Showing posts with label জানা অজানা. Show all posts
Showing posts with label জানা অজানা. Show all posts
google বিষয়ক পোষ্ট - গুগলের কিছু জানা অজানা তথ্য ১০০% শিওর আপনি সে গুলি জানেন না>>
গুগল নামটি সবারই পরিচিত।বিশ্বের মধ্যে সর্ববৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে গেলে গুগলের নামই আসে সেখানে। আস্তে আস্তে অনেক গুলি বছর কাটিয়ে ফেলেছে সফলভাবে প্রতিষ্ঠানটি। ১৮তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে গুগল। আর এর জন্য তার হোমপেজ এ দেয়া হয়েছে ডুডল। গুগলের অনেক তথ্য আছে যা অনেকের জানা আবার অনেকের অজানা।
২. এর বয়স ১৮ নাকি ১৯ এটা নিয়ে সন্দেহ আছে কারন গুগলের জন্মদিন পালন করা হয় ১৯৯৫ সাল থেকে।
৩. গুগলের ক্যাম্পাসে একটি টি-রেক্স ডায়নোসর রাখা আছে যা সব কর্মীদের বলছে ক্যাম্পাস দুর্গন্ধময় রাখ যাবে না।
৪. গুগল ক্রোম ব্রাউজারে টি-রেক্সের একটি গেম দেয়া হয়েছে। যখন ব্রাউজারটি ইন্টারনেট সংযোগ না পায় তখন এই ডায়নোসর একটি সাবধান সংকেত দেখায় এবং তখন স্পেসবার চাপ দিলেই গেম শুরু হয়ে যায়।
৫. গুগলের পন্য অনেকগুলি লুকিয়ে আছে ইস্টার এগ এ। অবশ্য সার্চ এর মাধ্যমে এদের সন্ধান মিলবে।
৬. আজকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডেটা স্টোরেজ কোম্পানি গুগল হলেও গুগলের প্রথম স্টোরেজ হয় লেগো দিয়ে।
৭. গুগল এতগুলি কোম্পানি কিনে নিয়েছে যা আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না। প্রতিদিনই গুগল প্রায় একটি করে ছোট কোম্পানি কিনে নিচ্ছে।
৮. এর “I am feeling lucky” বাটনটির দাম এখন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারে উঠে গেছে।
৯. গুগল এ কর্মরত অবস্থায় কোন কর্মী মারা গেলে তার পরিবারকে পরবর্তী এক যুগ পর্যন্ত বেতনের অর্ধেক পর্যন্ত দেয়া হয়।
সুত্রপাত ঘটেছে এখান থেকে
এমনই কিছু তথ্য জানা যাক গুগলের
১. প্রথমেই আসি প্রতিষ্ঠানটির শুরু নিয়ে। এই বৃহৎ প্রতিষ্ঠানটির জন্মদিন কবে কেউ জানে না। ঠিক কবেই গুগলের জন্মদিন তা বলা যায়না। ৬ টি জন্মদিন রয়েছে এর।তবে গুগল ২৭ সেপ্টেম্বর জন্মদিন পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।২. এর বয়স ১৮ নাকি ১৯ এটা নিয়ে সন্দেহ আছে কারন গুগলের জন্মদিন পালন করা হয় ১৯৯৫ সাল থেকে।
৩. গুগলের ক্যাম্পাসে একটি টি-রেক্স ডায়নোসর রাখা আছে যা সব কর্মীদের বলছে ক্যাম্পাস দুর্গন্ধময় রাখ যাবে না।
৪. গুগল ক্রোম ব্রাউজারে টি-রেক্সের একটি গেম দেয়া হয়েছে। যখন ব্রাউজারটি ইন্টারনেট সংযোগ না পায় তখন এই ডায়নোসর একটি সাবধান সংকেত দেখায় এবং তখন স্পেসবার চাপ দিলেই গেম শুরু হয়ে যায়।
৫. গুগলের পন্য অনেকগুলি লুকিয়ে আছে ইস্টার এগ এ। অবশ্য সার্চ এর মাধ্যমে এদের সন্ধান মিলবে।
৬. আজকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডেটা স্টোরেজ কোম্পানি গুগল হলেও গুগলের প্রথম স্টোরেজ হয় লেগো দিয়ে।
৭. গুগল এতগুলি কোম্পানি কিনে নিয়েছে যা আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না। প্রতিদিনই গুগল প্রায় একটি করে ছোট কোম্পানি কিনে নিচ্ছে।
৮. এর “I am feeling lucky” বাটনটির দাম এখন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারে উঠে গেছে।
৯. গুগল এ কর্মরত অবস্থায় কোন কর্মী মারা গেলে তার পরিবারকে পরবর্তী এক যুগ পর্যন্ত বেতনের অর্ধেক পর্যন্ত দেয়া হয়।
সুত্রপাত ঘটেছে এখান থেকে
তাহলে কি বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য সমাধান?
বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এক দুর্ভেদ্য রহস্যের নাম। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে বিশ্ব অনেক দূর এগিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত এ রহস্যের কিনারা করতে পারেনি কেউ। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদ
নে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্যের সমাধান করার বিষয়টি উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নরওয়ের গবেষকেরা উত্তর মেরুর ব্যারেন্টস সাগরের তলদেশে বেশ কিছু বড় গর্তের সন্ধান পেয়েছেন। আর্কটিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, এই গর্ত বা আগ্নেয়গিরির মুখগুলোর ব্যাস ৩ হাজার ২৮০ ফুট ও গভীরতা ১৩১ ফুট হতে পারে। থ্রিডি সিসমিক ইমেজিং পদ্ধতিতে এই গর্তগুলো শনাক্ত করেছেন তাঁরা। গবেষকেরা বলছেন, তেলের খনি থেকে সৃষ্ট উচ্চ চাপের মিথেন গ্যাসের উদগীরণে এ গর্ত সৃষ্টি হতে পারে।
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই আবিষ্কারের ঘটনা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নামের বিতর্কিত ওই এলাকায় জাহাজ ও বিমানের হারিয়ে যাওয়ার ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে পারে। এর আগে ২০১৪ সালে সাইবেরিয়ান টাইমসকে দেওয়া রাশিয়ার গবেষক ভ্লাদিমির পোতাপভের এক সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়েছে ডেইলি মেইল। পোতাপভের তত্ত্ব অনুযায়ী, মিথেন গ্যাসের উদগীরণ সমুদ্রকে উত্তপ্ত করে। মিথেনযুক্ত পানির কারণে জাহাজ ডুবে যায়। এ ছাড়া বায়ুমণ্ডলেও বিশেষ পরিবর্তনের ফলে বিমান দুর্ঘটনা ঘটে।
ক্যারিবীয় সাগরের এক কল্পিত ত্রিভুজ এলাকা হলো বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। ত্রিভুজের তিন বিন্দুতে আছে ফ্লোরিডা, বারমুডা আর প্যুয়ের্তো রিকো। অবশ্য এই বিন্দু নির্ধারণ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। সে যা-ই হোক, এ অঞ্চলটিকে মারাত্মক রহস্যময় এলাকায় পরিণত করেছে কিছু খবর। বলা হয়, এ ত্রিভুজ অঞ্চলে অদ্ভুতভাবে হারিয়ে গেছে মানুষ, জাহাজ আর উড়োজাহাজ। রেখে যায়নি কোনো ধ্বংসাবশেষ। এসব ‘উড়ো’ খবর নিয়ে গবেষণা হয়েছে, ডকুমেন্টারি বানানো হয়েছে। শেষমেশ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় সব রহস্যের অসারতা প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু রহস্যপ্রিয় মানুষ এতে বিশেষ খুশি হতে পারেননি। তাঁরা এখনো বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে রহস্যের গন্ধ পান।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্যময় চরিত্র প্রথম নিয়ে আসেন ই ভি ডব্লিউ জোনস। ১৯৫০ সালের বার্তা সংস্থা এপি প্রকাশিত একটি নিবন্ধে জোনস অভিযোগ করেন, এ এলাকায় বেশ কিছু উড়োজাহাজ ও নৌযান বেমালুম উধাও হয়ে গেছে, যেগুলোর কোনো সন্ধান আজ পর্যন্ত মেলেনি। দুই বছর পর ফেট ম্যাগাজিনের একটি নিবন্ধে দাবি করা হয়, ১৯৪৫ সালে ফ্লাইট-১৯ নামের মার্কিন নৌবাহিনীর পাঁচটি বোমারু বিমানের একটি বহর উধাও হয়ে গেছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে। এই বহর থেকে শেষ বার্তা ছিল, ‘সবকিছুই খুব অদ্ভুত লাগছে। আমরা জানি না, কোন দিক পশ্চিম। সাগরকেও স্বাভাবিক দেখাচ্ছে না। আমাদের মনে হচ্ছে আমরা...’।
এরপর একের পর এক খবর গত শতকের শেষ পর্যন্ত তুমুল হইচই তুলেছে। যার মধ্যে আস্ত ডিসি বিমান, যাত্রীবাহী জাহাজ পর্যন্ত উধাও হয়ে যাওয়ার খবর ছিল।
তবে এসব খবরের পাশাপাশি ব্যাখ্যাও চলেছে। বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের প্রাকৃতিক ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, এর সবই স্বাভাবিক ঘটনা। রং চড়িয়ে বলা হচ্ছে। আবার বলা হয়েছে, দুনিয়াজুড়ে দুর্ঘটনার যে হার, এতে বারমুডায় মোটেও বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে না। কখনো কখনো বারমুডা-সংক্রান্ত খবর তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গেছে, খবরটাই ভুয়া। রং চড়িয়ে লেখা হয়েছে ট্যাবলয়েডগুলোতে।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এখনো এক রহস্যের নাম।বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে কিছু তথ্য
অনেকের মতে, ক্রিস্টোফার কলম্বাসের কাছ থেকে সর্বপ্রথম এলাকাটির বিষয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা জানা যায়। কলম্বাস লিখেছিলেন, তাঁর জাহাজের নাবিকেরা এ অঞ্চলের দিগন্তে আলোর নাচানাচি এবং আকাশে ধোঁয়া দেখেছেন। এ ছাড়া তিনি কম্পাসের উল্টাপাল্টা দিক নির্দেশের কথাও বর্ণনা করেছেন।
অনেকে আবার মনে করেন, নাবিকেরা যে আলো দেখেছেন, তা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নৌকায় রান্নার কাজে ব্যবহৃত আগুন এবং কম্পাসে সমস্যা হয়েছিল নক্ষত্রের অবস্থান পরিবর্তনের কারণে। ১৯৫০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) সাংবাদিক ই ভি ডব্লিউ জোনস সর্বপ্রথম এলাকাটি নিয়ে খবরের কাগজে লেখেন। অনেকে মনে করেন, ওই অন্তর্ধানের কারণ নিছক দুর্ঘটনা, যার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা চালকের অসাবধানতা। তা ছাড়া এই ত্রিভুজের ওপর দিয়ে মেক্সিকো উপসাগর থেকে উষ্ণ সমুদ্রস্রোত বয়ে গেছে। এর তীব্র গতি অধিকাংশ অন্তর্ধানের কারণ। তথ্যসূত্র: ডিসকভারি, দ্য গার্ডিয়ান।
ফেসবুক ব্যবহার করতেই আছ মাগার Poke কি জিনিস? এর মানে কি জানেন? না জানলে আজকে জেনে নিন!!
সকল বন্ধুদের জানাই Poke এর শুভেচ্ছা।
আবারো হাজির হলাম নতুন একটা
জিনিস নিয়ে যদিও আপনার এর সাথে
অনেক আগে থেকে পরিচিত তবে ভুল
ভাবে। যাহোক আশা করি আজকে সেই
ভুল বুঝা বুঝি দূর হবে। আজকের দিনে
ফেসবুক এমন এক জিনিসে পরিনত
হয়েছে যা ফেসবুক ছাড়া অনেকের
পেটের ভাত হজম হয় না।সারাদিন
সুধু ফেসবুক আর ফেসবুক। আজকে এই
ফেসবুক এর একটা ফিচার নিয়ে
আলোচনা করবো আর সেটা হল poke.
আমরা যারা ফেসবুক ব্যবহার করি বা
অ্যাকাউন্ট আছে তারা সবাই কম
বেশি এই ফিচার সম্পর্কে জানি তবে
অনেক এটি ব্যবহার করে আবার
অনেকে করে না। কিন্তু কথা হল আমরা
সবাই এই poke মানে জানি যে কউকে
বিরক্ত করা বা গুতা মারা যেটা
একদমই ঠিক নয়। poke একটা ফেসবুক
এর গুরুত্বপূর্ণ ফিচার।
আসলে poke দিয়ে কারও দৃষ্টি
আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হয়। আপনি
যদি কাউকে poke করেন আর আপনি
জাকে poke করলেন সে যদি poke
back করে তাহলে আপনি তার ফেসবুক
প্রোফাইল এবং পেজ ৩ দিন এর জন্য
দেখতে পারবেন। এখন হয়তো অনেকে
ভাবতে পারেন আমিতো এমনিতে এটা
করতে পারি। কিন্তু না এটার দরকার
আছে বা কি কাজে লাগে তা বলতেছি।
মনে করেন কেউ একজন আপনার ফ্রেন্ড
লিস্ট এ নাই বা তাকে চেনা চেনা
মনে হচ্ছে কিন্তু সে আপনার ফ্রেন্ড
লিস্ট এ না থাকার কারনে তার
সম্পর্কে জানতে পারছেন না বা তার
ইনফর্মেশন দেখতে পারছেন না বা
জানতে পারছেন না। তখন তার
সম্পর্কে জানার একটাই উপায় আছে
আর সেটা হল poke মারা। আপনি যদি
তাকে poke মারেন আর সে poke back
করে তাহলে আপনি তার প্রোফাইল
এবং পেজ ৩ দিন এর জন্য দেখতে
পারবেন এবং দেখে আপনার পরিচিত
হলে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট করতে
পারবেন। তাহলে বুঝলেন তো poke এর
মানে বা এর কাজ কি। যদি আগে
থেকে জানেন তাহলে ভালো তবে যদি
এখন জানলেন তাহলে আরও ভালো।
আশা করি আমি আপনাদের poke এর
অর্থ বুঝাতে পেরেছি।
সিনেমাতো সব সময় দেখ কিন্তু সিনেমা কিভাবে তৈরী হয় তার রহস্য কি তুমি জান???(Photo And Video tune)
চলচ্চিত্রে হরহামেশাই দেখা যায় নায়ক বাইক নিয়ে শূন্যে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন, কিংবা এক দালানের ছাদ থেকে অন্য দালানের ছাদে লাফিয়ে বেড়াচ্ছেন খেলাচ্ছলে। এ ধরণের জীবন বাজি রেখে সাহসিকতার প্রদর্শনকে স্টান্ট (Stunt) বলা হয়। মজার ব্যাপার
হল
, চলচ্চিত্রে যেসব অদ্ভুত অদ্ভুত স্টান্ট দেখানো হয়, তার বেশিরভাগই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা। তারপরেও অনেক দৃশ্যই আছে যেগুলো সত্যি সত্যি জীবন বাজি রেখে করা হয়। কিন্তু বেশীরভাগ স্টান্টই নায়ক নিজে করে থাকেন না, এসব স্টান্ট দেখানোর জন্য থাকে স্টান্টম্যান, যারা পারদর্শী হন এধরণের ভয়ানক এবং বিপজ্জনক সাহসিকতা প্রদর্শনে। তারপরেও কিছু অভিনেতা আছেন যারা নিজেদের স্টান্ট নিজেরাই করতে পছন্দ করেন, যেমন হলিউডের টম ক্রুজ। মিশন ইম্পসিবল ৪-এ আমরা তাঁকে দেখি দুবাইয়ে অবস্থিত পৃথিবীর সর্বোচ্চ দালান বুর্জ খলিফার দেয়াল বেয়ে উঠতে। যদিও এধরণের কাজ করার সময় তাঁরা যথেষ্ট নিরাপত্তা বহন করেন, তবুও স্টান্ট করার সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে এবং অভিনেতার প্রাণহানি ঘটার নজির পর্যন্ত আছে।
এখনকার সময়ের প্রযুক্তি এতটাই উন্নত যে যেকোনো ধরণের চিত্রই গ্রাফিক্সের মাধ্যমে তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু পূর্বের চলচ্চিত্রগুলোতে এত প্রযুক্তির ব্যবহার হত না, তাই বিপজ্জনক কাজগুলো অভিনেতাদের করতেই হত। তখন অবশ্য পেশাদার স্টান্টম্যানের চলন ছিল না, তাই পরিচালকরা সাহসী যে কাউকে এনে স্টান্ট করাতেন। সর্বপ্রথম যে দুজন ব্যক্তি পেশাদার স্টান্টম্যান হিসেবে হলিউডে কাজ শুরু করেন তাঁদের নাম ছিল বাস্টার কিটন এবং কিস্টোন কপস।
চলচ্চিত্রে স্টান্ট দেখাতে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয় ৬০-এর দশকে। তখন শুন্য থেকে ঝাঁপিয়ে পড়া, বুলেটের গতি দেখানো এধরণের স্টান্টের চলন শুরু হয়। চলচ্চিত্রে আলোড়ন পড়ে যায় কম্পিউটার গ্রাফিক্সের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে। কম্পিউটারে সৃষ্ট ছবিতে পরিচালকরা ইচ্ছেমত চিত্র তৈরি করতে পারেন, একে বলা হয় CGI বা Computer Generated Imagery। বিভিন্ন মারামারির দৃশ্য, গাড়ি দুর্ঘটনা, বিস্ফোরণ, এধরণের শুটিং করতে CGI-এর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু CGI-এ যেকোনো চিত্র তৈরির খরচ অনেক বেশী পড়ে, আবার CGI-এর চেয়ে সত্যিকার ধারণকৃত চিত্রই দর্শক বেশী পছন্দ করে, তাই চলচ্চিত্র জগতে সবসময়ই পারদর্শী স্টান্টম্যানের চাহিদা সবচেয়ে বেশী।
ছায়াছবিতে যখন দেখা যায় নায়ক ভিলেনকে লাথি-ঘুসি মেরে মেরে কাহিল করে ফেলছে, আসলে কিন্তু
