জুয়েনা খাতুন। পেশায় পোশাককর্মী। এ বছরের ২৫ জুন রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের একটি নর্দমা থেকে তার লাশ উদ্ধার করল পুলিশ। লাশটি পরিচয়হীন। অজ্ঞাত লাশ হিসেবে তা পাঠানো হলো
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। পরে একজন সেনাসদস্য দাবি করলেন, ওই লাশ তার স্ত্রী সাবিনা আক্তারের। একজন পোশাককর্মী আবু সাঈদের দাবি লাশটি তার স্ত্রী জুয়েনার। আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ। অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশের পরিচয় নিশ্চিত হয়। শেষ পর্যন্ত সেনাসদস্য নয়, লাশটি দেওয়া হয় জুয়েনার স্বামী আবু সাঈদকে।
লাশের পরিচয় সুরাহার পর ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে মনোযোগী হয় পুলিশ। তারা তদন্তে নামে কেন, কীভাবে, কারা জুয়েনাকে হত্যা করে উত্তরার আগা খান স্কুলের সামনের নর্দমায় মরদেহ ফেলে রেখেছিল।
এ রহস্য উদ্ঘাটন করতে গিয়ে গত আড়াই মাসে যে তথ্য বেরিয়ে এলো, তা যেন ভারতীয় চ্যানেল সনি টিভির অপরাধবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘ক্রাইম প্যাট্রোল’ কেউ হার মানায়।
পুলিশের প্রথম ক্লু আগা খান স্কুলের সিসিটিভির ফুটেজ। তার সূত্র ধরেই বেরিয়ে এলো জুয়েনা হত্যার মূল রহস্য; কেন দক্ষিণখানের বাবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এই তরুণী টঙ্গীর চেরাগ আলীতে স্বামীর কাছে পৌঁছতে পারলেন না। স্বামীর অনুরোধে তুমুল বৃষ্টির মধ্যে বাসা থেকে বের হওয়ার পর কী ঘটেছিল তার ভাগ্যে? কেন তাকে নর্দমায় লাশ হয়ে পড়ে থাকতে হলো? সিসিটিভির সূত্র ধরেই অবশেষে মিলল জুয়েনা হত্যার সব রহস্য। এ জন্য অনেক কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়েছে পুলিশকে। ‘খুনি’র সঙ্গে পুলিশের এক নারী সদস্যকে দিনের পর দিন করতে হয়েছে ‘প্রেমের’ অভিনয়। তার প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে আটক হলো জুয়েনার ঘাতক বিহারি যুবক রাজ্জাক।
জুয়েনার স্বজন ও পুলিশ জানায়, বছর দুই আগে দক্ষিণখানের বাসিন্দা জুয়েনার সঙ্গে বিয়ে হয় পোশাক কর্মী আবু সাঈদের। সংসারে সুখের কমতি ছিল না। স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতেন টঙ্গীর চেরাগ আলীতে। গত ২৫ জুন স্বামীকে জানিয়ে দক্ষিণখানে বাবার বাসায় যান জুয়েনা। তার আগে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ডাক্তারও দেখান। বাবার বাসায় ওই দিন থেকে পরদিন চেরাগ আলীতে ফেরার পরিকল্পনা করেন। বেলা ৩টার দিকে জুয়েনার স্বামী সাঈদ তাকে ফোন করে চেরাগ আলীতে আসতে বলেন। বিকেল ৪টায় বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকেই জুয়েনার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে উত্তরা-পূর্ব থানার পুলিশ খবর পায়, ৪ নম্বর সেক্টরের নর্দমার ভেতরে এক তরুণীর লাশ পড়ে আছে। ‘অজ্ঞাত’ হিসেবে ওই লাশ সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। শরীরে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে জুয়েনার বুকের দু’পাশে দুটি সামান্য ছিদ্রের মত দাগ ছিল।
প্রথমে এক সেনা সদস্য জুয়েনাকে তার স্ত্রী দাবি করে লাশ গ্রামের বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুরের উদ্দেশে নিয়ে যান। পরে পোশাক কর্মী সাঈদ থানায় গিয়ে ছবি দেখে দাবি করেন এই লাশ তার স্ত্রীর। তার জামা মাসখানেক আগে কিনেছেন সাঈদ। পরে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশের পরিচয় নিশ্চিত হয়।
উত্তরা-পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর মিয়া বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ ধরে তদন্তের মাধ্যমে নানা কৌশলে জুয়েনা হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। রাজ্জাককে আটকের মধ্য দিয়ে সবকিছু খোলাসা হলো।
