**************************************************************************************************************************************************** ****************************************************************************************************************************************************
Showing posts with label অনলাইন নিউজ পেপার. Show all posts
Showing posts with label অনলাইন নিউজ পেপার. Show all posts

SignUP এর সাথে সাথে ৫০০টাকা পাবেন একাউন্টে

প্রথম ৫০০টাকা ফ্রী !! Ebay,Amazon এর পন্য নিজ ঘরে Home Delivery!! (আগে সম্পুৃর্ণ টিউনটি পড়ে নিন,পুরোটা না পড়ে কোনো ফালতু টিউমেন্ট করবেন না) .

যারা Ebay, Amazon এর মত সাইট থেকে Flash Drive, Portable HDD, Headphones, Mouse-
Keyboard এবং ছোটো-খাটো পার্টস কিনে আনাতে চান তাদের জন্য একদম এককথায় “Perfect!” Ebay, Amazon থেকে অনেক কিছু কিনারই ইচ্ছা আমাদের থাকে, কিন্তু Direct কিনে আনার কোনো উপায় না থাকায় এবং পেমেন্টের সু-ব্যবস্থা না পাওয়ায় কাঙ্খিত জিনিস আনানো হয়ে উঠে না। অনেকে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে পেমেন্ট করিয়ে কাজ সারেন তবে তখন Dollar Conversion এ প্রোডাক্টের দাম অনেক বেড়ে যায়।
আমার Nexus 7 Tablet-টির চার্জিং সার্কিটটা নষ্ট হওয়ার পর থেকেই দোকানে দোকানে হন্নে হয়ে খুজেছি সার্কিটটা কেনার জন্য।
সবার এক কথা: “পার্টস নাই তবে পোর্ট আছে, ওয়েলডিং করে দেই?” Amazon এ সার্চ মারলেই কি সুন্দর পার্টসটি পাচ্ছিলাম মাত্র ৮-১০ ডলারে!!! শুধুমাত্র আনানোর সহজ উপায় না থাকায় পোর্টটাকেই রিপেয়ার করালাম যা ১ সপ্তাহ পরেই আবার আগের মত নষ্ট!! মাঝখানে আমার এত আদরের ৫০০টাকা গায়েব! .
এইবার নিয়ত করলাম, পার্টস যেভাবেই হোক আনাবো। আগেও জানতাম বিভিন্ন পন্থায় মানুষ বাহির থেকে পন্য বাংলাদেশে কিনিয়ে আনে তবে ছোটখাটো সমস্যা হয় কিন্তু এইবার হাড়ে হাড়ে টের পেলাম সমস্যাটা কোথায়। এইটার জন্য এতটাকা এক্সট্রা, ঐটার জন্য অতটাকা, তারপর অমুক-তমুক ও খোদা! ১০ডলারের একটা পন্য আনাতে এত মসিবত??? .
পরিশেষে ‪#‎Backpack‬ নামক কোনো এক সাইটে এসে উপস্থিত হলাম। সাইটের ভিজুয়াল দেখে বিশ্বাস হয় নি এটা বাংলাদেশি সাইট। সাইটে আমার প্রোডাক্টটির জন্য সার্চ মারতেই বুঝলাম জায়গা মত এসে পড়ছি। আরো দারুন জিনিস নজরে পড়ল, কারো রেফার হয়ে ঢুকলে আপনার একাউন্টে তারা ৫০০টাকা ফ্রী দিচ্ছে!! মানে পন্যের দাম ১০০০টাকা হলে আপনাকে দিতে হবে শুধুমাত্র ৫০০টাকা।
.
কিন্তু এইটা দেখতে একটু দেরী হয়ে গিয়েছিল, আমি ততক্ষনে আমার Facebook একাউন্ট দিয়ে সাইন-আপ করে ফেলেছিলাম, তাই আমার Account এ ৫০০টাকা আসে নাই। আর কি করার, বড় ভাইকে দিয়ে তার ফেসবুক একাউন্ট ব্যবহার করে আরেকটি একাউন্ট করালাম এবং দেখি আসলেই ৫০০টাকা দিয়েছে ভাইয়ার Account এ। কিভাবে অর্ডার করে এই ৫০০টাকা ব্যবহার করলাম তার ধাপে ধাপে বিবরন নিচে দেয়া হল।
.
.
প্রথমে সাইনআপ: .
রেফার ছাড়া সাইন আপ করলে https://backpackbang.com উপরে ক্লিক করুন (উল্লেখ্যঃ কোনো টাকা একাউন্টে পাবেন না)।
.
রেফারসহ সাইনআপ করলে এইখানে ক্লিক করুন (SignUP এর সাথে সাথে ৫০০টাকা পাবেন একাউন্টে)।
দেখুন আমি রেফারেল দিয়ে করেছি এবং ৫০০৳ পেয়েছি...

Note: ফেসবুক দিয়ে সাইন-আপ চাপুন(ইমেইল দিয়ে কাজ হবে না) .
সাইন-আপ হয়ে গেল! আপনার একাউন্টে যে ৫০০টাকা যোগ হয়েছে তা দেখাবে। এইবার আপনার কাঙ্খিত প্রোডাক্ট সার্চ করে খুজে বের করুন।
.
কেনার জন্য BUY NOW চাপুন।
.
এবার মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করুন(মোবাইলে এসএমএস আসবে এবং ঐ কোডটি Website এ বসাতে হবে।
.
এখন Delivery Method সেট করতে বলবে। ঢাকার মধ্যে যেকোনো জায়গায় ডেলিভারী চার্জ ২০০টাকা। আমার সস্থা জিনিসে হোম ডেলিভারী নিয়ে দাম বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই। আমি নিজে গিয়ে নিয়ে আসব(এলিফেন্ট রোড)। তাই আমি Pick-Up Method Select করলাম।
.
তারাই ঠিকানা দেখিয়ে শিউর করে দিচ্ছে লোকেশানটা কোথায় এবং কতদিনের মধ্যে আপনার প্রোডাক্ট চলে আসবে।
.
এবার আসবে পেমেন্ট অপশান। এটা দেখেই আমি সবচেয়ে বেশি অবাক হলাম। যতভাবে পেমেন্টের ব্যবস্থা করা সম্ভব প্রায় প্রত্যেকটাই তারা দেয়ার প্রচেষ্টা করেছে। আমি অনলাইনে টাকা দিতে নারাজ, ব্যাংক এ জমা দিয়ে কাজ করব। যদিও পার্টসটির দাম ৬৩৭টাকা ছিল কিন্তু আমার একাউন্টে ফ্রীতে পাওয়া ৫০০ টাকা থেকে ৩১৮টাকা কেটে বাকিটা এখন জমা দিতে বলছে(৩১৯টাকা)। ৬৩৭টাকার জায়গায় এখন আমাকে দিতে হবে ৩১৯টাকা।
.
লক্ষ্য করুন: ৩১৮+৩১৯=৬৩৭টাকা। তার মানে আমার প্রোডাক্টের অর্ধেকদাম(এক্ষেত্রে ৩১৮টাকা) ফ্রী পাওয়া টাকা থেকে ব্যবহার করা যাবে। তাই যদি আমার মূল প্রোডাক্টের দাম ১০০০টাকা হত তবে আমার বোনাস টাকা থেকে পুরো ৫০০টাকাই কাটা যেত এবং আমাকে ১০০০টাকার পরিবর্তে শুধুমাত্র ৫০০টাকাই দিতে হত।
.
–এই ফ্রী টাকা দিয়ে তারা আমাদের মূলত বিদেশ থেকে প্রোডাক্ট আনানোর জন্য আগ্রহী করছে তাই পুরো ফ্রী করে দিলে আমরা কিভাবে টাকা জমা দিতে হয় তা শিখব না, যা তারা চায় না।
.
আমি যেহেতু ব্যাংক ডিপোসিট অপশান সিলেক্ট করেছি তাই তারা আমাকে একটি ব্যাংক একাউন্ট ডিটেইলস দিবে যেখানে টাকা জমে দিতে হবে। জমা দেওয়ার মেমোর স্ক্যান কপি নিচের Browse চেপে আপলোড করে দিলেই কাজ শেষ। তারা একটু ফেরিফাই করবে তাদের একাউন্টের সাথে আপনার ক্যাশ মেমো মিলে কিনা। যদি মিলে যায়, ব্যাস কাজ শেষ এবং প্রোডাক্ট পাওয়ার অপেক্ষা শুরু।
.
যদি আপনি অন্য অপশান ব্যবহার করেন, যেমন: বিকাশ, ব্যাংক অনলাইন ট্রান্সফার তাহলে আর মেমোর কাহিনী থাকছে না।
.
ভেরিফাই হওয়ার পর আপনার একাউন্টে অর্ডারটির অবস্থা যেকোনো সময় চেক করতে পারবেন। কোথায় আছে, কেনা হয়েছে কিনা এবং যদি চলে আসে তাও দেখতে পাবেন। যখন দেখবেন প্রোডাক্ট চলে এসেছে তখন মোবাইলে কল পাবেন। দেরী না করে সোজা অফিসে গিয়ে নিয়ে আসবেন আর হোম ডেলিভারী সেট করে থাকলে নিশ্চিন্ত থাকুন, ১দিনের ভেতর চলে আসবে।
.
বি:দ্র: আমি কোম্পানীর সাথে জড়িত কোনো ব্যক্তি নই, তাই কোনো কিছু জানার থাকলে তাদের ফোন নাম্বারে কল দিন। তারা বিস্তারিত বুঝিয়ে বলবে।