সত্যি সত্যি তারা মারামারি করে না। তারা একে অপরকে এমনভাবেই আঘাত করে যাতে কারও কোন চোট না লাগে। কিন্তু এসবই ক্যামেরার কারসাজি, যেখানে দেখানো হয় নায়কের ঘুসি খেয়ে ভিলেন ছিটকে গিয়ে পড়ে যাচ্ছে। আবার আমরা দেখি যে কেউ একজন গুলি খেলো আর তার শরীর থেকে রক্ত পড়াও শুরু হল, যেন সত্যি সত্যি গুলি লেগেছে। চলচ্চিত্রে কখনোই সতিকার গুলি ব্যবহার করা হয় না। পিস্তলগুলো খালি-ই থাকে, অথবা ফাঁকা গুলি ভরা থাকে। আর যে অভিনেতার গুলি খাবার কথা, তার শরীরের নির্দিষ্ট জায়গায় এক ব্যাগ নকল রক্ত আটকানো থাকে। কিন্তু সঠিক সময়ে ব্যাগটি ফাটবে কীভাবে? তার জন্য ব্যবহার করা হয় খুবই ছোট মানের এক ধরণের রিমোট কন্ট্রোল বিস্ফোরক। সঠিক সময়ে রিমোটের সাহায্যে ব্যাগটি ফাটিয়ে শরীর থেকে রক্ত বের করা হয়। চলচ্চিত্রে অনেক দৃশ্যেই দেখা যায় কোন এক অভিনেতাকে অনেক উপর থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হচ্ছে এবং নিচে পড়ে তার মৃত্যুও ঘটছে। এধরণের দৃশ্যে অভিনেতার পেছনে মোটা তার লাগানো থাকে, আর CGI-এর সাহায্যে খুব সহজেই তারটি মুছে ফেলা যায় এবং পতনটি বেশ দ্রুত হচ্ছে বলে দেখানো যায়।
চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বিপজ্জনক দৃশ্যগুলোর মধ্যে একটি হল কারও গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া। এধরণের
দৃশ্য ধারনের সময় অভিনেতারা বেশ কয়েক প্রস্থ আগুন নিরোধক কাপড় পড়ে থাকেন। এসবেস্টস-এর নাম আমরা অনেকেই জানি, এটি এমন একটি পদার্থ যাতে আগুন ধরে না এবং উত্তপ্ত হয় না। অভিনেতারা আগুন লাগানোর দৃশ্য ধারণের সময় এই এসবেস্টসের আবরণ শরীরে জড়িয়ে তারপর অভিনয় করে থাকেন। চলিচ্চত্রের জনপ্রিয় দৃশ্যগুলোর মধ্যে একটি হল গাড়ি নিয়ে ধাওয়া। ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস সিকুয়ালের ছবিগুলো এই ধাঁচের। এসব দৃশ্যে ব্যবহৃত গাড়িগুলো বিশেষভাবে তৈরি হয়। এদের গায়ে ক্যামেরা বসানোর জন্য জায়গা থাকে, অগ্নি-নির্বাপক প্রযুক্তি থাকে, এবং গাড়িকে হঠাৎ শূন্যে লাফ দেয়ানোর জন্য এর গিয়ারবক্স বিশেষভাবে তৈরি থাকে।
এ তো গেল সত্যিকার স্টান্টের কথা, CGI-এর সাহায্যে এখন টাকা খরচ করলেই যেকোনো দৃশ্য, যেকোনো স্থান স্টুডিওতেই তৈরি সম্ভব। 2012 চলচ্চিত্রে আমরা দেখতে পাই কীভাবে গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই ছবির এসব দৃশ্যই কিন্তু স্টুডিওর ভেতরেই ধারণ করা। CGI ব্যবহার করে যেকোনো স্থানকে নিজের ইচ্ছামতো স্থানে পরিণত করা সম্ভব। CGI প্রযুক্তি মূলত অ্যানিমেশন তৈরিরই আরেকটি আধুনিক ধারা। কিন্তু এখানে অ্যানিমেশনগুলো এতটাই অত্যাধুনিক হয়ে থাকে যে এদের সত্যিকার ধারণকৃত দৃশ্য বলেই মনে হয়। ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস সিরিজের সপ্তম ছবিটির নির্মাণকালে গাড়ি দুর্ঘটনায় অভিনেতা পল ওয়াকারের মৃত্যু ঘটে। কিন্তু ছবিটির শুটিং তখনও বাকি। তখন পল ওয়াকারের ভাইকে এনে তাঁর জায়গায় অভিনয় করানো হয়, এবং CGI-এর সাহায্যে তাঁর চেহারা পল ওয়াকারের মত করে পর্দায় দেখানো হয়।
Top 10 Actors Who Do Their Own Stunts
হল
, চলচ্চিত্রে যেসব অদ্ভুত অদ্ভুত স্টান্ট দেখানো হয়, তার বেশিরভাগই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা। তারপরেও অনেক দৃশ্যই আছে যেগুলো সত্যি সত্যি জীবন বাজি রেখে করা হয়। কিন্তু বেশীরভাগ স্টান্টই নায়ক নিজে করে থাকেন না, এসব স্টান্ট দেখানোর জন্য থাকে স্টান্টম্যান, যারা পারদর্শী হন এধরণের ভয়ানক এবং বিপজ্জনক সাহসিকতা প্রদর্শনে। তারপরেও কিছু অভিনেতা আছেন যারা নিজেদের স্টান্ট নিজেরাই করতে পছন্দ করেন, যেমন হলিউডের টম ক্রুজ। মিশন ইম্পসিবল ৪-এ আমরা তাঁকে দেখি দুবাইয়ে অবস্থিত পৃথিবীর সর্বোচ্চ দালান বুর্জ খলিফার দেয়াল বেয়ে উঠতে। যদিও এধরণের কাজ করার সময় তাঁরা যথেষ্ট নিরাপত্তা বহন করেন, তবুও স্টান্ট করার সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে এবং অভিনেতার প্রাণহানি ঘটার নজির পর্যন্ত আছে।
এখনকার সময়ের প্রযুক্তি এতটাই উন্নত যে যেকোনো ধরণের চিত্রই গ্রাফিক্সের মাধ্যমে তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু পূর্বের চলচ্চিত্রগুলোতে এত প্রযুক্তির ব্যবহার হত না, তাই বিপজ্জনক কাজগুলো অভিনেতাদের করতেই হত। তখন অবশ্য পেশাদার স্টান্টম্যানের চলন ছিল না, তাই পরিচালকরা সাহসী যে কাউকে এনে স্টান্ট করাতেন। সর্বপ্রথম যে দুজন ব্যক্তি পেশাদার স্টান্টম্যান হিসেবে হলিউডে কাজ শুরু করেন তাঁদের নাম ছিল বাস্টার কিটন এবং কিস্টোন কপস।
চলচ্চিত্রে স্টান্ট দেখাতে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয় ৬০-এর দশকে। তখন শুন্য থেকে ঝাঁপিয়ে পড়া, বুলেটের গতি দেখানো এধরণের স্টান্টের চলন শুরু হয়। চলচ্চিত্রে আলোড়ন পড়ে যায় কম্পিউটার গ্রাফিক্সের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে। কম্পিউটারে সৃষ্ট ছবিতে পরিচালকরা ইচ্ছেমত চিত্র তৈরি করতে পারেন, একে বলা হয় CGI বা Computer Generated Imagery। বিভিন্ন মারামারির দৃশ্য, গাড়ি দুর্ঘটনা, বিস্ফোরণ, এধরণের শুটিং করতে CGI-এর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু CGI-এ যেকোনো চিত্র তৈরির খরচ অনেক বেশী পড়ে, আবার CGI-এর চেয়ে সত্যিকার ধারণকৃত চিত্রই দর্শক বেশী পছন্দ করে, তাই চলচ্চিত্র জগতে সবসময়ই পারদর্শী স্টান্টম্যানের চাহিদা সবচেয়ে বেশী।
ছায়াছবিতে যখন দেখা যায় নায়ক ভিলেনকে লাথি-ঘুসি মেরে মেরে কাহিল করে ফেলছে, আসলে কিন্তু
সত্যি সত্যি তারা মারামারি করে না। তারা একে অপরকে এমনভাবেই আঘাত করে যাতে কারও কোন চোট না লাগে। কিন্তু এসবই ক্যামেরার কারসাজি, যেখানে দেখানো হয় নায়কের ঘুসি খেয়ে ভিলেন ছিটকে গিয়ে পড়ে যাচ্ছে। আবার আমরা দেখি যে কেউ একজন গুলি খেলো আর তার শরীর থেকে রক্ত পড়াও শুরু হল, যেন সত্যি সত্যি গুলি লেগেছে। চলচ্চিত্রে কখনোই সতিকার গুলি ব্যবহার করা হয় না। পিস্তলগুলো খালি-ই থাকে, অথবা ফাঁকা গুলি ভরা থাকে। আর যে অভিনেতার গুলি খাবার কথা, তার শরীরের নির্দিষ্ট জায়গায় এক ব্যাগ নকল রক্ত আটকানো থাকে। কিন্তু সঠিক সময়ে ব্যাগটি ফাটবে কীভাবে? তার জন্য ব্যবহার করা হয় খুবই ছোট মানের এক ধরণের রিমোট কন্ট্রোল বিস্ফোরক। সঠিক সময়ে রিমোটের সাহায্যে ব্যাগটি ফাটিয়ে শরীর থেকে রক্ত বের করা হয়। চলচ্চিত্রে অনেক দৃশ্যেই দেখা যায় কোন এক অভিনেতাকে অনেক উপর থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হচ্ছে এবং নিচে পড়ে তার মৃত্যুও ঘটছে। এধরণের দৃশ্যে অভিনেতার পেছনে মোটা তার লাগানো থাকে, আর CGI-এর সাহায্যে খুব সহজেই তারটি মুছে ফেলা যায় এবং পতনটি বেশ দ্রুত হচ্ছে বলে দেখানো যায়।
চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বিপজ্জনক দৃশ্যগুলোর মধ্যে একটি হল কারও গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া। এধরণের
দৃশ্য ধারনের সময় অভিনেতারা বেশ কয়েক প্রস্থ আগুন নিরোধক কাপড় পড়ে থাকেন। এসবেস্টস-এর নাম আমরা অনেকেই জানি, এটি এমন একটি পদার্থ যাতে আগুন ধরে না এবং উত্তপ্ত হয় না। অভিনেতারা আগুন লাগানোর দৃশ্য ধারণের সময় এই এসবেস্টসের আবরণ শরীরে জড়িয়ে তারপর অভিনয় করে থাকেন। চলিচ্চত্রের জনপ্রিয় দৃশ্যগুলোর মধ্যে একটি হল গাড়ি নিয়ে ধাওয়া। ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস সিকুয়ালের ছবিগুলো এই ধাঁচের। এসব দৃশ্যে ব্যবহৃত গাড়িগুলো বিশেষভাবে তৈরি হয়। এদের গায়ে ক্যামেরা বসানোর জন্য জায়গা থাকে, অগ্নি-নির্বাপক প্রযুক্তি থাকে, এবং গাড়িকে হঠাৎ শূন্যে লাফ দেয়ানোর জন্য এর গিয়ারবক্স বিশেষভাবে তৈরি থাকে।
এ তো গেল সত্যিকার স্টান্টের কথা, CGI-এর সাহায্যে এখন টাকা খরচ করলেই যেকোনো দৃশ্য, যেকোনো স্থান স্টুডিওতেই তৈরি সম্ভব। 2012 চলচ্চিত্রে আমরা দেখতে পাই কীভাবে গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই ছবির এসব দৃশ্যই কিন্তু স্টুডিওর ভেতরেই ধারণ করা। CGI ব্যবহার করে যেকোনো স্থানকে নিজের ইচ্ছামতো স্থানে পরিণত করা সম্ভব। CGI প্রযুক্তি মূলত অ্যানিমেশন তৈরিরই আরেকটি আধুনিক ধারা। কিন্তু এখানে অ্যানিমেশনগুলো এতটাই অত্যাধুনিক হয়ে থাকে যে এদের সত্যিকার ধারণকৃত দৃশ্য বলেই মনে হয়। ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস সিরিজের সপ্তম ছবিটির নির্মাণকালে গাড়ি দুর্ঘটনায় অভিনেতা পল ওয়াকারের মৃত্যু ঘটে। কিন্তু ছবিটির শুটিং তখনও বাকি। তখন পল ওয়াকারের ভাইকে এনে তাঁর জায়গায় অভিনয় করানো হয়, এবং CGI-এর সাহায্যে তাঁর চেহারা পল ওয়াকারের মত করে পর্দায় দেখানো হয়।
Top 10 Actors Who Do Their Own Stunts
যুগে যুগে মানুষ যখন অমরত্বের সন্ধানে/When people are forever in search of immortality
অমরত্ব লাভের নেশায় মানুষ সেই আদিম কাল থেকেই বিভোর রয়েছে আজও পর্যন্ত। কারও কাছে অনন্ত কালের জন্য জীবন প্রত্যাশাই হলো অমরত্ব, কারও কাছে মৃত্যুর পর তাঁর কীর্তি দিয়ে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার নামই হলো অমরত্ব আর কারও কাছে তার বয়স ধরে রাখার মাঝেই অমরত্বের স্বাদ কিংবা মৃত্যুর পর পুনর্জন্ম লাভের প্রত্যাশাই হয়তবা কারও কাছে অমরত্ব। মানুষের মরদেহকে মমি করে রাখার সময়কাল থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের ক্রিওনিক্স পদ্ধতি স
বই মানুষের অমরত্ব লাভের নেশার প্রতিফলন স্বরূপ। এমনকি র্যাপামাইসিন নামের এক ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে মানুষকে চিরযৌবন দেয়ার প্রত্যয়ে যা মানবদেহের কোষের উপর ক্রিয়াশীল। অসংখ্য কল্প কাহিনী লেখা হয়েছে এই অমরত্বকে কেন্দ্র করে। এমনকি বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করে যাচ্ছে সময়কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। জেমস ক্যামেরুন নির্মিত এভাটার চলচ্চিত্রটির কথাও ধরা যেতে পারে, যেখানে মানুষকে যন্ত্রের সাহায্যে দেয়া হয়েছে এক ভিন্ন মানব রূপের। যার পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকবে যন্ত্রের মাধ্যমে ক্রিয়াশীল। হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড তার বিখ্যাত নোভেল শী এবং রিটার্ণ অফ শী-তেও দেখিয়েছেন অমরত্ব লাভের নেশায় আয়েশা নামক এক চরিত্রের, যে কিনা বেঁচে থেকেছে অনন্ত কাল ধরে শুধু মাত্র তার ভালোবাসার মানুষটিকে আপন করে পাওয়ার জন্য। কবি জীবনানন্দ দাশ প্রিয় স্বদেশ ভূমিকে ভালোবেসে লিখেছেন;
আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে-এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়-হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হ'য়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে...
হিন্দু পুরাণ এবং মিশরীয় পুরাণের দুইজন দেবতার মূর্তির মধ্যে সাদৃশ্য বিদ্যমান
হিন্দু ধর্মে দেবতা বিষ্ণু তাঁর দশটি রূপে আবির্ভূত হয়েছেন মানুষের কল্যাণে ব্রত হয়ে। বিষ্ণুর দশ অবতার হলো;
১. মৎস্য - মাছের রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
২. কূর্ম - কচ্ছপের রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৩. বরাহ - শূকরের রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৪. নৃসিংহ - অর্ধনরসিংহ রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৫. বামন - বামনের রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৬. পরশুরাম - পরশু অর্থাৎ কুঠারধারী রামের রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৭. রাম - রামচন্দ্র অযোধ্যার রাজপুত্রের রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৮. কৃষ্ণ - দ্বাপরযুগে ভ্রাতা বলরামের সঙ্গে অবতীর্ণ
৯. বুদ্ধ - কলিযুগে অবতীর্ণ
১০. কল্কি - সর্বশেষ অবতার, হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, কলিযুগের অন্তে তাঁর আবির্ভাব ঘটবে।
আবার, শয়তান মানুষের অনিষ্ট সাধন করে তাদেরকে আল্লাহ্র পথ থেকে বিচ্যূত করার প্রত্যয়ে খোদ মহান আল্লাহ্ তাআলার কাছেই চেয়েছে কেয়ামত পর্যন্ত বেঁচে থাকার শক্তি। মানব সভ্যতার শুরু থেকেই চলে আসছে অমরত্বের নেশা। অমরত্বের সন্ধানে মানুষ বহু প্রাচীন কাল থেকেই করে আসছে আলকেমি নামক এক বিশেষ শাস্ত্রের চর্চা।
আলকেমি শব্দের উৎপত্তি আরবি আল কিমিয়া শব্দ থেকে যার প্রাচীন গ্রিক রূপ কেমিয়া। আলকেমি হচ্ছে সেই শাস্ত্র যার চর্চার মাধ্যমে লাভ করা যায় পরিপূর্ণতা, ধাতুকে পরিণত করা যায় স্বর্ণে, আর মানুষ লাভ করতে পারে অমরত্ব। আলকেমিতে দরকার একটি অদৃশ্য আধ্যাত্মিক শক্তির অতিপ্রাকৃত সাহায্য যেটা ছাড়া কোন আলকেমিক্যাল কাজ সম্পূর্ণ হবে না। এ আধ্যাত্মিক সাহায্য আসতে পারে ভাল দিক থেকে অথবা খারাপ দিক থেকে। যখন খারাপ শক্তি ব্যবহার করে করা হয় তখন তাকে বলা হয় ডার্ক আর্টস।
গ্রীসে মারিয়া ইতিহাসের প্রথম আলকেমিস্ট হিসেবে পরিচিতি। জন্মসূত্রে ইহুদী হওয়ায় ডার্ক আর্টস সম্পর্কে তাঁর জানা ছিলো। মিশরের মেমফিস নগরীতে তাঁর সাথে পরিচয় হয় ডেমোক্রিটাস নামের একজনের সাথে, যাকে তিনি বাস্তব রসায়ন নিয়ে হালকা ধারণা দেন। ইতিহাসে ডেমোক্রিটাসের নাম এখনও স্মরণীয়। মারিয়া স্বর্ণ বানাতে পারতেন। মুসলিম বিশ্বে আলকেমি সূচনা করেন জাবির ইবনে হাইয়ান এবং প্রথমবারের মতো তিনি আধ্যাত্মিক শক্তি হিসেবে আল্লাহর সাহায্যের কথা উল্ল্যেখ করেন। তারপরের সময়টা আরেক কিংবদন্তী নিকোলাস ফ্লামেলের। যিনি তাঁর বইয়ের দোকানে একদিন এক হকারের কাছে পান আলকেমির উপর লেখা ইহুদী যুবরাজ আব্রাহাম এর একটি পান্ডুলিপি। তারপর তিনি ছুটতে থাকেন অমরত্বের সন্ধানে। একটা সময় তিনি গবেষণা করে পারদকে রূপোয় পরিণত করতে সক্ষম হন। তারপর পরিণত করতে সক্ষম হন নিখাদ স্বর্ণে। তাঁর আলকেমি গবেষণার আসল লক্ষ্য ছিলো অমরত্ব লাভ। তাঁর স্ত্রী পেরেনেল এর মৃত্যুর পর জীবনের শেষ কয়েকটা দিন তিনি আলকেমির বই লিখেই কাটিয়েছেন। এই সময়ে তিনি কবরস্থানে ঘুরে বেড়াতেন। তিনি খুব স্পষ্ট করে লিখে দিলেন, তাঁকে কোথায় কীভাবে কবর দিতে হবে। তাঁর কবরের এপিটাফে কী লেখা থাকবে সেটাও প্রস্তুত করে ফেললেন তিনি। সেই পাথরের ফলকে থাকবে অনেক অনেক চিহ্ন, আর একটি সূর্যের ছবি, একটি চাবির ছবি আর একটি বন্ধ বই এর ছবি সাথে হাঁটু গেড়ে প্রার্থনারত ভঙ্গিতে আছেন এমন অবস্থায়। অবশেষে একদিন জানা গেলো ফ্লামেল মারাই গিয়েছেন। কিংবদন্তী আছে যে, একবার কিছু ডাকাতদল দুইশত বছর আগের নিকোলাসের কবর থেকে তাঁর কফিন চুরি করে। কিন্তু কবরের ভিতরে কফিন ছিলো একদম ফাঁকা। কফিন ফাঁকাই ছিলো নাকি কোন কালেই নাকি এখানে কোন দেহ ছিলো না। নিকোলাস যদি সেদিনই মারা গিয়েই থাকেন, তবে তাঁর কবর এখানে হয়নি। এটা ছিলো মূলত লোক দেখানো। কিন্তু আসলে নিকোলাসের সাথে কি হয়েছিলো, তাঁর গবেষণালব্ধ লিখিত বইয়ের পরবর্তীতে কি হয়েছিলো, কে বা কাদের তিনি সেসব দিয়ে গিয়েছিলেন কিংবা কারা সেসব পেয়েছিলো সব কিছুই রহস্য হয়ে রয়ে গেছে আজও পর্যন্ত।
