্পেনের তারাগোনা এলাকা থেকে তোলা। ছবি: এএফপি


                                          ছবি দেখা নাগেলে ছবির উপরে ক্লিক করুন>>

১৫.ইতালির পোর্তোফিনো শহরের একটি ছোট নদীতে এভাবেই ঝাঁপ দিয়েছেন এক তরুণ। ছবিটি ৮ সেপ্টেম্বর তোলা। ছবি: এএফপি

 
                                           ছবি দেখা নাগেলে ছবির উপরে ক্লিক করুন>>

১৬.ফ্রান্সের প্যারিসে একটি ল্যাম্পপোস্টের ওপর উঠে ফুটবল নিয়ে কসরত দেখাচ্ছেন সাবেক ফুটবলার ইয়া ত্রাওরি। ছবিটি ৯ জুন মন্টমাতরি এলাকা থেকে তোলা।


                                            ছবি দেখা নাগেলে ছবির উপরে ক্লিক করুন>>

১৭। ২০১৪ সালে সারা বিশ্বে ঘটে যাওয়া ঘটনার ছবিগুলো থেকে বাছাই করে ‘পিকচার অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচন করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। তারই কিছু ছবি নিয়ে এই গ্যালারির আয়োজন। ফিলিপাইনের ম্যানিলায় একটি সমাধিক্ষেত্রে মানুষের হাড়গোড়ের পাশে খেলছে শিশুরা। ছবিটি ৩১ অক্টোবর ম্যানিলার নাভোতাস পাবলিক সিমেট্রি থেকে তোলা। ছবি: এএফপি               

এক ক্লিকেই ওপেন করুন বাংলাদেশের পপুলার ওয়েব সাইড গুলি




 Eemergency Link In Bangladesh
Hospitals and Clinics
Hospitals and Clinics
Hospitals and Clinics
Hospitals and Clinics
Blood Banks
 
Ambulance
Ambulance
 





 International Bangla Online newspaper
 
 


 Bangla Online Newspaper
 
   


   
       

 
   
 
 
           












 Get Free Website
 








  Marriage Link
         



 Most Popular E-Mail

 






 Artist