আর নয় চুল ছেড়া ছিড়ি এবার এসে গেল মন মাতানো সুন্দর একটি চাকুরি NCC Bank Job Circular 2016 No Experience Needed

NCC Bank Job Circular 2016 No Experience Needed. National Credit  and  Commerce Bank limited  is one of most famous leading privet commercial bank in Bangladesh. The bank play an important role in Bangladesh commercial business sector. The NCC Bank have 104 branch which are connect  each other strong online business network,  good banking service and technology based environment . The bank recently looking for some young, potential, energetic, smart and self- motivated Bangladeshi people to
appoint some post. It is really a good job for job finders. To apply for this job post you have to maintain some conditions. So lets check the conditions by below given official circular. Hope this job will give you a great career.
NCC Bank Job Circular 2016 No Experience Needed

The Bank job had published on April 7, 2016 in it’s official website for some posts.  It is a permanent and full time job. It location is any branch in Bangladesh.  The number of vacant posts of the job can not included in the circular. The job posts name is given below.

Junior Officer (general).
Assistant Officer (general).
Assistant Officer (cash).
Educational Qualification and Experience:

Different education qualification for different post. The job post education qualification is given below

Junior Officer (general) :-  To apply for junior officer post candidate should have graduation CGPA 3.00 out of 4.00 and SSC or HSC minimum GPA 3.oo out of 5.00.
Assistant Officer (general):-  To apply for Assistant Officer (general)  post candidate should have graduation CGPA 3.00 out of 4.00 and SSC or HSC minimum GPA below 3.oo out of 5.00.
Assistant Officer (cash):- To apply for Assistant Officer (cash)  post candidate should have graduation CGPA 2.25.00 out of 4.00 and SSC or HSC minimum GPA below 3.oo out of 5.00.
The candidate also must have experience in computer science of windows, ms office, spread sheet, Ms excel and power point. For more details  in the circular.

Age limit:

The Age limit for the job is not more 30 years as on April 28, 2016 for general applicant. For the freedom fighter sons has some benefits. The freedom fighter sons age limit is maximum 32 years.

Application Starts:  April 7, 2016

Salary:

The selected candidate will given high salary for different post.  For the Junior Officer (general) post monthly salary TK 25,000 will be paid. For the Assistant Officer (general)  post monthly salary TK 20,000 will be paid. And also TK 20,ooo will be paid monthly salary for the Assistant Officer (cash) . After one year successful work the candidate will be absorbed high salary.

Application Fee:

The job application fee is full free. So it is a great chance to the poor job seekers to apply for the job post.

How to apply:

If you want to apply for the job post then you have to apply through online application. To apply visit the official website www.nccbank.com.bd . For more information details in circular.
ncc bank job apply

Click to ncc bank job Apply

Only For You>> আবারো আপনাদের জন্য গ্রামীণফোনের বন্ধ সিমের ফাটাফাটি অফার 8GB ইন্টারনেট নিন মাত্র 44 টাকায়।


গ্রামীণফোন ১৪ই মার্চ বন্ধ সিমের অফার্ ৯ টাকায় ২ জিবি এবং ৩৬ টাকায় ৮ জিবি এই অফারটি বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু আজ তা আবার এই নতুন অফার দিয়েছে। হ্যাঁ গ্রামীণফোন বন্ধ সিমে আবারো ২ জি
বি ইন্টারনেট নিন মাত্র ১১ টাকায় এবং ৪৪ টাকায় ৮ জিবি। তো দেরি করে আর মিস করবেন না। এখনি একটিভ করে নিন।
এই অফারটি কেবল তারাই পাবে যাদের সিম আজ থেকে তিন মাস আগে থেকে বন্ধ।

আপনার পরিচিত বন্ধ সিমে এই অফারটি অ্যাকটিভ করে আপনার যেকোন সচল সিমে রেফার করে আপনিও পাবেন ১০০ এমবি ফ্রী।

আপনার সিমটি বন্ধ সিমের আওতায় আছে কিনা তা চেক করতে BHK 017XXXXXXXX মানে BHK স্পেস আপনার বন্ধ সিমের নাম্বার লিখে ম্যাসেজটি সেন্ড করুন ৯৯৯৯ নাম্বারে। যদি আপনার নাম্বারটি এলিজেবল মানে গ্রহনযোগ্য দেখায় তাহলে আপনার বন্ধ সিমে ১১ টাকা রেখে ডায়াল করুন *১১১*৯০#

তাহলে আপনি পাবেন ২ জিবি ইন্টারনেট ১৫ মেয়াদে। এভাবে আরও তিনবার অ্যাকটিভ করুন আরও ৪০+ টাকা দিয়ে। ব্যাস এবার আরামছে নেট চালান।

আপনার নাম্বারে আরও ১০০ এমবি ফ্রী নিতে পারেন। বন্ধ সিম থেকে টাইপ করুন (SN আপনার সচল নাম্বার) লিখে পাঠিয়ে দিন ৯৯৯৯ নাম্বারে।

আপনাদের জন্য আবারো সিম্ফনি দেশের বাজারে নিয়ে এলো “H175”। ৪০০০ এম এ এইচ, লি-পলিমার ব্যাটারী এবং ৬৪ বিট প্রসেসর এর সমন্বয়ে স্মার্টফোন আনলো সিম্ফনি।