আলকেমির চূড়ান্ত পর্যায় হলো একটি পদার্থ তৈরি করা, যেটি সম্পর্কে বিশ্বাস করা হয়, সেই পদার্থ দিয়ে মহাবিশ্বের সব রহস্যের সমাধান পাওয়া যাবে। সেই পদার্থের রয়েছে দুটি অংশ, প্রথমটি কঠিন আর দ্বিতীটি তরল।
পরশ মণি বা পরশ পাথর সম্পর্কে প্রাচীন কিছু পাণ্ডুলিপি থেকে পাওয়া যায়। দুই রকমের পরশমণির কথা জানা যায়। একটি সাদা, আরেকটি লাল। সাদা পাথরের শক্তি কম আর সেটা ধাতুকে পরিণত করতে পারে রূপায়। লাল পাথরের শক্তি বেশি আর সেটা ধাতুকে স্বর্ণে পরিণত করতে পারে। লাল পাথর গুড়ো করলে এ পাথরের রঙ কমলা বা লাল এর মতো দেখায়, কিন্তু কঠিন অবস্থায় টকটকে লাল রং এর মতো দেখায়। তখন এটি থাকে স্বচ্ছ আর কাঁচের মতো।
অমৃত সুধা বা এলিক্সির অফ লাইফ। সাদা রঙের তরল কয়েক ফোঁটা পান করলে দীর্ঘায়ু লাভ করা যায়। তবে এটিকে অমরত্বের জন্যই মূলত বানানোর চেষ্টা করা হতো। কিন্তু আসলে অমরত্ব দেয়ার মতো কোন পদার্থ তৈরি করা সম্ভব না। বড়জোর দীর্ঘায়ু হতে পারে। ফারসিতে একে বলা হয় আবে হায়াত।
অমরত্বের সুধা বা আবে হায়াত। ইসলাম ধর্ম অনুসারে কোহেকাফ শহরের এক অমরত্বের ঝর্ণার কাহিনী। কোহেকাফ জিনদের রাজধানী শহর। জিনদের সম্পর্কে যা জানা যায়, তারা নাকি হাজার বছরের জীবন লাভ করে থাকে। তবে কি তারা এই কোহেকাফের ঝর্ণার পানি খেয়েই হাজার বছর ধরে বেঁচে থাকে ! একটা সময় মানুষের আয়ু ছিলো দীর্ঘ বছরের। কিন্তু কালে কালে মানুষের সেই আয়ুকাল কমে আসলেও অমরত্বের নেশা কাটেনি। তবে আয়ুকাল যে একই যুগে সবার সমান সেটাও সঠিক নয়। কেউ হয়ত জন্মের সাথে সাথেই মারা যাচ্ছে কেউবা সত্তুর বছর, কেউবা বেঁচে থাকছে একশত বছর পর্যন্ত। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কয়েকজন নবী রাসূলদের আয়ুকাল দেখে নেয়া যাক;
হযরত আদম (আঃ) - ১০০০ বছর
হযরত নূহ (আঃ) - ৯৫০ বছর
হযরত শোয়েব (আঃ) - ৮৮২ বছর
হযরত সালেহ (আঃ) - ৫৫৮ বছর
হযরত জাকারিয়া (আঃ) - ২০৭ বছর
হযরত ইব্রাহীম (আঃ) - ১৯৫ বছর
হযরত সুলাইমান (আঃ) - ১৫০ বছর
হযরত ইসমাঈল (আঃ) - ১৩৭ বছর
হযরত ইয়াকুব (আঃ) - ১২৯ বছর
হযরত মূসা (আঃ) - ১২৫ বছর
হযরত ইসহাক (আঃ) - ১২০ বছর
হযরত হারুন (আঃ) - ১১৯ বছর
হযরত ইউসূফ (আঃ) - ১১০ বছর
হযরত ঈসা (আঃ) - ৯৫ বছর
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) - ৬৩ বছর
বাদশাহ সিকান্দার যুলকারনাইন এর রাজত্বকাল। একদিন খিজির (আঃ) জানালেন সমুদ্রের ওপারে একটি অন্ধকারের দেশ আছে। সেখানে সারাক্ষণ আঁধার থাকে। সেখানে এক গুহায় নাকি আবে হায়াতের ঝর্ণা আছে। সে পানি খেলে কেউ নাকি মরে না। যুলকারনাইন সিদ্ধান্ত নিলেন সেই পানির খোঁজে যাবেন। তিনি সাথে প্রায় ৪০০০ যুবক নিলেন। তিনি তাঁর উজির খিজির (আঃ) আর তাঁর আরেক সভাসদ ইলিয়াসকেও বললেন তাঁর সাথে আসতে। সাথে অনেক দিনের খাদ্য মজুদ নেয়া হলো। তবে, যাবার আগে সবাইকে সতর্ক করা হলো সেই মানবহীন এলাকাতে তাঁরা যেন কোন আগুন বা সেরকম আলো দিয়েনা যান। যাই হোক, তারা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে সেই আঁধারে প্রবেশ করলেন। কোহেকাফ এর পার্বত্য এলাকার মাঝে সেই নির্দিষ্ট গুহা খুঁজে বের করা প্রায় অসম্ভব। যুলকারনাইন দলে দলে ভাগ হয়ে খোঁজা শুরু করতে বললেন। আর তিনি একা যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু খিজির (আঃ) আর ইলিয়াস দুজন একসাথে যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন। যুলকারনাইন এক দিকে আর তাঁরা অন্য দিকে গেলেন। বাকিরাও বিভিন্ন দিকে গেল। আনুমানিক প্রায় এক সপ্তাহ সময় পার হয়ে গেল। বিভিন্ন রাত তাঁরা বিভিন্ন গুহায় কাটালেন। আর কোন দলের সাথে তাঁদের দেখাও হল না। একদিন ক্লান্ত হয়ে এক গুহায় আশ্রয় নিলেন তাঁরা দুজন। এরপর খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলেন। শুকনো মাছ বের করলেন। খিজির (আঃ) পাশের এক ঝর্ণায় হাত ধুয়ে আসলেন। এরপর মাছটা দুভাগ করতে হাতে নিলেন। যেই তাঁর হাতের পানি মাছের গায়ে লাগলো সাথে সাথে সেই মরা মাছ জীবিত হয়ে উঠলো। তিনি বুঝলেন তাঁরা অমরত্বের ঝর্ণা খুঁজে পেয়েছেন। তিনি সেখান থেকে হাত দিয়ে পানি পান করলেন। এরপর ইলিয়াসকে ডেকে তাঁকেও খাওয়ালেন। তখন দৈবজ্ঞানে তাঁদের জানানো হলো, তাদের আয়ু কেয়ামত পর্যন্ত। তাঁরা যেন এখন থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকেন। আর বাদশাহ এ পানি খেতে পারবেন না। তাঁরা সেখান থেকে চলে গেলেন। এরপর থেকে তাঁদের অবস্থান কেউ জানত না। যাই হোক, এরপর বাদশাহ আরও অনেকদিন পর সেই গুহা আর সেই ঝর্ণা আবিষ্কার করেন। এরপর সাথে করা আনা পেয়ালাতে করে তিনি পানি উঠিয়ে পান করতে গেলেন। কিন্তু পান করতে পারলেন না। তাঁর মনে হলো, তিনি একা এই পৃথিবীতে বেঁচে থেকে কী হবে ? তাঁর স্ত্রী পুত্র কন্যার সাথেই যদি তিনি না বাঁচলেন, তাহলে সে জীবনের আর অর্থ কী ? তিনি বেঁচে থাকবেন আর তাঁর স্ত্রী পুত্র কন্যা তাঁর চোখের সামনে মারা যাবে, সে হতে পারে না। তাঁরা সবাই একসাথে এ পানি খাবেন। এ কথা ভেবে তিনি সেই ঝর্ণা থেকে পানি ভরলেন তাঁর মশকে। এরপর ফিরতি যাত্রা শুরু করলেন। অন্ধকার রাজ্যে পথ ফিরে পেতে অনেক কষ্ট হলো। যখন তীরে ফিরে এলেন তখন দেখলেন অনেকেই ফিরতে পারেনি এত লম্বা সময়েও। হয়ত খাদ্যের অভাবে অনেকে মারাও গেছে যারা আঁধারে প্রবেশ করেছিলো। এরপর যারা বাকি আছে তাঁর বাহিনীর তাদের নিয়ে তিনি সমুদ্রপথে সরাসরি নিজের দেশে ফিরলেন। তিনি মশক থেকে পুরো পানি একটা সুন্দর পেয়ালায় ভরলেন। এরপর সেই পেয়ালা নিয়ে দ্রুতপায়ে এগিয়ে গেলেন তাঁর পরিবারের দিকে। কিন্তু ঘরের দরজার চৌকাঠে হোঁচট খেলেন। আর হাত থেকে ছিটকে পড়ে গেল তাঁর পেয়ালা। আর উত্তপ্ত মেঝে শুষে নিলো সবপানি। তিনি তাকিয়েই থাকলেন সেইদিকে। তাঁর ভাগ্যে ছিলো না আবে হায়াতের পানি।
এরপর খিজির (আঃ) কে দেখা যায় মূসা (আঃ) এর সময়ে। বায়হাকি হাদিস গ্রন্থ মতে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জানাজার সময় খিজির (আঃ) এর উপস্থিত হয়েছিলেন এবং আবু বকর (রাঃ) আর আলী (রাঃ) তাঁকে চিনতে পারেন। তিনি তাদেরকে সান্ত্বনা দিতে এসেছিলেন। তাফসিরকারকদের মতে, ভবিষ্যৎবাণী মতে যে লোকটি দাজ্জালের সাথে তর্কে যাবে সেই লোকটিই হবেন খিজির (আঃ)।
কিন্তু এখানে একটি বিষয় খুব লক্ষণীয়, ইতিহাসে অনেক জায়গায় খিজির (আঃ) এর আরেকজন সাথী ইলিয়াস যিনিও পেয়েছিলেন অমরত্বের স্বাদ তাঁর ইতিহাস চর্চা তেমন কোন রেওয়াতে পাওয়া যায়না। অনেক রেওয়াতে ইলিয়াস নামের কেউ যে খিজির (আঃ) এর সাথী ছিলেন তেমন কিছুই উল্ল্যেখ নেই। আর উল্ল্যেখ থাকলেও তাঁর পরবর্তী কোন ঘটনার উল্ল্যেখ পাওয়া যায়না তেমন ভাবে। যদি খিজির (আঃ) এর মতো ইলিয়াস নামের সেই ব্যাক্তিও অমরত্বের স্বাদ পেয়ে থাকেন তবে তিনি এখন কোথায় আছেন ? কিংবা কেয়ামতের আগে তাঁর দেখা কি পাওয়া যাবে ? যেভাবে খিজির (আঃ) এর দেখা পাওয়া যাবে। কিছু কিছু রেওয়াতে এসেছে খিজির (আঃ) নাকি ইলিয়াসের সাথে দেখা করেন। যাই হোক আমার ভাবনা এখানে ইলিয়াসের মাঝে এসে রহস্য সৃষ্টি করে। জন্ম দেয় অনেক প্রশ্নের।
মিশরীয় পুরাণ অনুযায়ী দেবী আইসিস পুত্র হোরাসও নাকি জীবনের এক পর্যায় এসে উধাও হয়ে যান। বিশ্বাস করা হয় যে হোরাস জীবিত আছেন। তিনি আবারও ফিরে আসবেন। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় দাজ্জাল আসবে কেয়ামতের আগে। তার জন্মের কথা না বলে বলা আছে আবির্ভাবের কথা। এমনকি তার পৃথিবীতে অবস্থানের সময়কাল পৃথিবীর সময়কালের সাথে পারস্পরিক বিরোধী। তবে ধারণা করা যায় দাজ্জালের জন্ম বহু আগেই হয়েছে। সে কোথাও আত্মগোপন আছে। সময় হলে তার আবির্ভাব হবে। এমনকি ইসলাম ধর্ম এবং খ্রিষ্টান ধর্ম অনুযায়ী ঈসা (আঃ)/যীশু ফিরে আসবেন আবারও এই পৃথিবীতে। তিনি বেঁচে আছেন। এমনকি তাঁর হাতেই মৃত্যু হবে দাজ্জালের। এমনকি হিন্দু ধর্মেও বলা আছে দেবতা বিষ্ণু পৃথিবীর শেষ সময়ে কল্কি রূপে আবির্ভূত হবেন। সে যাই হোক, সবগুলো ঘটনা জন্ম দেয় নানা রকমের রহস্যের। একদিন হয়ত ঠিকই সব রহস্যের জট খুলে যাবে ঠিকই। যীশুর কথা আসতেই মনে হলো হলি গ্রেইলের কথা। অমরত্ব লাভের আরেকটি পুরাণ হলো হলি গ্রেইল। হলি গ্রেইল হলো সেই পেয়ালা যেটাতে করে যীশুর ক্রুশবিদ্ধ দেহের রক্ত ধারন করা হয় আর যেটাতে করে পানি খেলে অমরত্ব পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী, কেয়ামতের পূর্বে ঈসা (আঃ) এবং দাজ্জালের মাঝে যে যুদ্ধ হবে সেগুলো হবে ২০৬০ সালের আশেপাশে। এক পাণ্ডুলিপিতে বিজ্ঞানী নিউটন লিখে গেছেন, তিনি হিসেব করে বের করেছেন ২০৬০ সালের আগে কোন মতেই কেয়ামত হবে না।
স্যার আইজ্যাক নিউটন বিশাল গবেষণা করেন সলোমনের এ টেম্পল নিয়ে। তিনি হিব্রু থেকে নিজে সব অনুবাদ করেন। নিজের হাতে টেম্পল অফ সলোমনের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন আঁকেন। জেরুজালেমের বাইতুল মুকাদ্দাস একাধারে মুসলিম, ইহুদী আর খ্রিষ্টান সবার কাছেই পবিত্র। নবী সোলায়মান (আঃ) এর নির্মিত উপাসনালয় টেম্পল অফ সলোমন ছিলো এখানে। সেটা ধ্বংস করে দেবার পরে ধ্বংসস্থলে বর্তমান সোনালি গম্বুজের এক উপাসনালয় গড়ে তোলা হয়। তবে সোনালি গম্বুজের উপাসনালয়টি আল আক্সা মসজিদ নয়। মূল আল আক্সা মসজিদ ভেঙে এখন সেখানে নতুন করে সলোমন টেম্পল বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। মসজিদুল আল আক্সার কাছের এ জায়গা থেকেই হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মেরাজ সংঘটিত হয়। যা বাইতুল মুকাদ্দাস নামে হিব্রু ভাষায় পরিচিত। এখানে আছে ডোম অফ দ্যা রক কিংবা মসজিদ কুব্বাতুস সাখ্রা। সাখ্রা হলো পাথর বা রক। এখন যে গম্বুজ এর মতো আছে সেটা নবীজির সময় ছিলো না। আর উপরের এই জায়গা থেকেই প্রিয় নবী মেরাজে যান বোরাকে চড়ে। যে পাথরে চড়ে যান, সেটা ওখানে আছে। সেই পাথরের নামেই এর নাম করণ করা হয়। উল্লেখ্য, টেম্পল অফ সলোমনেই সেই আর্ক অফ দ্যা কভেন্যান্ট সিন্দুক রক্ষিত থাকত। একটা সময় নাইট টেম্পলারদের আর্ক অফ দা কভেন্যান্ট সিন্দুক খুঁজে বের করা আর সাথে সাথে উপকথার হলি গ্রেইল খুঁজে বের করাও ছিলো প্রধান লক্ষ্য। নাইট টেম্পলাররা টেম্পল অফ সলোমনের কাছে থাকার জন্য দ্বাদশ শতকে তাদের উপাসনালয় বানায় বাইতুল মুকাদ্দাসের মসজিদুল আক্সাকে।
ইহুদীরা অনেক দিন ধরে টেম্পল অফ সলোমন আবারও বানাতে চাচ্ছে। এখন যেটি প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া মূল আল আক্সা মসজিদ সেটা পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারলেই তারা সেটা বানাতে পারবে। তাদের ভবিষ্যৎবাণী মতে, তাদের মসিহ দাজ্জাল জেরুজালেমের এই টেম্পল থেকেই পৃথিবী শাসন করবে। তারপরেই ইমাম মাহদির সাথে যুদ্ধ হবে আর হযরত ঈসা (আঃ) দাজ্জালকে হত্যা করবেন। বাইবেলে অনুসারে এ যুদ্ধের নামই আরমাগেডন।
বিজ্ঞানি নিউটন তার যত বৈজ্ঞানিক গবেষণা করেছেন তারচেয়ে অধিক সময়ে তিনি নিমগ্ন হয়ে থাকতেন ভিন্ন এক জগৎ নিয়ে। তবে সে জগতের গবেষণা তার মৃত্যুর আগে প্রকাশিত হয়নি। জীবনের এক পর্যায় তিনি বাইবেলের তাফসির লেখা শুরু করেন। তবে এ লেখা প্রকাশিত হয় তাঁর মৃত্যুর অর্ধ শতাব্দী পর। স্যার আইজ্যাক নিউটন ঘুমের মধ্যেই মারা যান। মারা যাবার পর তাঁর চুল পরীক্ষা করে অত্তাধিক পারদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে নিউটনের অপ্রকাশিত লেখাগুলো প্রকাশ পেতে থাকে। আলকেমির জন্য জীবনের বেশির ভাগ সময় পার করে দেয়া নিউটনের অজানা সব দিক প্রকাশ পেতে থাকে। দশ লক্ষেরও বেশি শব্দ নিউটন লিখে গেছেন কেবল এই আলকেমির ফিলোসফারস স্টোন এর উপর। একবার তাঁর ল্যাবরেটরি আগুনে পুড়ে যাবার পর তিনি ভেঙে পড়েন। তাঁর বেশির ভাগ আলকেমিক্যাল লেখা পুড়ে যায় সেই আগুনে। বলা হয়, দুর্ঘটনাবশত তাঁর কুকুর ডায়মন্ড সেই আগুনের সূত্রপাত করে। আগুন লেগে যায় নিউটনের সব গবেষণায়। তিনি আবারো তাঁর কাজ শুরু করেন। একটা সময় নিউটন পাগলামির লক্ষণ প্রকাশ করা শুরু করেন। আর এর জন্য দায়ী ছিলো অতিরিক্ত পারদের উপস্থিতি। লাল গুঁড়ো প্রস্তুতির সূত্রগুলোর ধাপগুলো ছিল পারদে বারবার তাপ প্রয়োগ এবং শীতলীকরণ প্রক্রিয়া। এজন্যই তাঁকে বেশি সময় কাটাতে হয়েছিলো পারদের সংস্পর্শে। তাঁর মৃত্যুর পর সেই লাল গুঁড়ো এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিংশ শতাব্দীতে খুঁজে পাওয়া নিউটনের এসব আলকেমিক্যাল পাণ্ডুলিপি পড়ে যেটা বোঝা গেছে তা হলো, নিউটনের আলো আর মহাকর্ষ বিষয়ক গবেষণাগুলো আলকেমিক্যাল গবেষণা থেকেই পাওয়া। বিজ্ঞানের প্রতিটি স্তরেই রয়েছে তাঁর অসামান্য অবদান। কিন্তু তাঁর সারা জীবনের যত গবেষণা তার অল্প একটা অংশই ছিল বিজ্ঞান নিয়ে। তারচেয়ে অনেক বেশি সময় তিনি ব্যয় করেছেন অতীন্দ্রিয় আর অতিপ্রাকৃত অমরত্বের সন্ধানে। শেষ বয়সে পাগল হয়ে মারা যান ইতিহাসের শেষ আলকেমিস্ট স্যার আইজ্যাক নিউটন।
তথ্যসূত্রঃ
উইকিপিডিয়া, লাইট অফ ইসলাম, রিচার্ড ক্যাসেরোর লেখা রিটেন ইন স্টোনঃ ডিপার ট্রুথ, এবং আবদুল্লাহ ইবনে মাহমুদ এর আর্টিকেল।
বই মানুষের অমরত্ব লাভের নেশার প্রতিফলন স্বরূপ। এমনকি র্যাপামাইসিন নামের এক ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে মানুষকে চিরযৌবন দেয়ার প্রত্যয়ে যা মানবদেহের কোষের উপর ক্রিয়াশীল। অসংখ্য কল্প কাহিনী লেখা হয়েছে এই অমরত্বকে কেন্দ্র করে। এমনকি বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করে যাচ্ছে সময়কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। জেমস ক্যামেরুন নির্মিত এভাটার চলচ্চিত্রটির কথাও ধরা যেতে পারে, যেখানে মানুষকে যন্ত্রের সাহায্যে দেয়া হয়েছে এক ভিন্ন মানব রূপের। যার পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকবে যন্ত্রের মাধ্যমে ক্রিয়াশীল। হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড তার বিখ্যাত নোভেল শী এবং রিটার্ণ অফ শী-তেও দেখিয়েছেন অমরত্ব লাভের নেশায় আয়েশা নামক এক চরিত্রের, যে কিনা বেঁচে থেকেছে অনন্ত কাল ধরে শুধু মাত্র তার ভালোবাসার মানুষটিকে আপন করে পাওয়ার জন্য। কবি জীবনানন্দ দাশ প্রিয় স্বদেশ ভূমিকে ভালোবেসে লিখেছেন;
আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে-এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়-হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হ'য়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে...