এদিকে খুনিদের শনাক্তে ঘটনার কয়েক দিন পর আগা খান স্কুলের সামনের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ দেখতে পায়, সাদা রঙের টয়োটা প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-৩৫-৩০৫৩) প্রথমে স্কুলের সামনে গিয়ে অন্তত ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে। দ্বিতীয় দফায় আবার প্রাইভেটকারটি একই এলাকায় গিয়ে আরও ৪-৫ মিনিট অবস্থানের পর চলে যায়। তৃতীয় দফায় প্রাইভেটকারটির চালককে গাড়িটির ভেতর থেকে এক তরুণীকে তুমুল বৃষ্টির মধ্যে টেনে নামিয়ে নর্দমায় ফেলতে দেখা যায়। বৃষ্টির কারণে প্রাইভেটকারের নাম্বারপ্লেটটি অস্পষ্ট দেখায়। পরে গাড়িতে সাঁটানো বিআরটিএর স্টিকারের সূত্র ধরে পুলিশ নিশ্চিত হয়, প্রাইভেটকারটি উত্তরার কমফোর্ট আবাসিক হোটেলের। পুলিশ ওই হোটেল থেকে গাড়ির চালক রাজ্জাকের ব্যাপারে তথ্য ও তার মোবাইল নম্বর নেয়।
পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার মাসতিনেক আগে রাজ্জাক ওই হোটেলে চাকরি নিয়েছে। তবে কয়েক দিন ধরে সে হোটেলে আসছে না। পরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ জানতে পারে, রাজ্জাক পল্লবী এলাকায় অবস্থান করছে। তাকে গ্রেফতারে অধিকতর সতর্কতা হিসেবে পুলিশ পল্লবীতে অভিযান না চালিয়ে পুলিশের এক নারী কনস্টেবলের মাধ্যমে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। দিনের পর দিন ওই কনস্টেবল রাজ্জাকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। গত রোববার ‘প্রেমিক-প্রেমিকা’ রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় দেখা করার দিন ধার্য করেন। সেখানে হাজির হলে ওতপেতে থাকা পুলিশ রাজ্জাককে আটক করে।
জানা গেছে, ঋতু নামে এক বান্ধবীর মাধ্যমে জুয়েনার সঙ্গে রাজ্জাকের পরিচয়। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ঘটনার দিন জুয়েনাকে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে পার্কের কাছে গাড়িতে তোলার পর রাজ্জাক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তাতে বাধা দিয়ে চিৎকার শুরু করলে গাড়িতে থাকা স্ক্রু জাতীয় সরঞ্জাম জুয়েনার বুকের দু’পাশে ঢুকিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
রাজ্জাকের দাবি, ঘটনার সময় গাড়িতে তার এক বন্ধুও ছিল। তবে প্রযুক্তিগত তদন্ত আর ওই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গাড়িতে তার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আটকের পর রাজ্জাক প্রথমে নিজেকে অবিবাহিত দাবি করলে পরে থানায় এক তরুণী এসে দাবি করেন তিনি রাজ্জাকের স্ত্রী। তাদের ঘরে সন্তানও রয়েছে। এর পর রাজ্জাক স্বীকার করে বিয়ে না করলেও ওই তরুণীর সঙ্গে ‘স্বামী-স্ত্রী’র মতো বসবাস করে আসছিল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। পরে একজন সেনাসদস্য দাবি করলেন, ওই লাশ তার স্ত্রী সাবিনা আক্তারের। একজন পোশাককর্মী আবু সাঈদের দাবি লাশটি তার স্ত্রী জুয়েনার। আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ। অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশের পরিচয় নিশ্চিত হয়। শেষ পর্যন্ত সেনাসদস্য নয়, লাশটি দেওয়া হয় জুয়েনার স্বামী আবু সাঈদকে।
লাশের পরিচয় সুরাহার পর ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে মনোযোগী হয় পুলিশ। তারা তদন্তে নামে কেন, কীভাবে, কারা জুয়েনাকে হত্যা করে উত্তরার আগা খান স্কুলের সামনের নর্দমায় মরদেহ ফেলে রেখেছিল।
এ রহস্য উদ্ঘাটন করতে গিয়ে গত আড়াই মাসে যে তথ্য বেরিয়ে এলো, তা যেন ভারতীয় চ্যানেল সনি টিভির অপরাধবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘ক্রাইম প্যাট্রোল’ কেউ হার মানায়।
পুলিশের প্রথম ক্লু আগা খান স্কুলের সিসিটিভির ফুটেজ। তার সূত্র ধরেই বেরিয়ে এলো জুয়েনা হত্যার মূল রহস্য; কেন দক্ষিণখানের বাবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এই তরুণী টঙ্গীর চেরাগ আলীতে স্বামীর কাছে পৌঁছতে পারলেন না। স্বামীর অনুরোধে তুমুল বৃষ্টির মধ্যে বাসা থেকে বের হওয়ার পর কী ঘটেছিল তার ভাগ্যে? কেন তাকে নর্দমায় লাশ হয়ে পড়ে থাকতে হলো? সিসিটিভির সূত্র ধরেই অবশেষে মিলল জুয়েনা হত্যার সব রহস্য। এ জন্য অনেক কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়েছে পুলিশকে। ‘খুনি’র সঙ্গে পুলিশের এক নারী সদস্যকে দিনের পর দিন করতে হয়েছে ‘প্রেমের’ অভিনয়। তার প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে আটক হলো জুয়েনার ঘাতক বিহারি যুবক রাজ্জাক।