বাংলাদেশের শীর্ষ হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ড সিম্ফনি দেশের বাজারে নিয়ে এলো “H175”। ৪০০০ এম এ এইচ,
লি-পলিমার ব্যাটারী এবং ৬৪ বিট প্রসেসর এর সমন্বয়ে স্মার্টফোন আনলো সিম্ফনি।  এই হ্যান্ডসেটটিতে রয়েছে ৫ ইঞ্চি IPS বিগার স্ক্রীন , পাওয়ারফুল ক্যামেরা এবং ৫.১. অ্যান্ড্রয়েড ললিপপ । ১
৩ মেগাপিক্সেল ব্যাক (অটোফোকাস সমৃদ্ধ) এবং ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।
৬৪ বিট এবং ১.৩ গিগা হার্জ এর  কোয়াড কোর প্রসেসর ও ২ জিবি র‍্যাম এর কারণে ফুল এইচডি ভিডিও দেখা যাবে সাবলীল গতিতে এবং এ্যাপস চলবে অনেক দ্রুত । Mali T720  GPU থাকার কারণে গেমস খেলা যাবে কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়া।
এই ফোনটির ক্যামেরা সফটওয়্যার এ থাকছে জিরো শাটার ডিসপ্লে, ফেস ডিটেকশন, টাইম ষ্ট্যাম্প, নয়েজ রিডাকশন এইচডিআর, কন্টিনিউয়াস শট স্লো মোশন ভিডিও এবং লাইভ ফটো।  এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে “স্মার্ট মোশন” যাতে থাকছে এ্যাকশন আনলক, স্মার্ট অ্যানসার, অ্যাানসার বাই সুইং, স্মার্ট কল এবং স্মার্ট সুইচ সহ আরো অনেক ফিচার।
ফোন টিকে সহজে ব্যবহার করার জন্যে এতে দেয়া হয়েছে “মাল্টি জেসচার সেটিংস” ।  যার মাধ্যমে এই  ডিভাইস টিকে এক হাতে ব্যবহার করা অনেক সহজ হবে। স্ক্রীন অফ থাকা অবস্থায়ও আঙুল দিয়ে C লিখে ক্যামেরা ওপেন করা, কিংবা E লিখে ব্রাউজার ওপেন করা যাবে। ফোনের নির্দিষ্ট জেশ্চার চাইলেই এডিট করে, নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করা যাবে।
এতে আরো আছে ১৬ জিবি স্টোরেজ সুবিধা, যেখানে রাখা যাবে অনেক বেশী ভিডিও, ছবি এবং মিউজিক । এর এক্সপান্ডেবল মেমোরী ৩২ জিবি পর্যন্ত ।এই হ্যান্ডসেটটিতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক Emergency Rescue Feature Support । এই সেটটির ব্যবহারকারী কোন ধরণের বিপদের সম্মুখীন হলে তখন ভলিউম এর আপ এবং ডাউন বাটন ৩ সেকেন্ড এর জন্য ধরে থাকলে অটোমেটিক একটি মেসেজ সেটিংস এ সেট করে রাখা ইমার্জেন্সি কন্টাক্টস এর কাছে মেসেজ চলে যাবে লোকেশন সহ। চাইলে ইন্টারভ্যাল ও পছন্দ করা যাবে।
সিম্ফনি ‘H175’ দুটি ভিন্ন রং এ (ধূসর এবং সাদা) এই মাস থেকেই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এই সেটটির মূল্যের দিক থেকে সিম্ফনি আবারো চমক দেখালো। সেটটির মূল্য রাখা হচ্ছে মাত্র ১০,৪৯০ টাকা

https://web.facebook.com/pachvejal/

সকলেই সাবধান খুব শিগ্রই আসছে ৮ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প!


পুনরায় হিমালয় অঞ্চলে বড় কোনো ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। রিখটার স্কেলে
এর মাত্রা হতে পারে ৮ দশমিক ২ বা এর বেশি। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিশেষজ্ঞরা এই সতর্ক বার্তা শুনিয়েছেন।
খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, গত সোমবার মণিপুরে আঘাত হানা ভূমিকম্পের চেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ভবিষ্যতে অঞ্চলটিতে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। এর আগে রিখটার স্কেলে মণিপুরে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭ ।
২০১৫ সালের মে মাসে নেপালে ৭ দশমিক ৩ ও ২০১১ সালে সিকিমে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ক্রমিক ভূমিকম্পে টেকটোনিক প্লেটে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। প্লেটের এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও ভূমিকম্পের জন্ম দিতে পারে।
রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৮ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এদিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরাও বড় ভূমিকম্পের ব্যাপারে সতর্কতার কথা উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূকম্পনবিদ রজার বিলহামের সতর্কতা, বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তত চারটি ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে যার মাত্রা রিখটার স্কেলে ৮ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে খবরে প্রকাশ করা হয়েছে।