হিন্দু পুরাণ এবং মিশরীয় পুরাণের দুইজন দেবতার মূর্তির মধ্যে সাদৃশ্য বিদ্যমান
হিন্দু ধর্মে দেবতা বিষ্ণু তাঁর দশটি রূপে আবির্ভূত হয়েছেন মানুষের কল্যাণে ব্রত হয়ে। বিষ্ণুর দশ অবতার হলো;
১. মৎস্য - মাছের রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
২. কূর্ম - কচ্ছপের রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৩. বরাহ - শূকরের রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৪. নৃসিংহ - অর্ধনরসিংহ রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৫. বামন - বামনের রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৬. পরশুরাম - পরশু অর্থাৎ কুঠারধারী রামের রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৭. রাম - রামচন্দ্র অযোধ্যার রাজপুত্রের রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৮. কৃষ্ণ - দ্বাপরযুগে ভ্রাতা বলরামের সঙ্গে অবতীর্ণ
৯. বুদ্ধ - কলিযুগে অবতীর্ণ
১০. কল্কি - সর্বশেষ অবতার, হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, কলিযুগের অন্তে তাঁর আবির্ভাব ঘটবে।
আবার, শয়তান মানুষের অনিষ্ট সাধন করে তাদেরকে আল্লাহ্র পথ থেকে বিচ্যূত করার প্রত্যয়ে খোদ মহান আল্লাহ্ তাআলার কাছেই চেয়েছে কেয়ামত পর্যন্ত বেঁচে থাকার শক্তি। মানব সভ্যতার শুরু থেকেই চলে আসছে অমরত্বের নেশা। অমরত্বের সন্ধানে মানুষ বহু প্রাচীন কাল থেকেই করে আসছে আলকেমি নামক এক বিশেষ শাস্ত্রের চর্চা।
আলকেমি শব্দের উৎপত্তি আরবি আল কিমিয়া শব্দ থেকে যার প্রাচীন গ্রিক রূপ কেমিয়া। আলকেমি হচ্ছে সেই শাস্ত্র যার চর্চার মাধ্যমে লাভ করা যায় পরিপূর্ণতা, ধাতুকে পরিণত করা যায় স্বর্ণে, আর মানুষ লাভ করতে পারে অমরত্ব। আলকেমিতে দরকার একটি অদৃশ্য আধ্যাত্মিক শক্তির অতিপ্রাকৃত সাহায্য যেটা ছাড়া কোন আলকেমিক্যাল কাজ সম্পূর্ণ হবে না। এ আধ্যাত্মিক সাহায্য আসতে পারে ভাল দিক থেকে অথবা খারাপ দিক থেকে। যখন খারাপ শক্তি ব্যবহার করে করা হয় তখন তাকে বলা হয় ডার্ক আর্টস।
গ্রীসে মারিয়া ইতিহাসের প্রথম আলকেমিস্ট হিসেবে পরিচিতি। জন্মসূত্রে ইহুদী হওয়ায় ডার্ক আর্টস সম্পর্কে তাঁর জানা ছিলো। মিশরের মেমফিস নগরীতে তাঁর সাথে পরিচয় হয় ডেমোক্রিটাস নামের একজনের সাথে, যাকে তিনি বাস্তব রসায়ন নিয়ে হালকা ধারণা দেন। ইতিহাসে ডেমোক্রিটাসের নাম এখনও স্মরণীয়। মারিয়া স্বর্ণ বানাতে পারতেন। মুসলিম বিশ্বে আলকেমি সূচনা করেন জাবির ইবনে হাইয়ান এবং প্রথমবারের মতো তিনি আধ্যাত্মিক শক্তি হিসেবে আল্লাহর সাহায্যের কথা উল্ল্যেখ করেন। তারপরের সময়টা আরেক কিংবদন্তী নিকোলাস ফ্লামেলের। যিনি তাঁর বইয়ের দোকানে একদিন এক হকারের কাছে পান আলকেমির উপর লেখা ইহুদী যুবরাজ আব্রাহাম এর একটি পান্ডুলিপি। তারপর তিনি ছুটতে থাকেন অমরত্বের সন্ধানে। একটা সময় তিনি গবেষণা করে পারদকে রূপোয় পরিণত করতে সক্ষম হন। তারপর পরিণত করতে সক্ষম হন নিখাদ স্বর্ণে। তাঁর আলকেমি গবেষণার আসল লক্ষ্য ছিলো অমরত্ব লাভ। তাঁর স্ত্রী পেরেনেল এর মৃত্যুর পর জীবনের শেষ কয়েকটা দিন তিনি আলকেমির বই লিখেই কাটিয়েছেন। এই সময়ে তিনি কবরস্থানে ঘুরে বেড়াতেন। তিনি খুব স্পষ্ট করে লিখে দিলেন, তাঁকে কোথায় কীভাবে কবর দিতে হবে। তাঁর কবরের এপিটাফে কী লেখা থাকবে সেটাও প্রস্তুত করে ফেললেন তিনি। সেই পাথরের ফলকে থাকবে অনেক অনেক চিহ্ন, আর একটি সূর্যের ছবি, একটি চাবির ছবি আর একটি বন্ধ বই এর ছবি সাথে হাঁটু গেড়ে প্রার্থনারত ভঙ্গিতে আছেন এমন অবস্থায়। অবশেষে একদিন জানা গেলো ফ্লামেল মারাই গিয়েছেন। কিংবদন্তী আছে যে, একবার কিছু ডাকাতদল দুইশত বছর আগের নিকোলাসের কবর থেকে তাঁর কফিন চুরি করে। কিন্তু কবরের ভিতরে কফিন ছিলো একদম ফাঁকা। কফিন ফাঁকাই ছিলো নাকি কোন কালেই নাকি এখানে কোন দেহ ছিলো না। নিকোলাস যদি সেদিনই মারা গিয়েই থাকেন, তবে তাঁর কবর এখানে হয়নি। এটা ছিলো মূলত লোক দেখানো। কিন্তু আসলে নিকোলাসের সাথে কি হয়েছিলো, তাঁর গবেষণালব্ধ লিখিত বইয়ের পরবর্তীতে কি হয়েছিলো, কে বা কাদের তিনি সেসব দিয়ে গিয়েছিলেন কিংবা কারা সেসব পেয়েছিলো সব কিছুই রহস্য হয়ে রয়ে গেছে আজও পর্যন্ত।
আলকেমির চূড়ান্ত পর্যায় হলো একটি পদার্থ তৈরি করা, যেটি সম্পর্কে বিশ্বাস করা হয়, সেই পদার্থ দিয়ে মহাবিশ্বের সব রহস্যের সমাধান পাওয়া যাবে। সেই পদার্থের রয়েছে দুটি অংশ, প্রথমটি কঠিন আর দ্বিতীটি তরল।
পরশ মণি বা পরশ পাথর সম্পর্কে প্রাচীন কিছু পাণ্ডুলিপি থেকে পাওয়া যায়। দুই রকমের পরশমণির কথা জানা যায়। একটি সাদা, আরেকটি লাল। সাদা পাথরের শক্তি কম আর সেটা ধাতুকে পরিণত করতে পারে রূপায়। লাল পাথরের শক্তি বেশি আর সেটা ধাতুকে স্বর্ণে পরিণত করতে পারে। লাল পাথর গুড়ো করলে এ পাথরের রঙ কমলা বা লাল এর মতো দেখায়, কিন্তু কঠিন অবস্থায় টকটকে লাল রং এর মতো দেখায়। তখন এটি থাকে স্বচ্ছ আর কাঁচের মতো।
অমৃত সুধা বা এলিক্সির অফ লাইফ। সাদা রঙের তরল কয়েক ফোঁটা পান করলে দীর্ঘায়ু লাভ করা যায়। তবে এটিকে অমরত্বের জন্যই মূলত বানানোর চেষ্টা করা হতো। কিন্তু আসলে অমরত্ব দেয়ার মতো কোন পদার্থ তৈরি করা সম্ভব না। বড়জোর দীর্ঘায়ু হতে পারে। ফারসিতে একে বলা হয় আবে হায়াত।
অমরত্বের সুধা বা আবে হায়াত। ইসলাম ধর্ম অনুসারে কোহেকাফ শহরের এক অমরত্বের ঝর্ণার কাহিনী। কোহেকাফ জিনদের রাজধানী শহর। জিনদের সম্পর্কে যা জানা যায়, তারা নাকি হাজার বছরের জীবন লাভ করে থাকে। তবে কি তারা এই কোহেকাফের ঝর্ণার পানি খেয়েই হাজার বছর ধরে বেঁচে থাকে ! একটা সময় মানুষের আয়ু ছিলো দীর্ঘ বছরের। কিন্তু কালে কালে মানুষের সেই আয়ুকাল কমে আসলেও অমরত্বের নেশা কাটেনি। তবে আয়ুকাল যে একই যুগে সবার সমান সেটাও সঠিক নয়। কেউ হয়ত জন্মের সাথে সাথেই মারা যাচ্ছে কেউবা সত্তুর বছর, কেউবা বেঁচে থাকছে একশত বছর পর্যন্ত। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কয়েকজন নবী রাসূলদের আয়ুকাল দেখে নেয়া যাক;
হযরত আদম (আঃ) - ১০০০ বছর
হযরত নূহ (আঃ) - ৯৫০ বছর
হযরত শোয়েব (আঃ) - ৮৮২ বছর
হযরত সালেহ (আঃ) - ৫৫৮ বছর
হযরত জাকারিয়া (আঃ) - ২০৭ বছর
হযরত ইব্রাহীম (আঃ) - ১৯৫ বছর
হযরত সুলাইমান (আঃ) - ১৫০ বছর
হযরত ইসমাঈল (আঃ) - ১৩৭ বছর
হযরত ইয়াকুব (আঃ) - ১২৯ বছর
হযরত মূসা (আঃ) - ১২৫ বছর
হযরত ইসহাক (আঃ) - ১২০ বছর
হযরত হারুন (আঃ) - ১১৯ বছর
হযরত ইউসূফ (আঃ) - ১১০ বছর
হযরত ঈসা (আঃ) - ৯৫ বছর
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) - ৬৩ বছর
বাদশাহ সিকান্দার যুলকারনাইন এর রাজত্বকাল। একদিন খিজির (আঃ) জানালেন সমুদ্রের ওপারে একটি অন্ধকারের দেশ আছে। সেখানে সারাক্ষণ আঁধার থাকে। সেখানে এক গুহায় নাকি আবে হায়াতের ঝর্ণা আছে। সে পানি খেলে কেউ নাকি মরে না। যুলকারনাইন সিদ্ধান্ত নিলেন সেই পানির খোঁজে যাবেন। তিনি সাথে প্রায় ৪০০০ যুবক নিলেন। তিনি তাঁর উজির খিজির (আঃ) আর তাঁর আরেক সভাসদ ইলিয়াসকেও বললেন তাঁর সাথে আসতে। সাথে অনেক দিনের খাদ্য মজুদ নেয়া হলো। তবে, যাবার আগে সবাইকে সতর্ক করা হলো সেই মানবহীন এলাকাতে তাঁরা যেন কোন আগুন বা সেরকম আলো দিয়েনা যান। যাই হোক, তারা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে সেই আঁধারে প্রবেশ করলেন। কোহেকাফ এর পার্বত্য এলাকার মাঝে সেই নির্দিষ্ট গুহা খুঁজে বের করা প্রায় অসম্ভব। যুলকারনাইন দলে দলে ভাগ হয়ে খোঁজা শুরু করতে বললেন। আর তিনি একা যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু খিজির (আঃ) আর ইলিয়াস দুজন একসাথে যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন। যুলকারনাইন এক দিকে আর তাঁরা অন্য দিকে গেলেন। বাকিরাও বিভিন্ন দিকে গেল। আনুমানিক প্রায় এক সপ্তাহ সময় পার হয়ে গেল। বিভিন্ন রাত তাঁরা বিভিন্ন গুহায় কাটালেন। আর কোন দলের সাথে তাঁদের দেখাও হল না। একদিন ক্লান্ত হয়ে এক গুহায় আশ্রয় নিলেন তাঁরা দুজন। এরপর খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলেন। শুকনো মাছ বের করলেন। খিজির (আঃ) পাশের এক ঝর্ণায় হাত ধুয়ে আসলেন। এরপর মাছটা দুভাগ করতে হাতে নিলেন। যেই তাঁর হাতের পানি মাছের গায়ে লাগলো সাথে সাথে সেই মরা মাছ জীবিত হয়ে উঠলো। তিনি বুঝলেন তাঁরা অমরত্বের ঝর্ণা খুঁজে পেয়েছেন। তিনি সেখান থেকে হাত দিয়ে পানি পান করলেন। এরপর ইলিয়াসকে ডেকে তাঁকেও খাওয়ালেন। তখন দৈবজ্ঞানে তাঁদের জানানো হলো, তাদের আয়ু কেয়ামত পর্যন্ত। তাঁরা যেন এখন থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকেন। আর বাদশাহ এ পানি খেতে পারবেন না। তাঁরা সেখান থেকে চলে গেলেন। এরপর থেকে তাঁদের অবস্থান কেউ জানত না। যাই হোক, এরপর বাদশাহ আরও অনেকদিন পর সেই গুহা আর সেই ঝর্ণা আবিষ্কার করেন। এরপর সাথে করা আনা পেয়ালাতে করে তিনি পানি উঠিয়ে পান করতে গেলেন। কিন্তু পান করতে পারলেন না। তাঁর মনে হলো, তিনি একা এই পৃথিবীতে বেঁচে থেকে কী হবে ? তাঁর স্ত্রী পুত্র কন্যার সাথেই যদি তিনি না বাঁচলেন, তাহলে সে জীবনের আর অর্থ কী ? তিনি বেঁচে থাকবেন আর তাঁর স্ত্রী পুত্র কন্যা তাঁর চোখের সামনে মারা যাবে, সে হতে পারে না। তাঁরা সবাই একসাথে এ পানি খাবেন। এ কথা ভেবে তিনি সেই ঝর্ণা থেকে পানি ভরলেন তাঁর মশকে। এরপর ফিরতি যাত্রা শুরু করলেন। অন্ধকার রাজ্যে পথ ফিরে পেতে অনেক কষ্ট হলো। যখন তীরে ফিরে এলেন তখন দেখলেন অনেকেই ফিরতে পারেনি এত লম্বা সময়েও। হয়ত খাদ্যের অভাবে অনেকে মারাও গেছে যারা আঁধারে প্রবেশ করেছিলো। এরপর যারা বাকি আছে তাঁর বাহিনীর তাদের নিয়ে তিনি সমুদ্রপথে সরাসরি নিজের দেশে ফিরলেন। তিনি মশক থেকে পুরো পানি একটা সুন্দর পেয়ালায় ভরলেন। এরপর সেই পেয়ালা নিয়ে দ্রুতপায়ে এগিয়ে গেলেন তাঁর পরিবারের দিকে। কিন্তু ঘরের দরজার চৌকাঠে হোঁচট খেলেন। আর হাত থেকে ছিটকে পড়ে গেল তাঁর পেয়ালা। আর উত্তপ্ত মেঝে শুষে নিলো সবপানি। তিনি তাকিয়েই থাকলেন সেইদিকে। তাঁর ভাগ্যে ছিলো না আবে হায়াতের পানি।
এরপর খিজির (আঃ) কে দেখা যায় মূসা (আঃ) এর সময়ে। বায়হাকি হাদিস গ্রন্থ মতে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জানাজার সময় খিজির (আঃ) এর উপস্থিত হয়েছিলেন এবং আবু বকর (রাঃ) আর আলী (রাঃ) তাঁকে চিনতে পারেন। তিনি তাদেরকে সান্ত্বনা দিতে এসেছিলেন। তাফসিরকারকদের মতে, ভবিষ্যৎবাণী মতে যে লোকটি দাজ্জালের সাথে তর্কে যাবে সেই লোকটিই হবেন খিজির (আঃ)।
কিন্তু এখানে একটি বিষয় খুব লক্ষণীয়, ইতিহাসে অনেক জায়গায় খিজির (আঃ) এর আরেকজন সাথী ইলিয়াস যিনিও পেয়েছিলেন অমরত্বের স্বাদ তাঁর ইতিহাস চর্চা তেমন কোন রেওয়াতে পাওয়া যায়না। অনেক রেওয়াতে ইলিয়াস নামের কেউ যে খিজির (আঃ) এর সাথী ছিলেন তেমন কিছুই উল্ল্যেখ নেই। আর উল্ল্যেখ থাকলেও তাঁর পরবর্তী কোন ঘটনার উল্ল্যেখ পাওয়া যায়না তেমন ভাবে। যদি খিজির (আঃ) এর মতো ইলিয়াস নামের সেই ব্যাক্তিও অমরত্বের স্বাদ পেয়ে থাকেন তবে তিনি এখন কোথায় আছেন ? কিংবা কেয়ামতের আগে তাঁর দেখা কি পাওয়া যাবে ? যেভাবে খিজির (আঃ) এর দেখা পাওয়া যাবে। কিছু কিছু রেওয়াতে এসেছে খিজির (আঃ) নাকি ইলিয়াসের সাথে দেখা করেন। যাই হোক আমার ভাবনা এখানে ইলিয়াসের মাঝে এসে রহস্য সৃষ্টি করে। জন্ম দেয় অনেক প্রশ্নের।
মিশরীয় পুরাণ অনুযায়ী দেবী আইসিস পুত্র হোরাসও নাকি জীবনের এক পর্যায় এসে উধাও হয়ে যান। বিশ্বাস করা হয় যে হোরাস জীবিত আছেন। তিনি আবারও ফিরে আসবেন। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় দাজ্জাল আসবে কেয়ামতের আগে। তার জন্মের কথা না বলে বলা আছে আবির্ভাবের কথা। এমনকি তার পৃথিবীতে অবস্থানের সময়কাল পৃথিবীর সময়কালের সাথে পারস্পরিক বিরোধী। তবে ধারণা করা যায় দাজ্জালের জন্ম বহু আগেই হয়েছে। সে কোথাও আত্মগোপন আছে। সময় হলে তার আবির্ভাব হবে। এমনকি ইসলাম ধর্ম এবং খ্রিষ্টান ধর্ম অনুযায়ী ঈসা (আঃ)/যীশু ফিরে আসবেন আবারও এই পৃথিবীতে। তিনি বেঁচে আছেন। এমনকি তাঁর হাতেই মৃত্যু হবে দাজ্জালের। এমনকি হিন্দু ধর্মেও বলা আছে দেবতা বিষ্ণু পৃথিবীর শেষ সময়ে কল্কি রূপে আবির্ভূত হবেন। সে যাই হোক, সবগুলো ঘটনা জন্ম দেয় নানা রকমের রহস্যের। একদিন হয়ত ঠিকই সব রহস্যের জট খুলে যাবে ঠিকই। যীশুর কথা আসতেই মনে হলো হলি গ্রেইলের কথা। অমরত্ব লাভের আরেকটি পুরাণ হলো হলি গ্রেইল। হলি গ্রেইল হলো সেই পেয়ালা যেটাতে করে যীশুর ক্রুশবিদ্ধ দেহের রক্ত ধারন করা হয় আর যেটাতে করে পানি খেলে অমরত্ব পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী, কেয়ামতের পূর্বে ঈসা (আঃ) এবং দাজ্জালের মাঝে যে যুদ্ধ হবে সেগুলো হবে ২০৬০ সালের আশেপাশে। এক পাণ্ডুলিপিতে বিজ্ঞানী নিউটন লিখে গেছেন, তিনি হিসেব করে বের করেছেন ২০৬০ সালের আগে কোন মতেই কেয়ামত হবে না।
স্যার আইজ্যাক নিউটন বিশাল গবেষণা করেন সলোমনের এ টেম্পল নিয়ে। তিনি হিব্রু থেকে নিজে সব অনুবাদ করেন। নিজের হাতে টেম্পল অফ সলোমনের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন আঁকেন। জেরুজালেমের বাইতুল মুকাদ্দাস একাধারে মুসলিম, ইহুদী আর খ্রিষ্টান সবার কাছেই পবিত্র। নবী সোলায়মান (আঃ) এর নির্মিত উপাসনালয় টেম্পল অফ সলোমন ছিলো এখানে। সেটা ধ্বংস করে দেবার পরে ধ্বংসস্থলে বর্তমান সোনালি গম্বুজের এক উপাসনালয় গড়ে তোলা হয়। তবে সোনালি গম্বুজের উপাসনালয়টি আল আক্সা মসজিদ নয়। মূল আল আক্সা মসজিদ ভেঙে এখন সেখানে নতুন করে সলোমন টেম্পল বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। মসজিদুল আল আক্সার কাছের এ জায়গা থেকেই হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মেরাজ সংঘটিত হয়। যা বাইতুল মুকাদ্দাস নামে হিব্রু ভাষায় পরিচিত। এখানে আছে ডোম অফ দ্যা রক কিংবা মসজিদ কুব্বাতুস সাখ্রা। সাখ্রা হলো পাথর বা রক। এখন যে গম্বুজ এর মতো আছে সেটা নবীজির সময় ছিলো না। আর উপরের এই জায়গা থেকেই প্রিয় নবী মেরাজে যান বোরাকে চড়ে। যে পাথরে চড়ে যান, সেটা ওখানে আছে। সেই পাথরের নামেই এর নাম করণ করা হয়। উল্লেখ্য, টেম্পল অফ সলোমনেই সেই আর্ক অফ দ্যা কভেন্যান্ট সিন্দুক রক্ষিত থাকত। একটা সময় নাইট টেম্পলারদের আর্ক অফ দা কভেন্যান্ট সিন্দুক খুঁজে বের করা আর সাথে সাথে উপকথার হলি গ্রেইল খুঁজে বের করাও ছিলো প্রধান লক্ষ্য। নাইট টেম্পলাররা টেম্পল অফ সলোমনের কাছে থাকার জন্য দ্বাদশ শতকে তাদের উপাসনালয় বানায় বাইতুল মুকাদ্দাসের মসজিদুল আক্সাকে।
ইহুদীরা অনেক দিন ধরে টেম্পল অফ সলোমন আবারও বানাতে চাচ্ছে। এখন যেটি প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া মূল আল আক্সা মসজিদ সেটা পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারলেই তারা সেটা বানাতে পারবে। তাদের ভবিষ্যৎবাণী মতে, তাদের মসিহ দাজ্জাল জেরুজালেমের এই টেম্পল থেকেই পৃথিবী শাসন করবে। তারপরেই ইমাম মাহদির সাথে যুদ্ধ হবে আর হযরত ঈসা (আঃ) দাজ্জালকে হত্যা করবেন। বাইবেলে অনুসারে এ যুদ্ধের নামই আরমাগেডন।
বিজ্ঞানি নিউটন তার যত বৈজ্ঞানিক গবেষণা করেছেন তারচেয়ে অধিক সময়ে তিনি নিমগ্ন হয়ে থাকতেন ভিন্ন এক জগৎ নিয়ে। তবে সে জগতের গবেষণা তার মৃত্যুর আগে প্রকাশিত হয়নি। জীবনের এক পর্যায় তিনি বাইবেলের তাফসির লেখা শুরু করেন। তবে এ লেখা প্রকাশিত হয় তাঁর মৃত্যুর অর্ধ শতাব্দী পর। স্যার আইজ্যাক নিউটন ঘুমের মধ্যেই মারা যান। মারা যাবার পর তাঁর চুল পরীক্ষা করে অত্তাধিক পারদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে নিউটনের অপ্রকাশিত লেখাগুলো প্রকাশ পেতে থাকে। আলকেমির জন্য জীবনের বেশির ভাগ সময় পার করে দেয়া নিউটনের অজানা সব দিক প্রকাশ পেতে থাকে। দশ লক্ষেরও বেশি শব্দ নিউটন লিখে গেছেন কেবল এই আলকেমির ফিলোসফারস স্টোন এর উপর। একবার তাঁর ল্যাবরেটরি আগুনে পুড়ে যাবার পর তিনি ভেঙে পড়েন। তাঁর বেশির ভাগ আলকেমিক্যাল লেখা পুড়ে যায় সেই আগুনে। বলা হয়, দুর্ঘটনাবশত তাঁর কুকুর ডায়মন্ড সেই আগুনের সূত্রপাত করে। আগুন লেগে যায় নিউটনের সব গবেষণায়। তিনি আবারো তাঁর কাজ শুরু করেন। একটা সময় নিউটন পাগলামির লক্ষণ প্রকাশ করা শুরু করেন। আর এর জন্য দায়ী ছিলো অতিরিক্ত পারদের উপস্থিতি। লাল গুঁড়ো প্রস্তুতির সূত্রগুলোর ধাপগুলো ছিল পারদে বারবার তাপ প্রয়োগ এবং শীতলীকরণ প্রক্রিয়া। এজন্যই তাঁকে বেশি সময় কাটাতে হয়েছিলো পারদের সংস্পর্শে। তাঁর মৃত্যুর পর সেই লাল গুঁড়ো এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিংশ শতাব্দীতে খুঁজে পাওয়া নিউটনের এসব আলকেমিক্যাল পাণ্ডুলিপি পড়ে যেটা বোঝা গেছে তা হলো, নিউটনের আলো আর মহাকর্ষ বিষয়ক গবেষণাগুলো আলকেমিক্যাল গবেষণা থেকেই পাওয়া। বিজ্ঞানের প্রতিটি স্তরেই রয়েছে তাঁর অসামান্য অবদান। কিন্তু তাঁর সারা জীবনের যত গবেষণা তার অল্প একটা অংশই ছিল বিজ্ঞান নিয়ে। তারচেয়ে অনেক বেশি সময় তিনি ব্যয় করেছেন অতীন্দ্রিয় আর অতিপ্রাকৃত অমরত্বের সন্ধানে। শেষ বয়সে পাগল হয়ে মারা যান ইতিহাসের শেষ আলকেমিস্ট স্যার আইজ্যাক নিউটন।
তথ্যসূত্রঃ
উইকিপিডিয়া, লাইট অফ ইসলাম, রিচার্ড ক্যাসেরোর লেখা রিটেন ইন স্টোনঃ ডিপার ট্রুথ, এবং আবদুল্লাহ ইবনে মাহমুদ এর আর্টিকেল।
Nature of the water/প্রাকৃতি পানি নিয়ে যত কথা
যেখানে পানি, সেখানেই জীবন, আর পানিও নেই জীবনও নেই। যে যাই বলুক না কেন এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি অন্য গ্রহ বা উপগ্রহে পানি আছে। এ বিশ্ব আমাদের পৃথিবী একমাত্র জলজ
গ্রহ (Aquatic planet)। বিজ্ঞানের আলোকে পানি যদি বিশ্লেষণ করি তাহলে লক্ষ্য করা যায় যে, হাইড্রোজেনের দু’টি পরমাণু ও অক্সিজেনের একটি পরমাণু দ্বারা গঠিত, যা H20 বলে চিহ্নিত। এদিকে Chambers 21s century Dictionary তে পানি সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট সংজ্ঞা উল্লেখ করেছে, তা হলো “Water is a colorless, odorless, tasteless liquid that freezes to form ice at 00C and boils to form steam at 1000C at normal atmospheric pressure” পূর্বেও বলেছি, এ যাবত্ যতগুলো গ্রহ/উপগ্রহ আবিষ্কার হয়েছে এর মধ্যে পৃথিবীতেই পানি আছে, যদিও বৈজ্ঞানিকরা বলেন যে, মঙ্গল গ্রহে পানি আছে বা বৃহস্পতি গ্রহের টাইটান উপগ্রহের মেরু অঞ্চলে বরফ জমাট বাঁধা আছে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে এবং এটির পুরোপুরি সত্যতা এখনও মেলেনি। আমরা আমাদের আদরের অবনীকে প্রকারান্তরে জলীয় গ্রহ (Aquatic planet) বলে অভিহিত করি। এখানে (ভূপৃষ্ঠের এক ভাগ মাটি এবং দু’ভাগ পানি। আর এই মোট পানির শতকরা সাতানব্বই ভাগই লবণাক্ত, শুধু শতকরা তিন ভাগ স্বাদু (Sweet)। অথচ উক্ত স্বাদু পানি খুব সামান্য অংশই মানুষ ব্যবহার করে থাকে। প্রায় স্বাদু পানি আছে ভূগর্ভস্থ এ্যাকুইফারে, নদী-নালা, ঝরনা, মেঘ, কুয়াশা, বরফ, হিমবাহ ইত্যাদি। অবশিষ্ট তিন ভাগ আছে, উল্লেখ্য যে, এ্যাকুইফারে সঞ্চিত পানিকে ভূগর্ভস্থ পানি (Ground Water) বলে থাকি এবং এটিকে খনিজ সম্পদের পর্যায়ও ফেলা হয়। তবে
Nature of the water
পার্থক্য হলো অন্যান্য খনিজ সম্পদ ক্ষয়িষ্ণু, কিন্তু ভূগর্ভস্থ পানি ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে (Recharging) পরিপূরণ হয়ে থাকে। সাধারণত ভূগর্ভস্থ পানি পরিপূরণ তথা পুনর্ভরণ হয় বৃষ্টির পানির মাধ্যমে। মেঘ হতে জলধারা মাটিকে সিক্ত করত নিম্নমুখী হয়ে ধীরে ধীরে পানি স্তরে (Water strata) প্রবেশ করে। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে কিছুটা পানি সিক্ত মাটির (Moisture soil) মাধ্যমে Vegetation coverage আওতায় গাছ-পালা, পোকা-মাকড়, জীবাণু ইত্যাদি প্রয়োজন অনুসারে নিয়ে থাকে। এখানে উল্লেখ্য যে, যতদূর জানা যায়, ঢাকা ওয়াসার গভীর নলকূপের মাধ্যমে যে পানি প্রতিনিয়ত উত্তোলন করে থাকে, তা রিচার্জ হয় ফরিদপুর বেল্ট (পদ্মা ও মেঘনাসহ ও ঢাকা রাজধানীর চারিদিকের নদী-নালা থেকে।
মহান সৃষ্টিকর্তা জীবজগত্ ঘিরে সকল বস্তুর মূল উত্স পানি বলে অভিহিত করেছেন। তিনি সূরা আম্বিয়ার ৩০ নং আয়াতে বলেন, “আমি প্রাণযুক্ত সকল কিছু পানি হতে সৃষ্টি করেছি” এদিকে সিরাতে খাতামুল আম্বিয়ার মুফতি শফি বদর যুদ্ধের গায়েবি সাহায্য নিয়ে লিখেছেন, বছরের গায়েবি সাহায্য ছিল আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ। হঠাত্ বৃষ্টি আরম্ভ হলো। এতে মুসলমানদের আবাস স্থলের বালুকা রাশি সিক্ত হয়ে জমে গেল। সাহাবায়ে কেরাম নিজে পান করলেন এবং অপরকেও পান করালেন। তাছাড়া চৌবাচ্চা বানিয়ে অবশিষ্ট পানি আটকে রাখলেন। অনেকে মনে করে থাকেন যে, এর থেকে পানি সংরক্ষণের কার্যক্রম সূত্রপাত হয়।
ইসলামী দৃষ্টিকোণ হযরত খিজির (আঃ) কর্তৃক আবে হায়াত নামক স্বর্গীয় পানি পানপূর্বক অমরত্বের ঘটনা সকল মুসলমানরা অবহিত আছেন, যিনি আবার সনাতন ধর্মে জনশ্রুতিতে জলদেবতা গঙ্গা নামে অভিহিত।
আল্লাহ পাকের প্রতিটি আদেশ উপদেশ ও নিষেধ বাস্তবধর্মী, অথচ রহস্যময় এর সুদূরপ্রসারী কার্যকারিতা বিদ্যমান। যাহোক, আল্লাহ তায়ালার আদেশক্রমে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) নবজাত পুত্র ইসমাইল (আঃ) এবং তদীয় স্ত্রী বিবি হাজেরাকে খেজুর ও এক ব্যাগ ভর্তি পানি পাহাড়ে ঘেরা কাটা গাছে ভরা উষর উপত্যকায় রেখে যান। কিছুদিনের মধ্যে ওগুলো ফুরিয়ে যায়। তখন শিশু ইসমাইল (আঃ) পিপাসায় কাতর হয়ে কাঁদতে থাকলে মা হাজেরা অস্থির ও পাগলিনী হয়ে পুত্রকে একটি জয়তুন গাছের নিচে রেখে সাফা-মারওয়ায় পানির খোঁজে দৌড়াদৌড়ি শুরু করতে লাগলে কোথাও পানির সন্ধান পেলেন না। এভাবে সাতবার দৌড়াবার পর তিনি লক্ষ্য করলেন তারই শিশু পুত্র ইসমাইল (আঃ) এর পায়ের দিক থেকে সজোরে পানি বয়ে যাচ্ছে। তখন পুত্রসহ তিনি খেলেন। কিন্তু প্রবাহ বেড়ে যেতে থাকলেও বিবি হাজেরা বললেন আব জম জম। এখানে উল্লেখ্য যে, আরবীতে “আব” মানে পানি আর জম জমের অর্থ ঝরনা। এই থেকে এই কূপের নাম আবে জম জম। তবে নামের ব্যাপারে আর একটি কথা আছে যে, প্রচুর পানি এবং যম যম মানে অল্প অল্প ঢোকে পান করা। যাহোক, পানি প্রবাহ ঠেকাতে বিবি হাজেরা পাথর নুড়ি চারদিকে ঘিরে দিলে তাই যম যম কূপ। যমযমের পানি অতি পবিত্র ও বরকতময়। এতে প্রচুর জীবনীশক্তি ও রোগ নিরাময় শক্তি রয়েছে, যা পৃথিবীর অন্য কোনো পানিতে নেই। এই কূপটি মক্কা মুকার্রমায় অবস্থিত কাবা শরীফের দক্ষিণ-পূর্বে কোনো স্থাপিত হাজরে আসাওয়াদের কাল পাথর অদূরে অবস্থিত। এ গভীরতা ১৪০ ফুট। পাহাড় এবং কাবা গৃহের তলদেশ। এই পানি কখনও কমে না বরং মাঝে-মধ্যে বৃদ্ধি পায়।
এ প্রেক্ষিতে জানা যায় ৯০৯ খ্রিস্টাব্দে এর পানি উপচিয়ে কাবা শরীফ চত্বরে বন্যার সৃষ্টি করেছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, তিনটি উেসর কথা বলা হলেও এর আদি উত্স অন্য কোথাও হতে পারে। কেননা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি মতে এই এলাকায় তেমন বৃষ্টিপাত হয় না। তাই রিচার্জ হওয়ার সুযোগ নেই। হয়তো হাজার হাজার মাইল দূরে অসীম অবস্থিত উঁচু থেকে এই পানি তুলনামূলক নিচ স্থান হিসেবে এই জম জম কূপে জমা হয়, জানা যায় প্রতিনিয়ত চার হাজার লিঃ পানি এসে থাকে। এর প্রবাহ একই রকম হলেও মাঝে-মধ্যে বেশি হয়। মূলত একটি লোক, ৩০ দিন শুধু পানি না খেয়ে বাঁচতে পারে। কিন্তু জম জমের পানিতে স্যালাইন ওয়াটারের ন্যামফুড ভ্যালু অনেক বেশি বিধায় বহুদিন শুধু এই পানি খেয়ে বাঁচা সম্ভব।
মহান সৃষ্টিকর্তা জীবজগত্ ঘিরে সকল বস্তুর মূল উত্স পানি বলে অভিহিত করেছেন। তিনি সূরা আম্বিয়ার ৩০ নং আয়াতে বলেন, “আমি প্রাণযুক্ত সকল কিছু পানি হতে সৃষ্টি করেছি” এদিকে সিরাতে খাতামুল আম্বিয়ার মুফতি শফি বদর যুদ্ধের গায়েবি সাহায্য নিয়ে লিখেছেন, বছরের গায়েবি সাহায্য ছিল আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ। হঠাত্ বৃষ্টি আরম্ভ হলো। এতে মুসলমানদের আবাস স্থলের বালুকা রাশি সিক্ত হয়ে জমে গেল। সাহাবায়ে কেরাম নিজে পান করলেন এবং অপরকেও পান করালেন। তাছাড়া চৌবাচ্চা বানিয়ে অবশিষ্ট পানি আটকে রাখলেন। অনেকে মনে করে থাকেন যে, এর থেকে পানি সংরক্ষণের কার্যক্রম সূত্রপাত হয়।
ইসলামী দৃষ্টিকোণ হযরত খিজির (আঃ) কর্তৃক আবে হায়াত নামক স্বর্গীয় পানি পানপূর্বক অমরত্বের ঘটনা সকল মুসলমানরা অবহিত আছেন, যিনি আবার সনাতন ধর্মে জনশ্রুতিতে জলদেবতা গঙ্গা নামে অভিহিত।
আল্লাহ পাকের প্রতিটি আদেশ উপদেশ ও নিষেধ বাস্তবধর্মী, অথচ রহস্যময় এর সুদূরপ্রসারী কার্যকারিতা বিদ্যমান। যাহোক, আল্লাহ তায়ালার আদেশক্রমে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) নবজাত পুত্র ইসমাইল (আঃ) এবং তদীয় স্ত্রী বিবি হাজেরাকে খেজুর ও এক ব্যাগ ভর্তি পানি পাহাড়ে ঘেরা কাটা গাছে ভরা উষর উপত্যকায় রেখে যান। কিছুদিনের মধ্যে ওগুলো ফুরিয়ে যায়। তখন শিশু ইসমাইল (আঃ) পিপাসায় কাতর হয়ে কাঁদতে থাকলে মা হাজেরা অস্থির ও পাগলিনী হয়ে পুত্রকে একটি জয়তুন গাছের নিচে রেখে সাফা-মারওয়ায় পানির খোঁজে দৌড়াদৌড়ি শুরু করতে লাগলে কোথাও পানির সন্ধান পেলেন না। এভাবে সাতবার দৌড়াবার পর তিনি লক্ষ্য করলেন তারই শিশু পুত্র ইসমাইল (আঃ) এর পায়ের দিক থেকে সজোরে পানি বয়ে যাচ্ছে। তখন পুত্রসহ তিনি খেলেন। কিন্তু প্রবাহ বেড়ে যেতে থাকলেও বিবি হাজেরা বললেন আব জম জম। এখানে উল্লেখ্য যে, আরবীতে “আব” মানে পানি আর জম জমের অর্থ ঝরনা। এই থেকে এই কূপের নাম আবে জম জম। তবে নামের ব্যাপারে আর একটি কথা আছে যে, প্রচুর পানি এবং যম যম মানে অল্প অল্প ঢোকে পান করা। যাহোক, পানি প্রবাহ ঠেকাতে বিবি হাজেরা পাথর নুড়ি চারদিকে ঘিরে দিলে তাই যম যম কূপ। যমযমের পানি অতি পবিত্র ও বরকতময়। এতে প্রচুর জীবনীশক্তি ও রোগ নিরাময় শক্তি রয়েছে, যা পৃথিবীর অন্য কোনো পানিতে নেই। এই কূপটি মক্কা মুকার্রমায় অবস্থিত কাবা শরীফের দক্ষিণ-পূর্বে কোনো স্থাপিত হাজরে আসাওয়াদের কাল পাথর অদূরে অবস্থিত। এ গভীরতা ১৪০ ফুট। পাহাড় এবং কাবা গৃহের তলদেশ। এই পানি কখনও কমে না বরং মাঝে-মধ্যে বৃদ্ধি পায়।
এ প্রেক্ষিতে জানা যায় ৯০৯ খ্রিস্টাব্দে এর পানি উপচিয়ে কাবা শরীফ চত্বরে বন্যার সৃষ্টি করেছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, তিনটি উেসর কথা বলা হলেও এর আদি উত্স অন্য কোথাও হতে পারে। কেননা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি মতে এই এলাকায় তেমন বৃষ্টিপাত হয় না। তাই রিচার্জ হওয়ার সুযোগ নেই। হয়তো হাজার হাজার মাইল দূরে অসীম অবস্থিত উঁচু থেকে এই পানি তুলনামূলক নিচ স্থান হিসেবে এই জম জম কূপে জমা হয়, জানা যায় প্রতিনিয়ত চার হাজার লিঃ পানি এসে থাকে। এর প্রবাহ একই রকম হলেও মাঝে-মধ্যে বেশি হয়। মূলত একটি লোক, ৩০ দিন শুধু পানি না খেয়ে বাঁচতে পারে। কিন্তু জম জমের পানিতে স্যালাইন ওয়াটারের ন্যামফুড ভ্যালু অনেক বেশি বিধায় বহুদিন শুধু এই পানি খেয়ে বাঁচা সম্ভব।
আমরা সকলে ছোট বেলা থেকে টম এবং জেরি দেখি কিন্তু অাপনি টম আর জেরির শুরুর ইতিহাসটা যানেন না??