পর্নো বা ব্লু ফ্লিম সম্পর্কিত কিছু গোপন তথ্য! আপনিও হতে পারেন pornstar


পর্নো সম্পর্কে মানুষের ভুল ধারণাগুলো ভাঙার জন্য পর্নো ছবির পরিচালক সিমোর বাটস একটি নিবন্ধ লিখেছেন। যেখানে তিনি পর্নগ্রাফি সম্পর্কে মানুষের কিছু ভুল ধারণাকে তুলে ধরেছেন। মূলত এসব বিষয় গোপন করা হয়, যা ক্যামেরায় আসে না।
নিবন্ধে সিমোর বলছেন, ‘সাধারণ দর্শকদের কাছে পর্নো ছবির অভিনেতারা সুপার হিরো হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। আমি এ বিষয়টি জানি কারণ
আমি যখন অন্য সব সাধারণ দর্শকদের মতো পর্নো দেখতাম তখন আমার মধ্যেও এ চিন্তাটি কাজ করত।’
‘আমার এখনও মনে আছে ঠিক কোন চিন্তাগুলো আমার মাথায় ঘুরত। ওহ, তার পুরুষাঙ্গ কত বড়! তার দেহ কতটা সুঠাম! এই নারী এখনও অতৃপ্ত! এমন সব বিষয়ই আমার মাথায় ঘুরপাক খেত।’ -বলেন সিমোর।
‘এ বিষয়গুলো ভালো। পরিচালক হিসেবে আমি যখন কোনো দৃশ্য ধারণ করি তখন আমার মধ্যেও এ চিন্তাটি থাকে যাতে দর্শক এগুলোই চিন্তা করেন যখন তিনি দৃশ্যটি পর্দায় দেখবেন। আমি সেভাবেই পরিকল্পনা, ধারণ, নির্দেশ এবং এডিট করে থাকি আমার দর্শকদের মধ্যে এরকম চিন্তা দেয়ার জন্য।’
‘কিন্তু এতে সমস্যাটা তখনই শুরু হয় যখন তারা ভুলে যায় যে এটা আসলে বাস্তব নয় এবং এর পিছনের কারণ বুঝতে পারেন না। তারা নিজেদের অসহায় মনে করতে শুরু করেন এবং তাদের যৌন ক্ষমতা নিয়ে নিজেদের মধ্যে সন্দেহের উদ্বেগ হয়। তখন তারা এমনটি চিন্তা করতে শুরু করে যে, আমার লিঙ্গ যদি এতো বড় হতো! আমার প্রেমিকা যদি এরকমটা করত! আমি যদি এভাবে এবং এতোটা সময় ধরে উত্তেজিত থাকতে পারতাম!’
‘বাস্তবে যা ঘটে তার সঠিক কোনো প্রতিফলন টিভি কিংবা কম্পিউটারে দেখা স্ক্রিনে ঘটে না। এই দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে যা ঘটে তার খুব কমটাই দেখতে পান আপনি। তাহলে জানুন এরকম কিছু তথ্য।’
বড় পুরুষাঙ্গ
‘পর্নো ছবির বেশিরভাগ অভিনেতারই পুরুষাঙ্গ অনেক বড়। আপনি হয়তো তাদের পুরুষাঙ্গের আকার দেখে মুগ্ধ হতে পারেন কিন্তু আপনি কী জানেন, এত বড় পুরুষাঙ্গ দেখে কারা উত্তেজিত হয় না? পর্নো ছবির অভিনেত্রীরা।’
খুব অল্প পরিমান অভিনেত্রীই এত বড় লিঙ্গকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেন। পর্নো ছবির দৃশ্য ধারণকালে এ বিষয়টির মুখোমুখি হতে হয় আমাকে। এর ফলে অভিনেত্রীর চেহারায় উঠে আসে কষ্টের বিষয়টি এবং এটা তাকে গভীরে যেতে বাধা দান করে।
এডিটের সময় এ বিষয়গুলোকে বাদ দেই আমি। কারণ এগুলো মনোযোগের বিক্ষেপ ঘটায়। এটা আপনাকে আনন্দ দান থেকে দূরে নিয়ে গিয়ে এটা ভাবাতে শুরু করবে যে, এরা সবাই অভিনেতা এবং তারা একটি কাজ করছেন।’
যৌন ক্ষমতা
‘সাধারণত পর্নো ছবির ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই অভিনেতা ২০ থেকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত তার উত্তেজনাকে ধরে রাখছেন। কিন্তু ক্যামেরায় দৃশ্য ধারণের পূর্বে যা হয়, তা কেউ দেখতে পান না। এর আগে সাধারণত ঘটে পিল খাওয়া কিংবা পুরুষাঙ্গকে উত্তেজিত রাখার জন্য ইনজেকশন দেওয়ার মতো ঘটনা। আমার অভিজ্ঞতা আমাকে বলে যে শতকরা ৯৫ শতাংশ পুরুষ পর্নো ছবির অভিনয়ের পূর্বে এমনটা করে থাকেন।
আপনি শুধু নিঁখুত জিনিসটাই দেখতে পান কিন্তু এর পিছনের কাহিনীগুলো সবসময় আপনার অজানাই থেকে যায়।’
অ্যানাল  সেক্স
পর্নো ছবিতে অভিনেতারা সব কিছু নিজেদের ইচ্ছায় করছেন এমনটাই দেখানো হয় কিন্তু তাই বলে তো আর সত্যটা মিথ্যে হয়ে যায় না। যখন এ বিষয়টা অ্যানাল সেক্সের প্রশ্ন তখন বাস্তবতাটা একটু বেশিই কঠিন। অ্যানাল সেক্সের ভিডিও ধারণের পূর্বে নারী অভিনেতাদের অনেক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। ইনজেকশন নেওয়া থেকে শুরু করে খাবার গ্রহণ বন্ধ রাখা পর্যন্ত। সাধারণত দৃশ্য ধারণের ৪ থেকে ১২ ঘণ্ট আগে থেকে তাদের খাবার গ্রহণ থেকে বিরত রাখা হয়। পরবর্তীতে যখন পর্দায় অ্যানাল সেক্স দেখবেন তখন মনে রাখবেন তিনি অনাহারী এবং তার ক্ষুধার কারণে পেটের মধ্যে এতো জোরে আওয়াজ হয়, যা সেখানে থাকা অন্যরাও শুনতে পান।
নারীর বীর্যপাত
নারীর বীর্যপাত সম্ভব কি-না সে বিষয়টি নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট বিতর্ক। তবে যখন এ বিষয়টি পর্নো ছবিতে আসে তখন আপনি যা দেখেন তা পুরোপুরি ঠিক নয়। পর্নো ছবিতে নারীর বীর্যপাত দেখানোর প্রত্যেকটি দৃশ্যে হয়তো ওই নারী প্রস্রাব করেন কিংবা দৃশ্য ধারণে বিরতি দিয়ে তুর্কি বাস্টারের সহায়তায় তার যৌনাঙ্গে পানি প্রবেশ করানো হয়।
কনডমের ব্যবহার
পর্নো ছবির বেশিরভাগ দৃশ্যেই দেখা যায় কনডম ছাড়াই যৌন মিলন করছেন অভিনেতারা। প্রতি ১৪ থেকে ৩০ দিন পরপরই তাদের যৌনরোগের পরীক্ষা করানো হলেও তাদের কনডম ব্যবহার না করার কারণে তাদের বেশিরভাগই যৌনরোগে আক্রান্ত হন। অনেকে ঔষধ গ্রহণ ও যৌন চিকিৎসার বিষয়টিকে নিয়মিত করে নিয়েছেন। সুতরাং কনডমবিহীন যৌন মিলনে লিপ্ত হলে প্রত্যেকেই এই অভিজ্ঞতা সঞ্চার করতে হয়।


মিনায় পদদলনের ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ

নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলের কানো রাজ্যের বাসিন্দা হামজা মুসা কবির মিনায় জুমরাতে মর্মান্তিক পদদলনের ঘটনায় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া হাজীদের একজন। তিনি দুর্ঘটনার শিকার এক ব্যক্তির নিচে চাপা পড়ার
পর নিজের এহরামের কাপড় ত্যাগ করে অনেক কষ্টে বের হয়ে আসেন। ওই দুর্ঘটনায় মারা যান ৭৬৯ জন হাজী। আরো দু’জন প্রত্যক্ষদর্শী হাজী ওই দুর্ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। তাদের একজন আলজেরীয়, অন্যজন মিসরীয়।
৫৫ বছর বয়েসী এই নাইজেরীয় ব্যবসায়ী গত বৃহস্পতিবার মক্কা নগরীর উপকণ্ঠে সংঘটিত মর্মান্তিক ঘটনার নাটকীয় বাহিনী তুলে ধরেন এএফপির কানোর প্রতিনিধি আমিনু আবুবকরের কাছে। আবুবকরও এবার হজ পালন করেন। হামজা বলেন, ‘আমরা সূর্যোদয়ের পর আমরা মুজদালিফা থেকে জামারাতের দিকে যাত্রা শুরু করি’। মিনার এই স্থানটিতে হাজীরা হজের অংশ হিসেবে জামারাতে শয়তানের দিকে কংকর নিক্ষেপ করেন। ‘আমাদের (হাজীদের) জনস্রোত অর্ধেকেরও বেশি পথ অতিক্রম করার পর পুলিশ রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ফলে সেখানে হাজীদের ভিড় বাড়তে থাকে। এরপর পুলিশ একটি বাদে সব পথই বন্ধ করে দেয়। পুলিশ যখন জামারাতে কংকর নিক্ষেপকারীদের সেই একই পথে তাদের অবস্থানস্থল তাঁবুতে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেয় তখন পরিস্থিতির ভয়ানক অবনতি ঘটে।’
‘আমি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেখান থেকে দেখতে পাচ্ছিলাম যে, নিকটবর্তী নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্লাটফরমে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা ইশারায় জামারাত থেকে ফেরত আসা হাজীদের সামনে অগ্রসর হতে বলছেন। এসব ফেরত আসা ব্যক্তি ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়া জুমরাত অভিমুখী হাজীদের বিপরীত দিক থেকে আসছিলেন এবং এই স্থানেই পদদলনের ঘটনা ঘটে।’
হামজা বলেন, ‘শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা ও প্রচণ্ড গরমে লোকেরা দুর্বল হয়ে পড়েন এবং (চাপা পড়ে) শ্বাস নিতে পারেননি। প্রধানত নারী, বৃদ্ধ ও হুইলচেয়ারে উপবিষ্ট শারীরিক প্রতিবন্ধী হাজীরা পদপিষ্ট হন বেশি। আমি নিজেও একজন উঁচু-লম্বা-মোটা লোকের নিচে চাপা পড়ি, আমার ধারণা, ওই ব্যক্তি সম্ভবত একজন এশীয়। আমি এ সময় আমার এহরাম খুলে ফেলি। কারণ আমার বাঁচার পথে এ পোশাকই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমি আমার এক হাত উঁঠিয়ে আরেকজন নাইজেরীয় হাজীর কাপড় শক্তভাবে টেনে ধরি, যিনি এর আগেই একটি বেড়া ধরে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি আমাকে তুলতে পারছিলেন না। কারণ আমি যে লোকটির নিচে চাপা পড়েছিলাম তিনি ছিলেন খুবই ভারী।’
অসংখ্য লাশ 
অত্যন্ত মরিয়া হয়ে হামজা লোকটিকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন ... এতে লোকটি তার থেকে ছিটকে পড়েন। হামজা বলেন, ‘এতে আমি আমার অন্য হাতটি ব্যবহার করতে সক্ষম হই এবং বেড়ার ধাতব শিক পর্যন্ত প্রসারিত করে তা ধরে ফেলি। এভাবে আমি এক আরব তরুণের সহায়তায় উঠে দাঁড়াতে সক্ষম হই। ওই তরুণ বেড়ার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এভাবে আমি একটি নিরাপদ তাঁবুর ভেতরে ঢুকে পড়ি।’ তিনি বলেন, ‘আমার মাথা ঝিম ঝিম করছিল এবং এত দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম যে, হাঁটতে পারছিলাম না। আমি মেঝেতে শুয়ে পড়ি। আমার চেতনা ফিরেছে দেখে আরেকজন হাজী তার একটি এহরাম আমাকে দেন। লোকেরা আমাকে খাদ্য ও পানীয় দেয়। এ সময় আমি বুঝতে পারি যে, আমার শরীরের একপাশে কামড় দেয়া হয়েছে। আমার নিচে পড়ে থাকা এক যুবক এ কামড় দিয়েছিল।’ হামজার কাঁধে বাধা ছোট্ট ব্যাগটি ছাড়া তার সব ব্যাগ ও জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলেছেন। ‘আমি প্রায় দুই ঘণ্টা অনেকটা অচেতন অবস্থায় ছিলাম। এরপর আরেকজন নাইজেরীয় হাজীর সাহায্যে আমি ফের জামারাতে যেয়ে কংকর নিক্ষেপ করি।’
‘ফেরার সময় আমি যা দেখতে পেলাম তাতে আমি ভয় পেয়ে গেলাম। দুর্ঘটনাস্থলে সাদা কাপড়ে ঢাকা অসংখ্য লাশ পড়ে আছে। আমার মনে হলো, আমিও হয়তো তাদের মতো পড়ে থাকতে পারতাম।’ এরপরও তিনি সেখানে ফিরে যেতে তেমন ভয় পাননি। হামজা বলেন, ‘আমি জানি আমার নির্ধারিত সময় না আসা পর্যন্ত আমার মৃত্যু হবে না। আমার ধর্মবিশ্বাসে হজ পালন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোনো বাধাই আমাকে ফের হজে আসতে অনুৎসাহিত করতে পারবে না।’
ওই দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন আলজেরীয় হাজী ফাতিমা সাবি (৫৬), মিসরীয় হাজী আতিফ আবদুল কাদির (৭৫)। আবদুল কাদিরের স্ত্রী ওই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তারা এ মর্মন্তুদ দুর্ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন, যা সৌদি গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে।
আতিফ গত রোববার আল-হায়াত পত্রিকাকে বলেন, আমি মিনায় আমার সঙ্গিনীকে হারিয়েছি। আমি তার খোঁজে মক্কার সব হাসপাতালে গেছি। আশা করেছিলাম তাকে জীবিত পাবো, কিন্তু অবশেষে তার লাশ পেলাম।
তিনি বলেন, ‘মুজদালিফা রাত কাটানোর পর তারা দুইজন সেখান থেকে মিনায় একসাথে এসেছিলেন। আমরা আমাদের তাঁবুতে ব্যাগ ও জিনিসপত্র রেখে হাতে হাত ধরে জামারাতে গিয়েছিলাম। তিনি দেখতে পেলেন লোকদের স্রোত থমকে গেছে এবং হাজীরা একজন অন্যজনের ওপর পড়ে ভয়াবহ পদদলনের সৃষ্টি হয়েছে। আমার স্ত্রী যখন পড়ে যায় তখনো আমি তার হাত ধরে রেখেছিলাম। সেটিই ছিল জীবিত অবস্থায় তাকে আমার শেষ দেখা।’
আতিফ বলেন, ‘আমার শরীরে অনেক আঁচড় লেগেছে। আমিও পড়ে গিয়েছিলাম কিন্তু কোনো একজন হাজী আমাকে টেনে তুলে নিরাপদ তাঁবুতে নিয়ে যান।’
ফাতিমা সাবি তার স্বামী জারাও আলীর (৬২) সাথে জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপ করতে যাচ্ছিলেন, যিনি পদদলনে নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিক্ষেপের আগে তিনি প্রতিটি কঙ্করে চুম্বন করেন।’ তার স্বামী মুজদালিফাতে এসব কঙ্কর সংগ্রহ করেন। জামারাত আল-আকাবাতে তারা একত্রে প্রথম দিনের কঙ্কর নিক্ষেপ শেষে তারা তাদের তাঁবুতে ফিরছিলেন। পথে তারা ভিড়ের মধ্যে পদদলনের শিকার হন।
‘আমি তার সামনে হাঁটছিলাম। তিনি আমার হাত শক্তভাবে ধরে রেখেছিলেন। হাজীরা তাকে ধরার পর তারা সবাই একসাথে পড়ে যান। এটি ছিল তাকে জীবন্ত আমার শেষ দেখা।’
ফাতিমা সাবি বলেন, ‘আমি তাকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বেশ কয়েকবার বলি, কিন্তু প্রতিবারই তিনি বলেন, তিনি উঠতে পারছেন না। অনেক লোক তার ওপর এসে পড়লে আমার স্বামী মানুষের নিচে হারিয়ে যান। মানুষের ঢল আমাকে তার কাছ থেকে চিরকালের জন্য দূরে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।’
এএফপি, আল-আরাবিয়া অবলম্বনে

ফেসবুক ব্যাবহার করছো মামু মাগার ফেসবুকের অচেনা ভবন দেখনাই, যেখানে তুমার আমার 'লাইক' রেকর্ড হয়