টম হল নীলাভ-ছাই, ছাই-নীলাভ অথবা ছাই রঙের পোষা বিড়াল (ওর পশমের রঙ বিড়ালের রাশিয়ান ব্লু প্রজাতির মত), আর জেরি হল বাদামী রঙের ছোট এক ইঁদুর যার বাড়ি টমের থুব কাছেই। টম খুব অল্পতেই
রেগে যাওয়া স্বভাবের হলেও জেরি খুব স্বাধীন আর সুযোগসন্ধানী। টমের সাথে জেরির মানষিকতার কোনই মিল নেই। প্রতিটি কার্টুনের আইরিস-আউটে সাধারণত জেরিকে বিজয়ীর বেশে দেখা যায় আর টমকে বিফল। তাছাড়াও টমের জয়ের মত বিরল পরিণতিও দেখা যায় থুব অল্প সময়ে। কখনো কথনো বিশেষ করে ক্রিসমাসের সময় টমকে জেরির জীবন বাঁচাতে বা অন্তত উপহার আদান প্রদান করতে দেখা যায়। মাঝে মাঝে দুজনের দৈনন্দিন ছোটাছুটিকে ওদের রুটিনমাফিক খেলা হিসেবে দেখানো হয়। টম কোন মেয়ে বিড়ালের প্রেমে পড়লে জেরি ঈর্ষাণ্বিত হয়ে ভাঙ্গন ধরানোর চেষ্টা করে এবং টমকে শেষ পর্যন্ত জেরির সাথে হাত মিলাতেও দেখা যায়। তারপর অবশ্য ওরা ওদের পুরোনো খেলাতেই ফিরে যায়।
দুটি চরিত্রেরই মধ্যেই অন্যকে দুঃখ দিয়ে মজা পাবার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তবুও টমের চরিত্র জেরির থেকে বেশী সচেতন দেথা যায়। জেরিকে খুব বেশী আঘাতপ্রাপ্ত, মরণাপন্ন বা মৃত মনে হলে টম খুব ভয় পেয়ে যায়। জেরি অবশ্য এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিতেও ছাড়েনা। মাঝে মাঝে টমকেও জয়ী দেখা যায় কিংবা উভয়কেই বোঝাপড়া করে নিতে দেখা যায়। তবে এ ধরনের পর্বগুলোতে আগেই কিছু লক্ষণ দেখা যায়। যেমন যদি টম জেতে তবে:
জেরি অতিরিক্ত ঈর্ষায় কিছু করলে।
টমের কোন প্ররোচনা ছাড়াই জেরি সারা র্পব জুরে টমকে বিরক্ত করবে (উদাহরণ:একটি কার্টুনে জেরি নাম না জানা কোন বিড়ালকে নিয়ে
ঘুমন্ত টমকে এমনভাবে বিরক্ত করে যে টম ভাবে সে নিজেই নিজেকে ব্যথা দিচ্ছে। শেষে দেখা গেল তাদের দুজনকে খাঁচায় ভরে টম শান্তিতে বসে ঘুমাচ্ছে।)
সারা র্পব জুড়েই টম নিষ্ক্রিয় থাকবে
অন্যান্য চরিত্রসমুহ:
জেরিকে ধরতে কখনো কখনো টমকে অনাকাঙ্খিত চরিত্রের সাহায্য নিতে হয়। এমনি এক চরিত্র হল বাচ। বাচ হল গলিতে থাকা কালো রঙের নোংরা এক বিড়াল যে নিজেও জেরিকে ধরে খেতে চায়। আরও কিছু চরিত্র হল স্পাইক (কখনো কিলার অথবা বাচ হিসেবে ঘোষিত), রাগী ভয়ংকর দারোয়ান বুলডগ যে বিড়ালদের পিটাতে পছন্দ করে এবং ম্যামী-টু-শুস্, একজন আফ্রিকান আমেরিকান চরিত্র (লিলিয়ান রানডলৃফের কন্ঠে)যার চেহারা কখনো দেখা না গেলেও দোষ্টুমি করলে টমের কপালে তার ঝাটাপেটা ঠিকই জোটে। এক পর্বে লাইটনিং নামের এক দ্রুত গতির বিড়াল থাকে যে খুব সাবলীলভাবেই জেরিকে ধরে ফেলে এবং ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে খায়। পরে জোট বেঁধে টম ও জেরি ওকে বের করে দেয়।
Tom and Jerry
ম্যামি টু সুস, গৃহকর্ত্রী যিনি ১৯৪০ ও ১৯৫০-এর দশকের বহু পর্বে ছিলেন।
পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকে, জেরি একটি ধূসর রঙের ছোট ইঁদুর দত্তক নেয় যার প্রথম নাম ছিল নিবলৃস (পরর্তীতে টাফি এবং কারও মতে টেরি)। নিবলৃস কথা বলতে পারে তবে সাধারণত বিদেশী ভাষায় যাতে করে পর্বের থিম এবং পারিপাশ্বিকতার সাথে সামঞ্জস্য থাকে। ১৯৫০ জুড়ে দেখানো হয় যে স্পাইকের একটি সন্তান আছে যার নাম টাইক। এই সংযুক্তি স্পাইকের চরিত্র কোমলতা যোগ করে এবং তাদের নিয়ে একটি সমসাময়িক স্বল্পস্থায়ী সিরিজ স্পাইক এন্ড টাইক চালু হয়। টাইকের উপস্থিতিকে জেরি টমের বিরুদ্ধে আরেকটি
হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। কেননা টাইককে যে বিরক্ত করবে স্পাইকের খড়্গ তার উপরেই নেমে আসবে আর এক্ষেত্রে টমকেই বেশী দেখা যায়।
নিবলস, ছোট্ট ইঁদুর, যার নাম পরে বদলে টাফি রাখা হয়।
স্পাইক কদাচিৎ কথা বলে । ওর কথা বলা আর মুখভঙ্গি জিমি ডুরান্ট এর আদলে করা যেমন “ড্যাটস মাই বয়!”। আরেকটি নিয়মিত চরিত্র হল হাসের ছানা কোয়াকার, যাকে পরে হ্যানা বারবারার ইয়াকি ডুডল নেয়া হয়। কোয়াকার আটটি পর্ব করে যার প্রথমটি ছিল ১৯৫০ এর সময় যা টম এন্ড জেরির প্রথম শট। আরেকটি এভিয়ান চরিত্র হল ছোট হলদে পাখি যার প্রথম উপস্থিতি ছিল ১৯৪৭ এর কিটি ফয়েলড এ যা কোয়াকার এর প্রাক্তন রুপ।জেরির অনেক আত্মীয়ও রয়েছে যাদের কেবল একটি পর্বেই দেখা যায়। এদের মধ্যে জেরির কাজিন মাসলস (জেরিস কাসিন,১৯৫১) এবং জেরির মামা পেকোস (পেকোস পেস্ট,১৯৫৫)।
Tom and Jerry
ইতিহাস ও বিবর্তন
১৯৩০এর শেষের দিকে রুডলফৃ আইসিঙের এম. জি. এম অ্যানিমেশন স্টুডিওর অংশ ছিলেন গল্পলেখক ও চরিত্র ডিজাইনার উইলিয়াম হ্যানা এবং অভিজ্ঞ পরিচালক জোসেফ বারবারা যারা জুটিবদ্ধ হয়ে ছবি পরিচালনা করতেন। ছবিগুলোর মধ্যে প্রথমটি ছিল একটি ইঁদুর-বিড়াল কার্টুন যার নাম ছিল “পাস গেটস দ্য বুট” । কার্টুনটির কাজ শেষ হয় ১৯৩৯ সালে থিয়েটার হলে প্রথম প্রদর্শিত হয় ১৯৪০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। পাস গেটস দ্য বুট এর কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিল জ্যাসপার, একটি ধূসর চামড়ার বিড়াল যে তখন পর্যন্ত নাম না জানা একটি ইঁদুরকে ধরার চেষটা করে। কিন্তু দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিছু ভেঙ্গে ফেললে ম্যামী জোর গলায় আর কিছু ভাঙলে জ্যাসপারকে বের করে দেবে বলে শাসিয়ে দেয় (“আ-উউ-ট,আউট”)। স্বাভাবিকভাবেই ইঁদুরটি এই সুযোগটি গ্রহণ করে এবং ভঙ্গুর সবকিছু (যেমন: ওয়াইনের গ্লাস, সিরামিকের প্লেট, চায়ের কাপ) উপরে ছুড়ে ভাঙার চেষটা করে যাতে জ্যাসপারকে বের করে দেয়া হয়। পাস এন্ড দ্য বুট কোন সুচনা সঙ্গীত ছাড়াই মুক্তি পায়। এদিকে হ্যানা ও বারবারা তাদের অন্যান্য পর্বগুলো (ইঁদুর বিড়ালের কাহিনী ছাড়া) পরিচালনা করতে থাকেন। এমজিএম এর অনেক কর্মীকেই তখন বলতে শোনা যায়, ”ইঁদুর-বিড়ালের কার্টুন কি আর কম হল?” ইঁদুর আর বিড়ালের এই জোড়ার প্রতি সবার নেতিবাচক ধারণার পরিবর্তন ঘটে যখন কার্টুনটি থিয়েটার মালিকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং ১৯৪১ সালে একাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস এন্ড সাইন্সেসের পক্ষ থেকে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট শর্ট সাবজেক্ট কার্টুনস পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পায়। কার্টুনটি অবশ্য এম. জি. এমেরি আরেকটি কার্টুনের কাছে হেরে যায়। কার্টুনটি ছিল রুডলফ আইসিঙ এর “দ্য মিল্কি ওয়ে”।
এর পর এম. জি. এম এনিমেশন স্টুডিওর প্রযোজক ফ্রেড কুইম্বলি খুব দ্রুত হ্যানা আর বারবারাকে এক পর্বের কার্টুনগুলো থেকে সরিয়ে ইঁদুর আর বিড়ালকে নিয়ে একটি সিরিজের জন্য নিযুক্ত করেন। হ্যানা আর বারবারা স্টুডিওর ভিতরেই জোড়াটির একটি নতুন নামকরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। প্রতিযোগিতায় অ্যানিমেটর জন কারের প্রস্তাব গ্রহণ করা হল, নাম রাখা হল “টম এন্ড জেরি”।
বহু বছর ধরে টমের দৈহিক গড়ণ ও উপস্থাপনার ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। ১৯৪০ এর শুরুর দিকে টমের চেহারা ছিল অনেকটি এরকম—রোমশ পশম, মুখে অসংখ্য ভাঁজ,ভ্রু এর অনেক মার্কিং। এই বৈশিষ্ট্যগুলোর সবগুলেই পরবর্তীকালে আরো মসৃণ করে বেশী মাত্রায় কর্মোপযোগী করা হয়। জেরি অবশ্য সারা সিরিজের সময়জুড়ে প্রায় অপরিবর্তিতই থাকে। ১৯৪০ এর মাঝামাঝি সময় থেকে, সিরিজটি আরও বেশি দ্রুত এবং স্প্রিহিত হয়ে ওঠে যার নেপথ্যে রয়েছে ১৯৪২ এ এম. জি. এম এ যোগ দেয়া টেক্স এভারীর অবদান।
Tom and Jerry
জেন ডিচ যুগ (১৯৬০-৬২)
১৯৬০ সালে এম. জি. এম. সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা আবার টম অ্যাণ্ড জেরির নতুন পর্ব তৈরি করবে এবং প্রযোজক উইলিয়াম স্নাইডার এ লক্ষে চেক বংশদ্ভুত অ্যানিমেশন ডিরেক্টর জেন ডিচের সাথে চুক্তি সাক্ষর করেন। ডিজ-স্নাইডারের দল চেকস্লোভাকিয়ার প্রাগে ১৩টি পর্ব তৈরি করেন যার মধ্যে অনেক সুররিয়ালিস্টিক উপাদান পাওয়া যায়। ডিচ/স্নাইডার দলের আসল টম এণ্ড জেরি কম দেখার কারণে তাদের তৈরি পর্বগুলোকে অস্বাভাবিক এবং অনেকক্ষেত্রে অদ্ভুত মনে হয়। চরিত্রের ভঙ্গিগুলোকে কখনো খুব দ্রুত সময়ে দেখানো হয়েছে। ফলশ্রুতিতে অনেকক্ষেত্রেই তা অপরিষ্কার মনে হয়েছে। এছাড়াও এ পর্বগুলোর আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হল এগুলোই একমাত্র টম এণ্ড জেরি কার্টুন যাতে "মেড ইন হলিউড, ইউ. এস. এ." বাক্যাংশটি নেই।
শেষে দেখুন টম যখন দৌড়ের উপ্রে
তথ্যর সুত্রপাত ঘটানো হয়েছে ইহান থেকে
২য় বিশ্ব যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ছয় টি বিশ্ব ঐতিহ্য
১৯৭২ সাল থেকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্থাপনার তালিকা করে আসছে৷ এই প্রতিবেদনে থাকছে এমন কয়েকটি ঐতি
হাসিক স্থাপনার কথা, যেগুলো যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে৷ এর মধ্যে কয়েকটিকে পরবর্তীতে সংস্কার করা হয়৷
১. ফ্রান্সের নটার ডাম গির্জা:
কোনও সামরিক স্থাপনা না হওয়া সত্ত্বেও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফরাসিদের নৈতিকভাবে দুর্বল করে দিতে জার্মানরা হামলা চালিয়ে নটার ডাম গির্জার অনেকখানি ধ্বংস করে দিয়েছিল৷ ফ্রান্সের সব রাজার অভিষেক অনুষ্ঠান হয়েছে এই গির্জায়৷ সংস্কার করার পর বর্তমানে এটি পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় স্থাপনা হয়ে উঠেছে৷
২. চার্চ অফ আওয়ার লেডি:
এটি জার্মানির ড্রেসডেন শহরে অবস্থিত ‘চার্চ অফ আওয়ার লেডি’৷ আঠারো শতকে নির্মিত এই গির্জাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল৷ ২০০৫ সালে এটি সংস্কার করা হয়৷
৩. গ্রেট মস্ক অফ আলেপ্পো:
মধ্যযুগীয় সিরিয়ার প্রতীক ‘গ্রেট মস্ক অফ আলেপ্পো’ কয়েক শতক ধরে বিভিন্ন দ্বন্দ্ব ও ভূমিকম্প সহ্য করে এলেও চলমান সরকার-বিরোধী আন্দোলনে আর টিকে থাকতে পারেনি৷ তবে আশার কথা, মসজিদটির মিনারগুলো শুধু ধ্বংস হয়েছে৷ কবে নাগাদ এটি সংস্কার করা হবে তা কেউ জানে না৷
৪. আফগানিস্তানের বৌদ্ধ প্রতিমূর্তি:
আফগানিস্তানের বামিয়ান প্রদেশের বৌদ্ধ প্রতিমূর্তিগুলোর ইতিহাস প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো৷ সবচেয়ে বড় প্রতিমূর্তির উচ্চতা ৩৫ মিটার৷ ২০০১ সালে তালিবানের হামলায় এগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়৷ প্রতিমূর্তিগুলোর সংস্কার আদৌ সম্ভব কিনা তা পরিষ্কার নয়৷
৫. ইসলামি জঙ্গিদের শিকার ইসলামের ইতিহাস:
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির একটি শহর টিমবাক্টু৷ এককালে সেখানে ইসলাম ধর্মের জ্ঞানী লোকেদের যাতায়াত ছিল৷ ২০১২ সালে ইসলামি জঙ্গিদের হামলায় ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরের বড় একটা অংশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়৷
৬. খ্রিষ্টীয় ও ইসলামি বিশ্বের সেতুবন্ধ :
এই সেতুটি বসনিয়া-হ্যারৎসোগোভিনায় অবস্থিত৷ কয়েক শতক ধরে স্টারি মস্ট নামের এই সেতুটি পূর্ব ও পশ্চিমের, খ্রিষ্টীয় ও ইসলামি বিশ্বের এবং ক্যাথলিক ক্রোয়শিয়ান ও অর্থডক্স সার্বদের মধ্যকার একটি সেতুবন্ধ হিসেবে পরিচিত ছিল৷ ১৯৯৩ সালে বসনিয়া যুদ্ধের সময় এটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল৷ ইউনেস্কোর আর্থিক সহায়তায় এটি পুনর্নির্মাণ করা হয়৷ ২০০৫ সালে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেয় সংস্থাটি৷
কখনো কি আপনার মনে প্রশ্ন যেগেছে যে পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘূরে না কি সূর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘূরে!!
প্রশ্নঃ-(ক)সূর্য কি পৃথিবীর চার দিকে ঘুরে ?
জবাবঃ-(১)ইসলামি শরিয়তের প্রকাশ্য দলিলগুলো অকাট্যভাবে প্রমাণ করে যে- পৃথিবী নয়, সূর্যই আসলে পৃথিবীর চতুর্দিকে ঘূরে । এই ঘূরার কারনেই পৃথিবীতে দিবা-রাত্রির আগমন ঘটে। আমাদের হাতে নিম্নোক্ত
এই দলিলগুলোর চেয়ে বেশি শক্তিশালী এমন অন্য আর কোন দলিল নেই , যার মাধ্যমে আমরা সূর্য ঘূরার দলীলগুলোকে ব্যাখ্যা করতে পারি । সূর্য ঘূরার দলিলগুলো হলো –
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র আল-কোরআনে এভাবে বলেন,
(فـَااِنَّ اللهَ يـأَتـيِ باِ لشَّـمـس مِن المَـشـرِقِ فَـأتِ بـِهـاَ مِـن المَغرِبِ)
“আল্লাহ তাআ’লা সূর্যকে পূর্ব দিক থেকে উদিত করেন । তুমি পারলে পশ্চিম দিক থেকে উদিত কর।” (সুরা বাকারাঃ২৫৮) সূর্য পূর্ব দিক থেকে উঠার মাধ্যমে প্রকাশ্য দলিল পাওয়া যায় যে, সূর্য পৃথিবীর উপর পরিভ্রমন করে বা সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘূরে।
জ়বাবঃ-(২) আল্লাহ তাআ’লা বলেন, (فَـالـَمَّا رَأي الشـَّمـسَ باَزِغَـةً قَالَ هَـذََا رَبـيِّ هَـذَا أَكـبَـرُ فَـالـَمّـًا أَفَـالـَت قلَ يَاقَـومِ اِنـّي بَــرِيءُُّ مّـِمـاَّ تُـشــرٍكُــونَ (سورة النعم: 78))
“অতঃপর যখন সূর্যকে চকচকে অবস্থায় উঠতে দেখলেন তখন বললেন, এটি আমার পালনকর্তা, এটি বৃহত্তর। অতপর যখন তা ঢুবে গেল , তখন বলল হে আমার সম্প্রদায় ! তোমরা যেসব বিষয়ে শরীক কর আমি ওসব থেকে মুক্ত।” (সুরা আনআ’মঃ৭৮) এখানে নির্ধারণ হয়ে গেল যে , সূর্য অদৃশ্য হয়ে যায়। একথা বলা হয়নি যে, সূর্য থেকে পৃথিবী ডুবে গেল। পৃথিবী যদি ঘূরত তাহলে অবশ্য তা বলা হত।
জবাবঃ-(৩) মহান আল্লাহ তাআ’লা আরো বলেন, (وَتَرَي الشَّمسَ اِذَا طَلَعَت تـَتَـزَا وَرُ عَـن كـَهـفِـهـِم ذَاتَ اليـَمِـينِ وَاِذَا غـَرَبـَت تـَقـرِضُهُم ذَاتَ الشـِّــمَـالِ (سورة الكهف :17)) অর্থাৎ-“তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয় , তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায় , তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায় (সুরা আল-কাহাফঃ১৭)।” পাশ কেটে ডান দিকে বা বাম দিকে চলে যাওয়া প্রমাণ যে, নড়াচড়া সূর্য থেকেই হয়ে থাকে পৃথিবী থেকে নয়। পৃথিবী যদি নড়াচড়া করত তাহলে অবশ্যই বলতেন – সূর্য থেকে গুহা পাশ কেটে যায়। উদয় হওয়া এবং অস্ত যাওয়া এখানে সূর্যকে নির্দিষ্ট করে সম্পৃক্ত করা হয়েছে । এটা থেকেও বুঝা যায় যে, আসলে সূর্যই ঘূরে , পৃথিবী নয় ।
জবাবঃ-(৪) আল্লাহ সোবহানা তাআ’লা পবিত্র আল-কোরআনে বলেন, (وَهُوَ الَّـذِي خَـلـَـقَ االَّـيلَ وَ النَّهـاَرَ وَالشـَّـمـسَ وَ القَـمَـرَ كُـلِّ فـي فَـلـَكٍ يَـسـبَحُونَ (سورة النبِـيَاءِ :33)) “এবং তিনিই দিবা-নিশি এবং চন্দ্র-সূর্য সৃষ্টি করেছেন । সবাই আপন আপন কক্ষ পথে বিচরণ করে (সূরা আল- আম্বিয়াঃ৩৩) ইবনে আব্বাস বলেন, লাটিম যেমন আপন কেন্দ্র বিন্দুর চার দিকে ঘূরতে থাকে , সূর্যও তেমনিভাবে ঘূরে।
জবাবঃ-(৫) আল্লাহ বলেন-(يُغـشِـي الـلـَّيـلَ النَّـهـَارَ يَـطلـُـبُـهُ حَـثِـيـثـًا(سورة العراف :54)) অর্থ-“তিনি রাতকে আচ্ছাদিত করেন দিনের মাধ্যমে।দিন দৌড়ে দৌড়ে রাতের পিছনে আসে(সুরা আ’রাফঃ৫৪)।” এ আয়াতে রাতকে দিনের অনুসন্ধানকারী বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অনুসন্ধানকারী পিছনে পিছনে দ্রুত অনুসন্ধান করে থাকে।এটা জানা কথা যে, দিবা-রাত্রি সূর্যের অনুসারী।
জবাবঃ- (৬) মহান আল্লাহ তা’য়ালা বলেন-
(خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَ الأَرضَ بِالحَقٌّ يُكَـوِّرُ اللَّيلَ علي النَّهَارِ وَيُكَوٍّرُ النَّهارَ علي اللَّيلِ وَ سَخَّارَ الشَّمسَ وَ القَمَرَ كُلُّ يَجرِي لِأَجَلٍ مُسمَّي ألَا هُوَ العَزِيزُ الغَفَّار( سورة الجمار:5))অর্থঃ “তিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দিয়ে আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দিয়ে আচ্ছাদিত করেন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন। প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত।জেনে রাখুন , তিনি পরাক্রমশালী , ক্ষমাশীল(সুরা যুমারঃ৫)।” আয়াতের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, পৃথিবীর উপরে দিবা-রাত্রি চলমান রয়েছে। পৃথিবী যদি ঘুরতো তাহলে তিনি বলতেন , দিবা-রাত্রির উপর পৃথিবীকে ঘূরান। আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “সূর্য এবং চন্দ্রের প্রত্যেকেই চলমান।” এ দলীলের মাধ্যমে জানা গেল যে, সুস্পষ্টভাবেই সূর্য ও চন্দ্র এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করছে। এ কথা সুস্পষ্ট যে, চলমান বস্তুকে বশীভূত করা এবং কাজে লাগানো, একস্থানে অবস্থানকারী বস্তুকে কাজে লাগানোর চেয়ে অধিক যুক্তিযুক্ত।
জবাবঃ-(৭) আল্লাহ বলেন, (وَ الشَّـمـسِ وَ ضُحَاهَا وَالقـَمَـرِ اِذَا تـَلـَاهَـا(سورة الشَّمس:1-2)) অর্থঃ “শপথ সূর্যের ও তার কিরণের, শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের পশ্চাতে আসে(সুরা আশ-শামশঃ১-২)।” এখানে বলা হয়েছে যে, চন্দ্র সূর্যের পরে আসে।পৃথিবী যদি চন্দ্র বা সূর্যের চার দিকে ঘূরত, তাহলে চন্দ্র সূর্যকে অনুসরণ করত না। বরং চন্দ্র একবার সূর্যকে, আর সূর্য একবার চন্দ্রকে অনুসরণ করত।কেননা সূর্য চন্দ্রের অনেক উপরে।এই আয়াত দিয়ে পৃথিবী স্থীর থাকার ব্যাপ্যারে দলীল গ্রহণ করার ভিতরে চিন্তা-ভাবনার বিষয় রয়েছে।
জবাবঃ-(৮)মহান আল্লাহ তাআ’লা বলেন, وَ الشَّمسُ تَجرِي لِمُستَقَرِّ لَهَا) ذَلِكَ تَقدِيرُ العَزِيز العَلِيمِ , وَ القَمَرَ قَدَّرنَاهُ مَنَزِلَ حَتَّي عَادَ كَالعُرجُونِ القَدِيمِ, لَا الشَّمسُ يَنبَغَي لَهَا أَن تُدرٍكض القَمَرَ وَلَا اللَّيلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَ كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسبَحُونَ(سورة يس:38-40)) অর্থঃ “সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্ত্ন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ আল্লাহর নির্ধারণ। চন্দ্রের জন্যে আমি বিভিন্ন মঞ্জিল নির্ধারিত করেছি। অবশেষে সে পরাতব খর্জুর শাখার অনুরুপ হয়ে যায়। রাতের পক্ষেও দিনের অগ্রবতী হওয়া সম্ভব নয়। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে পরিভ্রমন করে(সুরা ইয়াসিনঃ৩৮-৪০)।” এখানে সূর্যের চলা এবং এই চলাকে মহা পরাক্রমশালী আল্লাহর নির্ধারণ বলে ব্যাখ্যা করা এটাই প্রমাণ করে যে, সূর্য প্রকৃতই চলমান। আর এই চলাচলের কারণেই দিবা-রাত্রি এবং ঋতুর পরিবর্তন হয়। যদি পৃথিবী ঘূরত, তাহলে পৃথিবীর জন্য মঞ্জিল নির্ধারণ করা হত। চন্দ্রের জন্য নয়। সূর্য কর্তৃক চন্দ্রকে ধরতে না পারা এবং দিনের অগ্রে রাত থাকা সূর্য, চন্দ্র এবং রাতের চলাচলের প্রমাণ বহন করে।
জবাবঃ-(৯) নবী (সাঃ) সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আবু যর (রাঃ)কে বলেছেন , أتـَدري أَينَ تذهَبُ قُلتُ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعلَمُ قَلَ فَااِنَّهَا تَذهَبُ حَتَّي تَسجُدَ تَحتَ العَرشِ فَتَستأَذِنَ فَيؤذَنُ لَهَا وَيُوشِكُ أَنَّ تَسجُدَ فَلَا يُقبَلَ مِنهَا وَتَستَأَذِنَ فَلَا يُؤذَنَ لَهَا يُقََالُ لَهَا ارجِعِي مِن حِيثُ جِئتِ فَتَطلُعُ مِن مَغرِبهَا
অর্থঃ “হে আবু যর! তুমি কি জান সূর্য যখন অস্ত যায় তখন কোথায় যায় ? আবু যর(রাঃ) বললেন, আল্লাহ এবং তার রাসূল (সাঃ)ই ভাল জানেন । রাসূল (সাঃ) বললেন, সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আরশের নিচে গিয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং পুনরায় উদিত হওয়ার অনুমতি চায়।সে দিন বেশি দূরে নয়, যে অনুমতি চাইবে কিন্ত তাকে অনুমতি দেয়া হবে না । তাকে বলা হবে যেখান থেকে এসেছ , সেখানে ফেরত যাও। অতঃপর সূর্য পশ্চিম দিক থেকেই উদিত হবে।”১ এটি হবে কিয়ামতের পূর্ব মুহুর্তে। আল্লাহ সূর্যকে বলবেন, যেখান থেকে এসেছ, সেখানে ফেরত যাও।অতঃপর সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে । অতএব সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হওয়ার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, সূর্য পৃথিবীর উপর ঘূরছে এবং এই ঘূরার মাধ্যমেই উদয়-অস্ত সংগঠিত হচ্ছে।
জবাবঃ(১০)
নোটঃ১- সহি বুখারী , অধ্যায়ঃ বাদউল খালক। মুসলিম, অধ্যায়ঃ ঈমান।
সুত্রপাত ঘটেছে
জবাবঃ-(১)ইসলামি শরিয়তের প্রকাশ্য দলিলগুলো অকাট্যভাবে প্রমাণ করে যে- পৃথিবী নয়, সূর্যই আসলে পৃথিবীর চতুর্দিকে ঘূরে । এই ঘূরার কারনেই পৃথিবীতে দিবা-রাত্রির আগমন ঘটে। আমাদের হাতে নিম্নোক্ত
এই দলিলগুলোর চেয়ে বেশি শক্তিশালী এমন অন্য আর কোন দলিল নেই , যার মাধ্যমে আমরা সূর্য ঘূরার দলীলগুলোকে ব্যাখ্যা করতে পারি । সূর্য ঘূরার দলিলগুলো হলো –
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র আল-কোরআনে এভাবে বলেন,
(فـَااِنَّ اللهَ يـأَتـيِ باِ لشَّـمـس مِن المَـشـرِقِ فَـأتِ بـِهـاَ مِـن المَغرِبِ)
“আল্লাহ তাআ’লা সূর্যকে পূর্ব দিক থেকে উদিত করেন । তুমি পারলে পশ্চিম দিক থেকে উদিত কর।” (সুরা বাকারাঃ২৫৮) সূর্য পূর্ব দিক থেকে উঠার মাধ্যমে প্রকাশ্য দলিল পাওয়া যায় যে, সূর্য পৃথিবীর উপর পরিভ্রমন করে বা সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘূরে।
জ়বাবঃ-(২) আল্লাহ তাআ’লা বলেন, (فَـالـَمَّا رَأي الشـَّمـسَ باَزِغَـةً قَالَ هَـذََا رَبـيِّ هَـذَا أَكـبَـرُ فَـالـَمّـًا أَفَـالـَت قلَ يَاقَـومِ اِنـّي بَــرِيءُُّ مّـِمـاَّ تُـشــرٍكُــونَ (سورة النعم: 78))
“অতঃপর যখন সূর্যকে চকচকে অবস্থায় উঠতে দেখলেন তখন বললেন, এটি আমার পালনকর্তা, এটি বৃহত্তর। অতপর যখন তা ঢুবে গেল , তখন বলল হে আমার সম্প্রদায় ! তোমরা যেসব বিষয়ে শরীক কর আমি ওসব থেকে মুক্ত।” (সুরা আনআ’মঃ৭৮) এখানে নির্ধারণ হয়ে গেল যে , সূর্য অদৃশ্য হয়ে যায়। একথা বলা হয়নি যে, সূর্য থেকে পৃথিবী ডুবে গেল। পৃথিবী যদি ঘূরত তাহলে অবশ্য তা বলা হত।
জবাবঃ-(৩) মহান আল্লাহ তাআ’লা আরো বলেন, (وَتَرَي الشَّمسَ اِذَا طَلَعَت تـَتَـزَا وَرُ عَـن كـَهـفِـهـِم ذَاتَ اليـَمِـينِ وَاِذَا غـَرَبـَت تـَقـرِضُهُم ذَاتَ الشـِّــمَـالِ (سورة الكهف :17)) অর্থাৎ-“তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয় , তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায় , তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায় (সুরা আল-কাহাফঃ১৭)।” পাশ কেটে ডান দিকে বা বাম দিকে চলে যাওয়া প্রমাণ যে, নড়াচড়া সূর্য থেকেই হয়ে থাকে পৃথিবী থেকে নয়। পৃথিবী যদি নড়াচড়া করত তাহলে অবশ্যই বলতেন – সূর্য থেকে গুহা পাশ কেটে যায়। উদয় হওয়া এবং অস্ত যাওয়া এখানে সূর্যকে নির্দিষ্ট করে সম্পৃক্ত করা হয়েছে । এটা থেকেও বুঝা যায় যে, আসলে সূর্যই ঘূরে , পৃথিবী নয় ।
জবাবঃ-(৪) আল্লাহ সোবহানা তাআ’লা পবিত্র আল-কোরআনে বলেন, (وَهُوَ الَّـذِي خَـلـَـقَ االَّـيلَ وَ النَّهـاَرَ وَالشـَّـمـسَ وَ القَـمَـرَ كُـلِّ فـي فَـلـَكٍ يَـسـبَحُونَ (سورة النبِـيَاءِ :33)) “এবং তিনিই দিবা-নিশি এবং চন্দ্র-সূর্য সৃষ্টি করেছেন । সবাই আপন আপন কক্ষ পথে বিচরণ করে (সূরা আল- আম্বিয়াঃ৩৩) ইবনে আব্বাস বলেন, লাটিম যেমন আপন কেন্দ্র বিন্দুর চার দিকে ঘূরতে থাকে , সূর্যও তেমনিভাবে ঘূরে।
জবাবঃ-(৫) আল্লাহ বলেন-(يُغـشِـي الـلـَّيـلَ النَّـهـَارَ يَـطلـُـبُـهُ حَـثِـيـثـًا(سورة العراف :54)) অর্থ-“তিনি রাতকে আচ্ছাদিত করেন দিনের মাধ্যমে।দিন দৌড়ে দৌড়ে রাতের পিছনে আসে(সুরা আ’রাফঃ৫৪)।” এ আয়াতে রাতকে দিনের অনুসন্ধানকারী বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অনুসন্ধানকারী পিছনে পিছনে দ্রুত অনুসন্ধান করে থাকে।এটা জানা কথা যে, দিবা-রাত্রি সূর্যের অনুসারী।
জবাবঃ- (৬) মহান আল্লাহ তা’য়ালা বলেন-
(خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَ الأَرضَ بِالحَقٌّ يُكَـوِّرُ اللَّيلَ علي النَّهَارِ وَيُكَوٍّرُ النَّهارَ علي اللَّيلِ وَ سَخَّارَ الشَّمسَ وَ القَمَرَ كُلُّ يَجرِي لِأَجَلٍ مُسمَّي ألَا هُوَ العَزِيزُ الغَفَّار( سورة الجمار:5))অর্থঃ “তিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দিয়ে আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দিয়ে আচ্ছাদিত করেন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন। প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত।জেনে রাখুন , তিনি পরাক্রমশালী , ক্ষমাশীল(সুরা যুমারঃ৫)।” আয়াতের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, পৃথিবীর উপরে দিবা-রাত্রি চলমান রয়েছে। পৃথিবী যদি ঘুরতো তাহলে তিনি বলতেন , দিবা-রাত্রির উপর পৃথিবীকে ঘূরান। আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “সূর্য এবং চন্দ্রের প্রত্যেকেই চলমান।” এ দলীলের মাধ্যমে জানা গেল যে, সুস্পষ্টভাবেই সূর্য ও চন্দ্র এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করছে। এ কথা সুস্পষ্ট যে, চলমান বস্তুকে বশীভূত করা এবং কাজে লাগানো, একস্থানে অবস্থানকারী বস্তুকে কাজে লাগানোর চেয়ে অধিক যুক্তিযুক্ত।
জবাবঃ-(৭) আল্লাহ বলেন, (وَ الشَّـمـسِ وَ ضُحَاهَا وَالقـَمَـرِ اِذَا تـَلـَاهَـا(سورة الشَّمس:1-2)) অর্থঃ “শপথ সূর্যের ও তার কিরণের, শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের পশ্চাতে আসে(সুরা আশ-শামশঃ১-২)।” এখানে বলা হয়েছে যে, চন্দ্র সূর্যের পরে আসে।পৃথিবী যদি চন্দ্র বা সূর্যের চার দিকে ঘূরত, তাহলে চন্দ্র সূর্যকে অনুসরণ করত না। বরং চন্দ্র একবার সূর্যকে, আর সূর্য একবার চন্দ্রকে অনুসরণ করত।কেননা সূর্য চন্দ্রের অনেক উপরে।এই আয়াত দিয়ে পৃথিবী স্থীর থাকার ব্যাপ্যারে দলীল গ্রহণ করার ভিতরে চিন্তা-ভাবনার বিষয় রয়েছে।
জবাবঃ-(৮)মহান আল্লাহ তাআ’লা বলেন, وَ الشَّمسُ تَجرِي لِمُستَقَرِّ لَهَا) ذَلِكَ تَقدِيرُ العَزِيز العَلِيمِ , وَ القَمَرَ قَدَّرنَاهُ مَنَزِلَ حَتَّي عَادَ كَالعُرجُونِ القَدِيمِ, لَا الشَّمسُ يَنبَغَي لَهَا أَن تُدرٍكض القَمَرَ وَلَا اللَّيلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَ كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسبَحُونَ(سورة يس:38-40)) অর্থঃ “সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্ত্ন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ আল্লাহর নির্ধারণ। চন্দ্রের জন্যে আমি বিভিন্ন মঞ্জিল নির্ধারিত করেছি। অবশেষে সে পরাতব খর্জুর শাখার অনুরুপ হয়ে যায়। রাতের পক্ষেও দিনের অগ্রবতী হওয়া সম্ভব নয়। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে পরিভ্রমন করে(সুরা ইয়াসিনঃ৩৮-৪০)।” এখানে সূর্যের চলা এবং এই চলাকে মহা পরাক্রমশালী আল্লাহর নির্ধারণ বলে ব্যাখ্যা করা এটাই প্রমাণ করে যে, সূর্য প্রকৃতই চলমান। আর এই চলাচলের কারণেই দিবা-রাত্রি এবং ঋতুর পরিবর্তন হয়। যদি পৃথিবী ঘূরত, তাহলে পৃথিবীর জন্য মঞ্জিল নির্ধারণ করা হত। চন্দ্রের জন্য নয়। সূর্য কর্তৃক চন্দ্রকে ধরতে না পারা এবং দিনের অগ্রে রাত থাকা সূর্য, চন্দ্র এবং রাতের চলাচলের প্রমাণ বহন করে।
জবাবঃ-(৯) নবী (সাঃ) সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আবু যর (রাঃ)কে বলেছেন , أتـَدري أَينَ تذهَبُ قُلتُ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعلَمُ قَلَ فَااِنَّهَا تَذهَبُ حَتَّي تَسجُدَ تَحتَ العَرشِ فَتَستأَذِنَ فَيؤذَنُ لَهَا وَيُوشِكُ أَنَّ تَسجُدَ فَلَا يُقبَلَ مِنهَا وَتَستَأَذِنَ فَلَا يُؤذَنَ لَهَا يُقََالُ لَهَا ارجِعِي مِن حِيثُ جِئتِ فَتَطلُعُ مِن مَغرِبهَا
অর্থঃ “হে আবু যর! তুমি কি জান সূর্য যখন অস্ত যায় তখন কোথায় যায় ? আবু যর(রাঃ) বললেন, আল্লাহ এবং তার রাসূল (সাঃ)ই ভাল জানেন । রাসূল (সাঃ) বললেন, সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আরশের নিচে গিয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং পুনরায় উদিত হওয়ার অনুমতি চায়।সে দিন বেশি দূরে নয়, যে অনুমতি চাইবে কিন্ত তাকে অনুমতি দেয়া হবে না । তাকে বলা হবে যেখান থেকে এসেছ , সেখানে ফেরত যাও। অতঃপর সূর্য পশ্চিম দিক থেকেই উদিত হবে।”১ এটি হবে কিয়ামতের পূর্ব মুহুর্তে। আল্লাহ সূর্যকে বলবেন, যেখান থেকে এসেছ, সেখানে ফেরত যাও।অতঃপর সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে । অতএব সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হওয়ার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, সূর্য পৃথিবীর উপর ঘূরছে এবং এই ঘূরার মাধ্যমেই উদয়-অস্ত সংগঠিত হচ্ছে।
জবাবঃ(১০)
নোটঃ১- সহি বুখারী , অধ্যায়ঃ বাদউল খালক। মুসলিম, অধ্যায়ঃ ঈমান।
সুত্রপাত ঘটেছে
কখনো কি আপনার মনে প্রশ্ন যেগেছে যে আযানের আওয়াজ শুনলে কুকুর চিত্কার চেঁচামেচি করে কেন ?
আযনের সময় কেন কুকুর ডাকে এর কোনো নির্দিষ্ট কারন নেই, তবে কুকুর কেন ডাকে তা নিম্মে দেওয়া হলোঃ
কুকুরের ডাকের কিছু কারন হল-
• অন্য কুকুর অথবা প্রানিকে
সতর্ক করা – স্বাভাবিকভাবেই
একটি কুকুর চায় তার এলাকায়
যাতে অন্য কোনও প্রাণী না
চলে আসে। তাই ডাকের মাধ্যমে
সে আগেই তার উপস্থিতি
বুঝিয়ে দেয়।
• উত্তেজনার কোনও মুহূর্তে
অংশগ্রহণ করতে চাওয়া – মানুষ
জোরে জোরে কথা বললে অথবা
কারো ঝগড়া লাগলে কুকুর বুঝতে
পারে। তখন কুকুরও চায় অংশগ্রহন করতে এবং জোরে জোরে ডাকতে থাকে।
• অপরিচিত মানুষ দেখে –
মালিক এবং পরিচিত মানুষ
ছাড়া অন্য কারো উপস্থিতিতে
কুকুর ডাকতে থাকে। এর ফলে
চোর ডাকাত বাড়িতে ঢুকতে
পারে না।
• কাউকে ভয় দেখানোর জন্য ও
দূরে রাখার জন্য – কুকুর যাকে
পছন্দ করে না তাকে দেখলেই ভয়
দেখাতে চায় এবং দূরে রাখার
জন্য ডাকতে থাকে।
• অপরিচিত কোনও শব্দ শুনলে বা অস্বাভাবিক কিছু দেখলে –
কুকুরের শ্রবণশক্তি খুবই ভালো।
তাই মৃদু আওয়াজ হলেও কুকুর
শুনতে পায়। অপরিচিত আওয়াজ
কানে গেলেই তারা ডাকতে
থাকে।
• মালিকের মনোযোগ আকর্ষণ
করার জন্য- মালিককে এরা বন্ধু
ভাবে এবং সব সময় তার দৃষ্টি
আকর্ষণ করতে ভালবাসে। তাই
মাঝে মধ্যে মনোযোগ আকর্ষণের
উদ্দেশে এরা ডাকে।
• মালিকের সাথে খেলতে আগ্রহ
প্রকাশ করা – কুকুর খেলতে খুব
ভালবাসে। ডাকের মাধ্যমে
খেলার আগ্রহ প্রকাশ করে।
• খুশি হলে অথবা কোনও সমস্যায় পড়লে – ডাকের মাধ্যমে এরা খুশি প্রকাশ করতে এবং দুঃখ
প্রকাশ করতে চায়। কোনো
অসুবিধায় পড়লেও জোরে জোরে
এরা ডাকতে থাকে।
কুকুরের ডাকের কিছু কারন হল-
• অন্য কুকুর অথবা প্রানিকে
সতর্ক করা – স্বাভাবিকভাবেই
একটি কুকুর চায় তার এলাকায়
যাতে অন্য কোনও প্রাণী না
চলে আসে। তাই ডাকের মাধ্যমে
সে আগেই তার উপস্থিতি
বুঝিয়ে দেয়।
• উত্তেজনার কোনও মুহূর্তে
অংশগ্রহণ করতে চাওয়া – মানুষ
জোরে জোরে কথা বললে অথবা
কারো ঝগড়া লাগলে কুকুর বুঝতে
পারে। তখন কুকুরও চায় অংশগ্রহন করতে এবং জোরে জোরে ডাকতে থাকে।
• অপরিচিত মানুষ দেখে –
মালিক এবং পরিচিত মানুষ
ছাড়া অন্য কারো উপস্থিতিতে
কুকুর ডাকতে থাকে। এর ফলে
চোর ডাকাত বাড়িতে ঢুকতে
পারে না।
• কাউকে ভয় দেখানোর জন্য ও
দূরে রাখার জন্য – কুকুর যাকে
পছন্দ করে না তাকে দেখলেই ভয়
দেখাতে চায় এবং দূরে রাখার
জন্য ডাকতে থাকে।
• অপরিচিত কোনও শব্দ শুনলে বা অস্বাভাবিক কিছু দেখলে –
কুকুরের শ্রবণশক্তি খুবই ভালো।
তাই মৃদু আওয়াজ হলেও কুকুর
শুনতে পায়। অপরিচিত আওয়াজ
কানে গেলেই তারা ডাকতে
থাকে।
• মালিকের মনোযোগ আকর্ষণ
করার জন্য- মালিককে এরা বন্ধু
ভাবে এবং সব সময় তার দৃষ্টি
আকর্ষণ করতে ভালবাসে। তাই
মাঝে মধ্যে মনোযোগ আকর্ষণের
উদ্দেশে এরা ডাকে।
• মালিকের সাথে খেলতে আগ্রহ
প্রকাশ করা – কুকুর খেলতে খুব
ভালবাসে। ডাকের মাধ্যমে
খেলার আগ্রহ প্রকাশ করে।
• খুশি হলে অথবা কোনও সমস্যায় পড়লে – ডাকের মাধ্যমে এরা খুশি প্রকাশ করতে এবং দুঃখ
প্রকাশ করতে চায়। কোনো
অসুবিধায় পড়লেও জোরে জোরে
এরা ডাকতে থাকে।
যদি যানা নাথাকে তাহলে যেনে নিন কারন যানতে কোন প্রকার দোষ নেই বরং আপনার উপকার!!
¤ বাংলাদেশের একমাত্র জলপ্রপাতের
নাম কী?
উত্তর: মাধবকুন্ড
¤ তাজিনডং পর্বতশৃঙ্গ কি নামে পরিচিত?
উত্তর: বিজয়
¤ বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম পাহাড়
কোনটি?
¤ গারো পাহাড়
¤ ছেঁড়াদ্বীপের আয়তন কত?
উত্তর: ৩ কি:মি:
¤ বাংলাদেশের সর্ববৃহত্ বিলের নাম কি?
উত্তর: চলনবিল
¤ চট্টগ্রামের দুঃখ বলা হয় কাকে?
উত্তর: চাকতাই খাল
¤ বরিশালের পুরাতন নাম কী?
উত্তর: চন্দ্রদ্বীপ/ বাকলা/ ইসমাইলপুর
¤ বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ কোনটি?
উত্তর: ভোলা
¤ সেন্টমার্টিন দ্বীপের আয়তন কত?
উত্তর: ১২ বর্গ কি:মি:
¤ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: পটুয়াখালি
¤ মংলা সমুদ্র বন্দর কোন নদীর তীরে
অবস্থিত?