ফেসবুক ব্যবহার করেন নিশ্চয়ই? আপনার প্রতিটি লাইক এবং পোস্ট ফেসবুক রেকর্ড করে রাখে। এ কথা সবাই জানেন। কিন্তু যে ওয়্যার হাউজটিতে আপনার লাইক এবং পোস্ট রেকর্ড হচ্ছে তার কথা অধিকাংশই
জানেন না। সুইডেনের উত্তরে আর্কটিক সার্কেল থেকে ৭০ মাইল দূরেই রয়েছে সেই গোপন ভবনটি।  লুলিয়া নামের খনি সমৃদ্ধ শহরে রয়েছে লাইক আর পোস্ট রেকর্ডের স্থান। শীতে এখানে তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। সবার আড়ালে থাকা ওয়্যারহাউজটিকে ফেসবুক ডেটা সেন্টার বলে ডাকে। এখানে হাজার হাজার সার্ভারে সংরক্ষিত আছে বিলিয় বিলিয়ন বাইট তথ্য। এই হাউজটি ইউরোপে ফেসবুকের মেরুদণ্ড বলে পরিচিত। নরডিক অঞ্চলে ফেসবুকের বিস্ফোরণ সামাল দিতেই পরবর্থী তিন বছরের জন্যে কোল্ড স্টোরেজের পেছনে ৩.৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে ফেসবুক। আইসল্যান্ডে ন্যাটোর পুরনো কিফ্লাভিক বেজ এলাকায় এই ওয়্যারহাউজটি অবস্থিত। এখানকার নিরাপত্তব্যবস্থা নিশ্চিদ্র। নিরাপত্তা কাজে একটা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। এ ভবনের করিডগুলো ধাতব। দরজা দেখলে মনে হবে এগুলো বিস্ফোরণ প্রতিরোধী। ভেতরে ৫০০টি বিশাল আকৃতির পাখা রয়েছে। এরা ভেতরে ঠাণ্ডা বাতাস বাইরে বের করে দেয়। গোটা ভবনের দেখাশোনা করেন ১৫০ জন সুইডিশ কর্মী। ৮৪ একর জমির ওপর অবস্থিত ঘেরা এলাকায় মাঝে মধ্যেই মানুষের অনুপ্রবেশ ঘটে। তবে বাজে পরিস্থিতির শিকার হয় না। অতি উৎসুক মানুষ চাইল মাথা গলিয়ে একটু দেখে নেন। ফেসবুকের অচেনা ভবন, যেখানে আপনার 'লাইক' রেকর্ড হয় এই ভবনে যে পরিমাণ ইলেট্রনিক ডেটা জমা হয় তা বিস্ময়কর। প্রতিদিন ৩৫০ মিলিয়ন ছবি, ৪.৫ বিলিয়ন লাইক এবং ১০ বিলিয়ন মেসেজ রেকর্ড হয় এখানে। মোট ডেটার পরিমাণ প্রতি ১৮ মাসে দ্বিগুন হয়ে চলেছে। অদ্ভুত হলেও সত্য, সেখানকার স্থানীয় সরকারব্যবস্থা খোলামেলাভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভবনটি দেখাশোনার অনুমতি দিয়েছে ফেসবুককে। কিছুদিন আগে সুইডেনের রানি এলাকাটি পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে ফেসবুকের এসব কর্মকাণ্ড বেশ খুশি মনে মেনে নিয়েছেন তিনি। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট

১১ সেপ্টেম্বর ক্রেন দুর্ঘটনার পর এবার মক্কার হোটেলে আগুন: ১০০০ হজযাত্রীকে উদ্ধার, আহত কয়েক শত!


সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে আগুন লাগার ঘটনায় অন্তত ২ জন আহত হয়েছেন এবং প্রায় এক হাজার হজযাত্রীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

হোটেলটিতে এশিয় হজযাত্রীরা অবস্থান করছিলেন।
সৌদি বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, আজকে খুব ভোরের দিকে আগুন লাগার এই ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার কারণ ও আহতদের জাতীয়তা সম্পর্কে কিছুই জানায়নি সংস্থাটি।
গত ১১ সেপ্টেম্বর মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারামে প্রচণ্ড তুফানে একটি ক্রেন পড়ে যাওয়ার ঘটনায় ১০০ জনেরও বেশি হজযাত্রী নিহত ও কয়েক শত হজ যাত্রী আহত হয়। বিনলাদেন নির্মাণ কোম্পানি ওই ঘটনার জন্য অংশত দায়ী ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

sony xperia z5 premium : স্পেসিফিকেশনেই অস্থির ভক্তরা চাইলে আপনিও পেতে পারেন একেবারেই ফ্রি



সনির ফ্ল্যাগশিপ এক্সপেরিয়া জেড সিরিজের মুকুট হয়ে আসছে জেড৫ প্রিমিয়াম। আশা করা হচ্ছে, এ বছরের নভেম্বরেই স্মার্টফোনটি বাজারে আসবে। এর স্পেসিফিকেশন দেখে ইতিমধ্যে দারুণ আলোড়িত ভক্তরা।
এক্সপেরিয়া জেড৫ প্রিমিয়ামে আছে ৫.৫ ইঞ্চির এলসিডি আইপিএস ডিসপ্লে। রেজুলেশন ২১৬০x৩৮৪০ পিক্সেল। এর পিক্সেল ডেনসিটি দেখার মতো, ৮০৬ পিপিআই। একে নিরাপত্তা দেবে স্ক্র্যাচপ্রুফ গ্লাস। এর দেহ অলিওফোবিক কোটিংয়ে মোড়া থাকবে।

কোয়ালকম এমএসএম৮৯৯৪ স্ন্যাপড্রাগন ৮১০ প্রসেসর থাকছে। অভ্যন্তরীন মেমোরি ৩২ এবং র‍্যাম থাকছে ৩ জিবি। মাইক্রোএসডি কার্ডস্লটের মাধ্যমে ২০০ জিবি পর্যন্ত মেমোরি বাড়িয়ে নেওয়া যাবে।

পেছনের ক্যামেরাটি হবে ২৩ মেগাপিক্সেল, যাতে থাকছে লেড ফ্ল্যাশ। এ ক্যামেরার মাধ্যমে প্যানারোমা ২১৬০@৩০এফপিএস এইচডিআর ভিডিও করা যাবে। সামনের ক্যামেরাটি ৫.১ মেগাপিক্সেল। এর দ্বারাও ১০৮০পি ভিডিও করা সম্ভব।

নন-রিমোভাল লি-আয়ন ব্যাটারিটি দারুণ শক্তিশালী, ৩৪৩০ এমএএইচ। এর দাম সময়মতো প্রকাশ করা হবে বলে জানায় সনি।

ফ্ল্যাগশিপ ফোনটির স্পেসিফিকেশন দেখে রীতিমতো মুগ্ধ বিশেষজ্ঞরা। এটা বাজারে আসলেই বাকিটুকু বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা। সূত্র : ইন্টারনেট, জিএসএম এরিনা

এতটা ভয়ানক! এ যেন sony 8-এর crime patrol কেও হার মানায় দেয়!