উত্তর: পশুর নদী
¤ মংলা সমুদ্র বন্দর কত সালে প্রতিষ্ঠিত
হয়?
উত্তর: ১৯৫০
¤ বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি
দ্বীপের নাম কি?
¤ মহেশখালি
¤ বাংলার ভেনিস বলা হয় কোন শহরকে?
উত্তর:বরিশাল
¤ নদীয়া এর বর্তমান নাম কি?
উত্তর: কুষ্টিয়া
¤ বাংলাদেশের একমাত্র সামুদ্রিক প্রবাল
দ্বীপ কোনটি?
উত্তর: সেন্টমার্টিন
¤ সেন্টমার্টিন দ্বীপের পুরাতন নাম কি?
উত্তর: নারিকেল জিঞ্জিরা
০১/ CNG -এর অর্থ কি?
উঃ কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস।
০২/ তরল পদার্থের প্রসারণ বলতে কি রকম
প্রসারণ বুঝায়?
উঃ আয়তন প্রসারণ।
০৩/ প্রেসার কুকারে রান্না তাড়াতাড়ি হয়
কেন?
উঃ উচ্চ চাপে তরলের স্ফুটনাঙ্ক বৃদ্ধি পায়।
০৪/ মেঘলা আকাশের সময়ে গরম বেশি
লাগে কেন?
উঃ মেঘ পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে বিকীর্ণ
তাপকে
ওপরে যেতে বাধা সৃষ্টি করে বলে।
০৫/ নিচের কোনটিকে কিডনির কার্যকরি
একক বলা হয়?
উঃ নেফ্রন।
০৬/ ১টি ব্যাকটেরিয়া কয়টি কোষ দিয়ে
গঠিত?
উঃ ১টি।
০৭/ কোনটি রক্ত আমাশয়ের জীবাণু?
উঃ সিগেলা।
০৮/ মানুষের লালারসে কোন এনজাইমটি
থাকে?
উঃ টায়ালিন।
০৯/ কলার চারা লাগানোর সময় পাতা
কেটে ফেলা হয় কেন?
উঃ প্রস্বেদন রোধ করার জন্য।
১০/ গ্যালভানাইজিং কি?
উঃ লোহার উপর দস্তার প্রলেপ।
.
প্রশ্নঃ কোন দেশের কোন লিখিত
সংবিধান
নাই?
উঃ বৃটেন, নিউজিল্যান্ড, স্পেন ও
সৌদি
আরব।
প্রশ্নঃ বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংবিধান
কোন দেশের?
উঃ ভারতের।
প্রশ্নঃ বিশ্বের সবচেয়ে ছোট
সংবিধান
কোন দেশের?
উঃ আমেরিকার।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের সংবিধানের
প্রনয়ণের
প্রক্রিয়া শুরু হয় কবে?
উঃ ২৩ মার্চ, ১৯৭২।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের সংবিধান কবে
উত্থাপিত হয়?
উঃ ১২ অক্টোবর, ১৯৭২। প্রশ্নঃ
গনপরিষদে
কবে সংবিধান গৃহীত হয়? উঃ ৪
নভেম্বর,
১৯৭২। প্রশ্নঃ কোন তারিখে
বাংলাদেশের
সংবিধান বলবৎ
হয়?
উঃ ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২। প্রশ্নঃ
বাংলাদেশে
গনপরিষদের প্রথম অধিবেশন কবে
অনুষ্ঠিত
হয়?
উঃ ১০ এপ্রিল, ১৯৭২।
প্রশ্ন : উড পেন্সিলের সিস তৈরি হয়
কী
দিয়ে? উত্তর : গ্রাফাইট।
প্রশ্নঃ ইন্টারনেটের জনক কে ?
উত্তরঃ
ভিনটন জি কার্ফ । প্রশ্নঃ WWW
এর অর্থ
কি ? উত্তরঃ World Wide
Web.
প্রশ্নঃ WWW এর জনক কে ?
উত্তরঃ টিম বার্নাস লি । প্রশ্নঃ ই-
মেইল
এর জনক কে ? উত্তরঃ রে টমলি সন।
প্রশ্নঃ ইন্টারনেট সার্চইঞ্জিনের
জনক কে?
উত্তরঃ এলান এমটাজ
নাম কী?
উত্তর: মাধবকুন্ড
¤ তাজিনডং পর্বতশৃঙ্গ কি নামে পরিচিত?
উত্তর: বিজয়
¤ বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম পাহাড়
কোনটি?
¤ গারো পাহাড়
¤ ছেঁড়াদ্বীপের আয়তন কত?
উত্তর: ৩ কি:মি:
¤ বাংলাদেশের সর্ববৃহত্ বিলের নাম কি?
উত্তর: চলনবিল
¤ চট্টগ্রামের দুঃখ বলা হয় কাকে?
উত্তর: চাকতাই খাল
¤ বরিশালের পুরাতন নাম কী?
উত্তর: চন্দ্রদ্বীপ/ বাকলা/ ইসমাইলপুর
¤ বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ কোনটি?
উত্তর: ভোলা
¤ সেন্টমার্টিন দ্বীপের আয়তন কত?
উত্তর: ১২ বর্গ কি:মি:
¤ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: পটুয়াখালি
¤ মংলা সমুদ্র বন্দর কোন নদীর তীরে
অবস্থিত?
উত্তর: পশুর নদী
¤ মংলা সমুদ্র বন্দর কত সালে প্রতিষ্ঠিত
হয়?
উত্তর: ১৯৫০
¤ বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি
দ্বীপের নাম কি?
¤ মহেশখালি
¤ বাংলার ভেনিস বলা হয় কোন শহরকে?
উত্তর:বরিশাল
¤ নদীয়া এর বর্তমান নাম কি?
উত্তর: কুষ্টিয়া
¤ বাংলাদেশের একমাত্র সামুদ্রিক প্রবাল
দ্বীপ কোনটি?
উত্তর: সেন্টমার্টিন
¤ সেন্টমার্টিন দ্বীপের পুরাতন নাম কি?
উত্তর: নারিকেল জিঞ্জিরা
০১/ CNG -এর অর্থ কি?
উঃ কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস।
০২/ তরল পদার্থের প্রসারণ বলতে কি রকম
প্রসারণ বুঝায়?
উঃ আয়তন প্রসারণ।
০৩/ প্রেসার কুকারে রান্না তাড়াতাড়ি হয়
কেন?
উঃ উচ্চ চাপে তরলের স্ফুটনাঙ্ক বৃদ্ধি পায়।
০৪/ মেঘলা আকাশের সময়ে গরম বেশি
লাগে কেন?
উঃ মেঘ পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে বিকীর্ণ
তাপকে
ওপরে যেতে বাধা সৃষ্টি করে বলে।
০৫/ নিচের কোনটিকে কিডনির কার্যকরি
একক বলা হয়?
উঃ নেফ্রন।
০৬/ ১টি ব্যাকটেরিয়া কয়টি কোষ দিয়ে
গঠিত?
উঃ ১টি।
০৭/ কোনটি রক্ত আমাশয়ের জীবাণু?
উঃ সিগেলা।
০৮/ মানুষের লালারসে কোন এনজাইমটি
থাকে?
উঃ টায়ালিন।
০৯/ কলার চারা লাগানোর সময় পাতা
কেটে ফেলা হয় কেন?
উঃ প্রস্বেদন রোধ করার জন্য।
১০/ গ্যালভানাইজিং কি?
উঃ লোহার উপর দস্তার প্রলেপ।
.
প্রশ্নঃ কোন দেশের কোন লিখিত
সংবিধান
নাই?
উঃ বৃটেন, নিউজিল্যান্ড, স্পেন ও
সৌদি
আরব।
প্রশ্নঃ বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংবিধান
কোন দেশের?
উঃ ভারতের।
প্রশ্নঃ বিশ্বের সবচেয়ে ছোট
সংবিধান
কোন দেশের?
উঃ আমেরিকার।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের সংবিধানের
প্রনয়ণের
প্রক্রিয়া শুরু হয় কবে?
উঃ ২৩ মার্চ, ১৯৭২।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের সংবিধান কবে
উত্থাপিত হয়?
উঃ ১২ অক্টোবর, ১৯৭২। প্রশ্নঃ
গনপরিষদে
কবে সংবিধান গৃহীত হয়? উঃ ৪
নভেম্বর,
১৯৭২। প্রশ্নঃ কোন তারিখে
বাংলাদেশের
সংবিধান বলবৎ
হয়?
উঃ ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২। প্রশ্নঃ
বাংলাদেশে
গনপরিষদের প্রথম অধিবেশন কবে
অনুষ্ঠিত
হয়?
উঃ ১০ এপ্রিল, ১৯৭২।
প্রশ্ন : উড পেন্সিলের সিস তৈরি হয়
কী
দিয়ে? উত্তর : গ্রাফাইট।
প্রশ্নঃ ইন্টারনেটের জনক কে ?
উত্তরঃ
ভিনটন জি কার্ফ । প্রশ্নঃ WWW
এর অর্থ
কি ? উত্তরঃ World Wide
Web.
প্রশ্নঃ WWW এর জনক কে ?
উত্তরঃ টিম বার্নাস লি । প্রশ্নঃ ই-
মেইল
এর জনক কে ? উত্তরঃ রে টমলি সন।
প্রশ্নঃ ইন্টারনেট সার্চইঞ্জিনের
জনক কে?
উত্তরঃ এলান এমটাজ
আমাদের এখানে কালোর মধ্যে হলুদের মিশ্রণে বিরল বিষাক্ত সাপের সন্ধান !
শীতল জলে দেখা মিললো বিরল প্রজাতির সাপের। এর কালো দেহে অদ্ভুত সুন্দর হলুদের ছোঁয়া। বিজ্ঞানীরা জানান, এটা মারাত্মক বিষাক্ত এক সাপ। এক প্রতিবেদনে সাপটির কথা তুলে ধরেছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি।
ক্যালিফোর্নিয়ার হান্টিংটন বিচের উত্তরে বোলসা চিকা স্টেট সৈকতে সাপটির দেখা মেলে। সারফ্রাইডার ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান সৈকত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি হাতে নেয়। পরিষ্কারকালে হঠাৎ সাপটি দেখে তারা। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৭০ সালের দিকে একে একবার দেখা গিয়েছিল। আরেকবার দেখা মেলে অক্টোবরে।
সাপটির পেটে উজ্জ্বল বর্ণের হলুদ ছড়িয়ে রয়েছে। লেজের দিকে অদ্ভুত পেঁচানো পেঁচানো দাগ। দেখলে মনে হবে সাইকেলের প্যাডেলের মতো আঁকানো রয়েছে। এরা পানির নিচে টানা তিন ঘণ্টা থাকতে পারে। এরপর তাদের অক্সিজের প্রয়োজন হয়। প্রায় ৩৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয় সাপটি।
হলুদ দাগের এই সমুদ্রের সাপের প্রয়োজন উষ্ণ পানি। এরা সাধারণত প্রশান্ত ও ভারত সাগরের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বসবাস করে। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার সৈকতে একে দেখা গেছে মানেই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটেছে। এরা হয়তো নিজেদের অঞ্চল থেকে এদিকে চলে এসেছে। এসব তথ্য দেন ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার সর্পবিশারদ হার্ভে লিলি হোয়াইট। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার শীতল পানি তাদের বেঁচে থাকার জন্যে অনুকূল নয় বলেই জানান তিনি। এরা বছরে তিন বার বংশ বিস্তর করে। তাই সংখ্যাতেও অনেক কম।
সমুদ্রের সাপ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফির অভিযাত্রী জোলটান টাকাস জানান, এ প্রজাতির সাপ মধ্য আমেরিকায় প্রায়ই দেখা যায়। তবে কালো-হলুদের সাপটি সত্যিই বিরল।
এদিকে, সাপটি মারাত্মক বিষাক্ত। তাই বোলসা চিকা স্টেট বিচে যারা ঘুরতে আসেন তাদের মধ্যে সাপের ভয় ঢুকে গেছে। তবে লিলিহোয়াইট জানিয়েছেন, এ সাপ বিষাক্ত হলেও মানুষকে আক্রমণ করার প্রবণতা নেই। এদের মুখ খুব ছোট আকৃতির হয়। তাই কামড় বসানোর সম্ভাবনা নেই। মানুষ দেখলে এরা কেবল সাঁতরে চলে যাবে।
free music download
ক্যালিফোর্নিয়ার হান্টিংটন বিচের উত্তরে বোলসা চিকা স্টেট সৈকতে সাপটির দেখা মেলে। সারফ্রাইডার ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান সৈকত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি হাতে নেয়। পরিষ্কারকালে হঠাৎ সাপটি দেখে তারা। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৭০ সালের দিকে একে একবার দেখা গিয়েছিল। আরেকবার দেখা মেলে অক্টোবরে।
সাপটির পেটে উজ্জ্বল বর্ণের হলুদ ছড়িয়ে রয়েছে। লেজের দিকে অদ্ভুত পেঁচানো পেঁচানো দাগ। দেখলে মনে হবে সাইকেলের প্যাডেলের মতো আঁকানো রয়েছে। এরা পানির নিচে টানা তিন ঘণ্টা থাকতে পারে। এরপর তাদের অক্সিজের প্রয়োজন হয়। প্রায় ৩৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয় সাপটি।
হলুদ দাগের এই সমুদ্রের সাপের প্রয়োজন উষ্ণ পানি। এরা সাধারণত প্রশান্ত ও ভারত সাগরের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বসবাস করে। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার সৈকতে একে দেখা গেছে মানেই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটেছে। এরা হয়তো নিজেদের অঞ্চল থেকে এদিকে চলে এসেছে। এসব তথ্য দেন ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার সর্পবিশারদ হার্ভে লিলি হোয়াইট। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার শীতল পানি তাদের বেঁচে থাকার জন্যে অনুকূল নয় বলেই জানান তিনি। এরা বছরে তিন বার বংশ বিস্তর করে। তাই সংখ্যাতেও অনেক কম।
সমুদ্রের সাপ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফির অভিযাত্রী জোলটান টাকাস জানান, এ প্রজাতির সাপ মধ্য আমেরিকায় প্রায়ই দেখা যায়। তবে কালো-হলুদের সাপটি সত্যিই বিরল।
এদিকে, সাপটি মারাত্মক বিষাক্ত। তাই বোলসা চিকা স্টেট বিচে যারা ঘুরতে আসেন তাদের মধ্যে সাপের ভয় ঢুকে গেছে। তবে লিলিহোয়াইট জানিয়েছেন, এ সাপ বিষাক্ত হলেও মানুষকে আক্রমণ করার প্রবণতা নেই। এদের মুখ খুব ছোট আকৃতির হয়। তাই কামড় বসানোর সম্ভাবনা নেই। মানুষ দেখলে এরা কেবল সাঁতরে চলে যাবে।
মাল্লুরা কোন আমল থেকে গরু খাওয়া বন্ধ করে দিছে?
এক সময় হিন্দু ধর্মালম্বীরাই গরু জবাই করতেন (বলি দিতেন) এবং তার মাংস খেতেন। কিন্তু উপমহাদেশীয়
প্রেক্ষাপটে গরু আস্তে আস্তে হয়ে ওঠে রাজনীতির অন্যতম একটি অনুষঙ্গ। ঐতিহাসিকতার বিচারে ব্রাক্ষণদের ফতোয়ার ধারাবাহিকতায় আজকের গরু জবাই নিষিদ্ধের দাবি। দাবিটি আদতে ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক।
গরু নিষিদ্ধের এই রাজনৈতিকতাকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বিচার করতে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে মতামতভিত্তিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলিও। ভারতীয় উপমহাদের ইতিহাসের উপর বই লেখার জন্য বিখ্যাত ইতিহাসবিদ দ্বিজেন্দ্র নারায়ন ঝাঁ ডি. এন. ঝাঁ এর সাথে ডেইলি ও এর প্রতিবেদক উর্সিলা আলীর কথোপকথপনের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছে ওই নিবন্ধ।
প্রকাশিত নিবন্ধটিতে ইতিহাসকে সাক্ষী মেনে ডি. এন. ঝাঁ বলছেন, বৈদিক আর্যরা গরু বলি দিতেন এবং তার মাংস খেতেন। গরু বলি দেয়ার এরকম অনেক উদাহরণ আছে বেদেও যেখানেও গরু জাবাই ও তার মাংস খাওয়ার কথা রয়েছে।
এই চর্চাটি আর্যদের পরবর্তীদের সময় থেকে শুরু হয়ে মৌর্য শাসনের পূর্ব পর্যন্ত চলতে থাকে। ইতিহাসে যে তথ্য পাওয়া যায় তা অনুযায়ী মৌর্য সময়কালে কমতে থাকে গুরু করে জবাইয়ের পরিমাণ।
ব্রাক্ষণরা, যারা কিনা গরু জবাইয়ের মূলে ছিলেন তারাই এখন গরু জবাইকে নিরুৎসাহিত করছেন এবং এর জবাইকে অননুমোদিত করছেন। অননুমোদনের এ প্রক্রিয়া শুরু হয় কলি কালের ধারণা জন্মানোর সঙ্গে যে ধারণা প্রথমে মহাভারতে দেয়া হয় মৌর্য শাসনের পরবর্তী সময় থেকে গুপ্ত শাসনামলের সময়ে।
ডি. এন. ঝাঁ বলেছেন, ধর্মীয় ফতোয়া দেয়া ব্রাক্ষণরা এখন যুক্তি দেখানোর শুরু করেছেন যে কলি কালে পুরোনে কিছু চর্চা বাদ দিতে হবে যার মধ্যে গরু জবাই অন্যতম। তবে তাদের এ নিরুৎসাহিত করার সাথে ধর্মশাস্ত্রের নির্দেশ(গরু জবাইকারীকে ছোয়া যাবে না) কোন মিল নেই।
গরু জবাই বন্ধ করা হয় এবং গরুর মাংস খাওয়াকে ক্রমে ক্রমে ব্রাক্ষণদের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। এখন এই খাবারটি এমন বর্ণের খাবার হয়ে দাঁড়িয়েছে যাদের ছোঁয়া যাবে না।
মধ্যযুগে ইসলামী জাগরণের সময় ব্রাক্ষণদের এ নির্দেশের সাথে মুসলমানদের মধ্যে একটি ধর্মীয় অমিল দেখা যায় এবং ১৭ থেকে ১৮ শতকে এ বিষয় নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে বিরোধেরও প্রমাণাদি রয়েছে ইতিহাসের পাতায়।
মারাঠি শাসনামল এবং শিবাজির সময়ে তা আরো প্রবল হয়। গরু এবং ব্রাক্ষণদের রক্ষাকর্তা হিসেবে পরিচিত শিবাজি। তার সময়েই হিন্দু ধর্মের সাথে গরুর সম্পর্কের বিষয়টি পরিস্কার হয়ে ওঠে।
পাঞ্জাবে গরু জবাইকে বৈধতা দেয়ার কারণে ১৯ শতকে হিন্দু এবং শিখদের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে একত্রিত করে গরুর ইস্যু। তবে ১৮৮২ সালে দয়ানন্দ সরস্বতী গরু রক্ষার সমাজ গঠন করেন এবং এর সাথে বহু মানুষকে একত্রিত করতে সক্ষম হন যা সরসরি মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হতো। এরপর থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে গরু হয়ে ওঠে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
ঝাঁ বলেছেন, আর্যদের গরু জবাইয়ের অনেক তথ্য থাকলেও এটি সময়ের সাথে তার আকর্ষণ হারিয়েছে। মৌর্য এবং গুপ্ত শাসনামলের পরবর্তী সময়ে ব্রাক্ষণরা সরাসরি গরু জবাইকে নিরুৎসাহিত এবং অননুমোদিত করেন। মধ্যযুগের পরবর্তী সময়ে এটা ধর্মীয় প্রতিকৃতি ধারণ করে এবং ১৯ শতকে হিন্দু ধর্মের পরিচায়ক হয়ে দাঁড়ায়
অবাক ও বিস্ময়কর হবার মতো কিছু ছবি(ফটো টিউন)
মাছিটির বুকের পাঠা আছে বটে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কপালে এসে বসা কি যেনতেন কাজ নাকি। ছবিটি আসলেই বিরল ও বিস্ময়কর।
একেই বলে ইন্দুর ইন্দুরের জন্য। নিজের জীবন বাজি রেখে সাপের মুখ থেকে বন্ধুকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা।
সাতার কাটতে না পারলেও বন্যার পানি থেকে বাঁচার জন্যে তারে ঝুলে থাকার অভিঞ্জতা রয়েছে লোকটির।
বন্যার পানি সবজাইগাই ছড়িয়ে পড়লেও শুধু বাঁকি ছিল এই সুইমিং পুলটি।
সবুজ ঘাসে শোয়া কুমিরটিকে গাধার বাচ্চাটা হয়তো খেয়ালই করেননি কখন না জানি কুমিরের গায়ে হকি চালিয়ে দেয়।
ফড়িং ঝড়।
মরুভূমির মাঝে পারকিং লট! যেটা ভাবছেন সেটা একদমই না। সব ধুলো ঝড়ের কেরামতি।
Subscribe to:
Posts (Atom)