জুয়েনা খাতুন। পেশায় পোশাককর্মী। এ বছরের ২৫ জুন রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের একটি নর্দমা থেকে তার লাশ উদ্ধার করল পুলিশ। লাশটি পরিচয়হীন। অজ্ঞাত লাশ হিসেবে তা পাঠানো হলো
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। পরে একজন সেনাসদস্য দাবি করলেন, ওই লাশ তার স্ত্রী সাবিনা আক্তারের। একজন পোশাককর্মী আবু সাঈদের দাবি লাশটি তার স্ত্রী জুয়েনার। আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ। অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশের পরিচয় নিশ্চিত হয়। শেষ পর্যন্ত সেনাসদস্য নয়, লাশটি দেওয়া হয় জুয়েনার স্বামী আবু সাঈদকে।
লাশের পরিচয় সুরাহার পর ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে মনোযোগী হয় পুলিশ। তারা তদন্তে নামে কেন, কীভাবে, কারা জুয়েনাকে হত্যা করে উত্তরার আগা খান স্কুলের সামনের নর্দমায় মরদেহ ফেলে রেখেছিল।
এ রহস্য উদ্ঘাটন করতে গিয়ে গত আড়াই মাসে যে তথ্য বেরিয়ে এলো, তা যেন ভারতীয় চ্যানেল সনি টিভির অপরাধবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘ক্রাইম প্যাট্রোল’ কেউ হার মানায়।
পুলিশের প্রথম ক্লু আগা খান স্কুলের সিসিটিভির ফুটেজ। তার সূত্র ধরেই বেরিয়ে এলো জুয়েনা হত্যার মূল রহস্য; কেন দক্ষিণখানের বাবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এই তরুণী টঙ্গীর চেরাগ আলীতে স্বামীর কাছে পৌঁছতে পারলেন না। স্বামীর অনুরোধে তুমুল বৃষ্টির মধ্যে বাসা থেকে বের হওয়ার পর কী ঘটেছিল তার ভাগ্যে? কেন তাকে নর্দমায় লাশ হয়ে পড়ে থাকতে হলো? সিসিটিভির সূত্র ধরেই অবশেষে মিলল জুয়েনা হত্যার সব রহস্য। এ জন্য অনেক কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়েছে পুলিশকে। ‘খুনি’র সঙ্গে পুলিশের এক নারী সদস্যকে দিনের পর দিন করতে হয়েছে ‘প্রেমের’ অভিনয়। তার প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে আটক হলো জুয়েনার ঘাতক বিহারি যুবক রাজ্জাক।
জুয়েনার স্বজন ও পুলিশ জানায়, বছর দুই আগে দক্ষিণখানের বাসিন্দা জুয়েনার সঙ্গে বিয়ে হয় পোশাক কর্মী আবু সাঈদের। সংসারে সুখের কমতি ছিল না। স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতেন টঙ্গীর চেরাগ আলীতে। গত ২৫ জুন স্বামীকে জানিয়ে দক্ষিণখানে বাবার বাসায় যান জুয়েনা। তার আগে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ডাক্তারও দেখান। বাবার বাসায় ওই দিন থেকে পরদিন চেরাগ আলীতে ফেরার পরিকল্পনা করেন। বেলা ৩টার দিকে জুয়েনার স্বামী সাঈদ তাকে ফোন করে চেরাগ আলীতে আসতে বলেন। বিকেল ৪টায় বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকেই জুয়েনার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে উত্তরা-পূর্ব থানার পুলিশ খবর পায়, ৪ নম্বর সেক্টরের নর্দমার ভেতরে এক তরুণীর লাশ পড়ে আছে। ‘অজ্ঞাত’ হিসেবে ওই লাশ সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। শরীরে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে জুয়েনার বুকের দু’পাশে দুটি সামান্য ছিদ্রের মত দাগ ছিল।
প্রথমে এক সেনা সদস্য জুয়েনাকে তার স্ত্রী দাবি করে লাশ গ্রামের বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুরের উদ্দেশে নিয়ে যান। পরে পোশাক কর্মী সাঈদ থানায় গিয়ে ছবি দেখে দাবি করেন এই লাশ তার স্ত্রীর। তার জামা মাসখানেক আগে কিনেছেন সাঈদ। পরে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশের পরিচয় নিশ্চিত হয়।
উত্তরা-পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর মিয়া বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ ধরে তদন্তের মাধ্যমে নানা কৌশলে জুয়েনা হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। রাজ্জাককে আটকের মধ্য দিয়ে সবকিছু খোলাসা হলো।
এদিকে খুনিদের শনাক্তে ঘটনার কয়েক দিন পর আগা খান স্কুলের সামনের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ দেখতে পায়, সাদা রঙের টয়োটা প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-৩৫-৩০৫৩) প্রথমে স্কুলের সামনে গিয়ে অন্তত ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে। দ্বিতীয় দফায় আবার প্রাইভেটকারটি একই এলাকায় গিয়ে আরও ৪-৫ মিনিট অবস্থানের পর চলে যায়। তৃতীয় দফায় প্রাইভেটকারটির চালককে গাড়িটির ভেতর থেকে এক তরুণীকে তুমুল বৃষ্টির মধ্যে টেনে নামিয়ে নর্দমায় ফেলতে দেখা যায়। বৃষ্টির কারণে প্রাইভেটকারের নাম্বারপ্লেটটি অস্পষ্ট দেখায়। পরে গাড়িতে সাঁটানো বিআরটিএর স্টিকারের সূত্র ধরে পুলিশ নিশ্চিত হয়, প্রাইভেটকারটি উত্তরার কমফোর্ট আবাসিক হোটেলের। পুলিশ ওই হোটেল থেকে গাড়ির চালক রাজ্জাকের ব্যাপারে তথ্য ও তার মোবাইল নম্বর নেয়।
পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার মাসতিনেক আগে রাজ্জাক ওই হোটেলে চাকরি নিয়েছে। তবে কয়েক দিন ধরে সে হোটেলে আসছে না। পরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ জানতে পারে, রাজ্জাক পল্লবী এলাকায় অবস্থান করছে। তাকে গ্রেফতারে অধিকতর সতর্কতা হিসেবে পুলিশ পল্লবীতে অভিযান না চালিয়ে পুলিশের এক নারী কনস্টেবলের মাধ্যমে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। দিনের পর দিন ওই কনস্টেবল রাজ্জাকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। গত রোববার ‘প্রেমিক-প্রেমিকা’ রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় দেখা করার দিন ধার্য করেন। সেখানে হাজির হলে ওতপেতে থাকা পুলিশ রাজ্জাককে আটক করে।
জানা গেছে, ঋতু নামে এক বান্ধবীর মাধ্যমে জুয়েনার সঙ্গে রাজ্জাকের পরিচয়। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ঘটনার দিন জুয়েনাকে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে পার্কের কাছে গাড়িতে তোলার পর রাজ্জাক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তাতে বাধা দিয়ে চিৎকার শুরু করলে গাড়িতে থাকা স্ক্রু জাতীয় সরঞ্জাম জুয়েনার বুকের দু’পাশে ঢুকিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
রাজ্জাকের দাবি, ঘটনার সময় গাড়িতে তার এক বন্ধুও ছিল। তবে প্রযুক্তিগত তদন্ত আর ওই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গাড়িতে তার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আটকের পর রাজ্জাক প্রথমে নিজেকে অবিবাহিত দাবি করলে পরে থানায় এক তরুণী এসে দাবি করেন তিনি রাজ্জাকের স্ত্রী। তাদের ঘরে সন্তানও রয়েছে। এর পর রাজ্জাক স্বীকার করে বিয়ে না করলেও ওই তরুণীর সঙ্গে ‘স্বামী-স্ত্রী’র মতো বসবাস করে আসছিল।

বিষাল আকরের তিমির পিঠে ছোট্ট শিল এর বিশ্রাম নেওয়ার বিড়াল প্রজাতির ছবি

জলের স্তন্যপায়ী প্রাণি তিমি ও শিল। শিকারী মাছ হলেও খুব খেলাপ্রিয় প্রাণি এগুলো। শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রয়োজনে সাগরের নোনা জলে সারাক্ষণ লাফালাফি করে তিমি। শিল মাছকেও জলের উপরিভাগে লাফালাফি করতে দেখা যায়। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস উপকূলে তিমির পিঠে শিল মাছকে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। 



এই বিরল দৃশ্যটি ক্যামেরায় ধারণ করেছেন অসি ফটোগ্রাফার রবিন ম্যালকল্ম

মাওবাদীদের বিরুদ্ধে ভারতে কোবরা বাহিনী


কমান্ডো ব্যাটেলিয়ন ফর রিজলিউট অ্যাকশন, সংক্ষেপে কোবরা। ভারতে মাওবাদী আন্দোলন দমনে এই বাহিনী গঠন করা হয়েছে। কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এটি একটি আধা সামরিক বাহিনী। এই বাহিনীর সব কমান্ডোই গেরিলা যুদ্ধে চৌখস। ছোট ছোট মাওবাদী অ্যাকশন স্কোয়াড বা ‘দলম’কে গভীর জঙ্গলে ঢুকে খতম করার জন্য এই বাহিনীকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে । তাই দিনে হোক বা রাতে, জঙ্গলের পথঘাট চিনে বের করতে এই কোবরা বাহিনীর কোনো অসুবিধা হয় না। বছরে ১৩০০ কোটি
টাকা এই বাহিনীর জন্য বরাদ্দ। বাহিনীর মূল মন্ত্র হলো : জয়, নচেৎ মৃত্যু।
বিশেষ সূত্রের খবর, ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর হাতে এই মুহূর্তে ১০টি কোবরা ইউনিট রয়েছে। কমান্ডো সংখ্যা কমপক্ষে দশ হাজার। ২০০৯ থেকে শুরু করে ২০১১ পর্যন্ত এই বাহিনী আধা-সেনার প্রতিষ্ঠা দিবসের প্যারেডে সেরা বাহিনীর পুরস্কার জিতে এসেছে।

২০০৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মাওবাদী দমনের জন্য কোবরা বাহিনী গঠনের সবুজ সংকেত দেয়। লুকানো বিস্ফোরকের খোঁজ, জঙ্গলে দিনের পর দিন না খেয়েও বেঁচে থাকা, খালি হাতে শত্রু হত্যা, জিপিএস-ট্র্যাকিংয়ে ধরা না-পড়ার সহজাত দক্ষতা অর্জন করতে হয় কোবরা কমান্ডোদের। আজ পর্যন্ত এই কোবরা কমান্ডোরা হাজারের বেশি মাওবাদী জঙ্গিকে গ্রেফতার বা হত্যা করেছে। ২০১১ সালে কোবরা কমান্ডো আশিসকুমার তিওয়ারি শৌর্যচক্রে সম্মানিত হন। তবে কোবরা গঠনে কেন্দ্র উৎসাহিত হয়েছিল চন্দ্রবাবু নাইডুর আমলে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের মাওবাদী দমনের সাফল্য দেখে৷ দেশের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চন্দ্রবাবু নাইডুই প্রথম মাওবাদী সন্ত্রাস দমনের জন্য বিশেষ পুলিশ বাহিনী গড়ার গ্রিন সিগন্যাল দেন৷অতঃপর অন্ধ্রের পুলিশ কর্তারা একটি বাহিনী গড়েন৷ নাম দেয়া হয় ‘গ্রে হাউন্ড ফোর্স’৷ এই বাহিনী মাওবাদী মোকাবিলায় অসাধারণ সাফল্যও পায়৷ওই রাজ্যের মাওবাদী উপদ্রুত নাল্লামাল্লার জঙ্গলে কুম্বিং অপারেশন চালিয়ে ‘গ্রে হাউন্ড’ দেশজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছিল৷
যেকোনো কমান্ডো বাহিনীর মতো গভীর ঘন জঙ্গলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উপযুক্ত খাদ্য ছাড়াও টিকে থাকতে এই বাহিনী বিশেষভাবে সক্ষম। এক-একজন কোবরা অন্তত ১০ রকমের অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র অবলীলায় চালাতে পারেন।

জানতে চান, এক-একজন কোবরা কমান্ডো কী কী অস্ত্র ব্যবহারে পারঙ্গম? নিচে তার সম্পূর্ণ তালিকা দেয়া হলো :

১. ইনস্যাস রাইফেল
২. যে কোনও টাইপের কালাশনিকভ
৩. এক্স-৯৫
৪. ব্রাউনিং হাইপাওয়ার
৫. গ্লক রিভলভার
৬. হেকলার অ্যান্ড কোচ এমপি ৫-এর মতো সাবমেশিনগান
৭. কার্ল গুস্তাভ রিকয়েললেস রাইফেল
৮. ড্রাগনাভ এসভিডি
৯. মাউজার এসপি ৬৬
১০. হেকলার অ্যান্ড কোচ এমএসজি ৯০ স্নাইপার গান

কোবরার জন্য সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র বানায় ইন্ডিয়ান অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে।
কোথায় ট্রেনিং হয় কোবরাদের?
ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য গঠিত ‘কাউন্টার-ইনসারজেন্সি অ্যান্ড জাঙ্গল ওয়রফেয়ার স্কুলে’। এই প্রশিক্ষণ শিবিরটি রয়েছে মিজোরামের বৈরাংতিতে। বাইরের বিভিন্ন দেশ, এমনকি আমেরিকা থেকেও সেনা কমান্ডোদের পাঠানো হয় এই শিবিরে, জাঙ্গল ওয়রফেয়ার শিখতে৷ আরেকটি শিবির রয়েছে অসমের শিলচরে। সেটি আধাসেনার জন্য গঠিত জঙ্গি দমন প্রশিক্ষণের স্কুল। এখানে শেখানো হয় আর্ট অফ ‘ক্যামোফ্লেজ’। অর্থাৎ কী করে শত্রুর চোখের সামনে থেকেও ‘অদৃশ্য’ থাকতে হয়। পাশাপাশি শেখানো হয় বিমান থেকে প্যারাস্যুটে ঝাঁপিয়ে পড়াসহ দীর্ঘমেয়াদি নজরদারির কৌশল। সেনা শিবিরে অন্তত ছমাস কোবরা কমান্ডোদের প্রশিক্ষণ নিতে হয়।
২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে প্রথম অংশ নিতে দেখা যায় এলিট কোবরা কমান্ডোদের। সে বছর ভারতের বিশেষ অতিথি হয়ে এসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ১৪৭ জন কোবরা কমান্ডো সেদিন মার্চ পাস্টে অংশ নেন। কোবরা কমান্ডোদের পোশাক হালকা ধূসর রঙের। বুকে সিআরপিএফের লোগো। মার পাত (মেরিন প্যাটার্ন) ভঙ্গিতে প্যারেড করেছিলেন এলিট কমান্ডোরা। কোবরা বাহিনীর হেলমেট অনেকটা মার্কিন সেনার পার্সোনেল আর্মার সিস্টেম-গ্রাউন্ড ট্রুপসের মতো। আফগানিস্তানে যুদ্ধের জন্য এই বাহিনী পাঠিয়েছিল আমেরিকা।
বড় সাফল্য : ২০০৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দান্তেওয়াড়ায় অপারেশন চালিয়ে অন্তত ৪০ জন মাওবাদী হত্যা।
ঝাড়খণ্ডের সিংভূমে কোবরার আটটি টিমের মোট ২০৩ জন কমান্ডো ১১-১৫ জুন পর্যন্ত চালিয়ে সব কটি মাও ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়।
২০১০ সালের ১৫-১৬ জুন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় লালগড় অঞ্চলের দুলি জঙ্গলে অপারেশন চালিয়ে আট মাওবাদীকে নিধন করার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে এই বাহিনী।
বিশেষ দক্ষতা : সন্ত্রাস মোকাবিলা, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ভিভিআইপিদের সুরক্ষাদান, আধা সামরিক আইন বলবৎ, দাঙ্গা দমন, স্পেশাল ওয়েপন অপারেশন।
মূল দফতর : ওল্ড সেক্রেটারিয়েট, সিভিল লাইন্স, নয়াদিল্লি
অধুনা ডাইরেক্টর জেনারেল : আইপিএস দিলীপ ত্রিবেদী।