জুয়েনার স্বজন ও পুলিশ জানায়, বছর দুই আগে দক্ষিণখানের বাসিন্দা জুয়েনার সঙ্গে বিয়ে হয় পোশাক কর্মী আবু সাঈদের। সংসারে সুখের কমতি ছিল না। স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতেন টঙ্গীর চেরাগ আলীতে। গত ২৫ জুন স্বামীকে জানিয়ে দক্ষিণখানে বাবার বাসায় যান জুয়েনা। তার আগে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ডাক্তারও দেখান। বাবার বাসায় ওই দিন থেকে পরদিন চেরাগ আলীতে ফেরার পরিকল্পনা করেন। বেলা ৩টার দিকে জুয়েনার স্বামী সাঈদ তাকে ফোন করে চেরাগ আলীতে আসতে বলেন। বিকেল ৪টায় বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকেই জুয়েনার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে উত্তরা-পূর্ব থানার পুলিশ খবর পায়, ৪ নম্বর সেক্টরের নর্দমার ভেতরে এক তরুণীর লাশ পড়ে আছে। ‘অজ্ঞাত’ হিসেবে ওই লাশ সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। শরীরে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে জুয়েনার বুকের দু’পাশে দুটি সামান্য ছিদ্রের মত দাগ ছিল।
প্রথমে এক সেনা সদস্য জুয়েনাকে তার স্ত্রী দাবি করে লাশ গ্রামের বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুরের উদ্দেশে নিয়ে যান। পরে পোশাক কর্মী সাঈদ থানায় গিয়ে ছবি দেখে দাবি করেন এই লাশ তার স্ত্রীর। তার জামা মাসখানেক আগে কিনেছেন সাঈদ। পরে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশের পরিচয় নিশ্চিত হয়।
উত্তরা-পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর মিয়া বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ ধরে তদন্তের মাধ্যমে নানা কৌশলে জুয়েনা হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। রাজ্জাককে আটকের মধ্য দিয়ে সবকিছু খোলাসা হলো।
এদিকে খুনিদের শনাক্তে ঘটনার কয়েক দিন পর আগা খান স্কুলের সামনের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ দেখতে পায়, সাদা রঙের টয়োটা প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-৩৫-৩০৫৩) প্রথমে স্কুলের সামনে গিয়ে অন্তত ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে। দ্বিতীয় দফায় আবার প্রাইভেটকারটি একই এলাকায় গিয়ে আরও ৪-৫ মিনিট অবস্থানের পর চলে যায়। তৃতীয় দফায় প্রাইভেটকারটির চালককে গাড়িটির ভেতর থেকে এক তরুণীকে তুমুল বৃষ্টির মধ্যে টেনে নামিয়ে নর্দমায় ফেলতে দেখা যায়। বৃষ্টির কারণে প্রাইভেটকারের নাম্বারপ্লেটটি অস্পষ্ট দেখায়। পরে গাড়িতে সাঁটানো বিআরটিএর স্টিকারের সূত্র ধরে পুলিশ নিশ্চিত হয়, প্রাইভেটকারটি উত্তরার কমফোর্ট আবাসিক হোটেলের। পুলিশ ওই হোটেল থেকে গাড়ির চালক রাজ্জাকের ব্যাপারে তথ্য ও তার মোবাইল নম্বর নেয়।
পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার মাসতিনেক আগে রাজ্জাক ওই হোটেলে চাকরি নিয়েছে। তবে কয়েক দিন ধরে সে হোটেলে আসছে না। পরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ জানতে পারে, রাজ্জাক পল্লবী এলাকায় অবস্থান করছে। তাকে গ্রেফতারে অধিকতর সতর্কতা হিসেবে পুলিশ পল্লবীতে অভিযান না চালিয়ে পুলিশের এক নারী কনস্টেবলের মাধ্যমে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। দিনের পর দিন ওই কনস্টেবল রাজ্জাকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। গত রোববার ‘প্রেমিক-প্রেমিকা’ রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় দেখা করার দিন ধার্য করেন। সেখানে হাজির হলে ওতপেতে থাকা পুলিশ রাজ্জাককে আটক করে।
জানা গেছে, ঋতু নামে এক বান্ধবীর মাধ্যমে জুয়েনার সঙ্গে রাজ্জাকের পরিচয়। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ঘটনার দিন জুয়েনাকে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে পার্কের কাছে গাড়িতে তোলার পর রাজ্জাক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তাতে বাধা দিয়ে চিৎকার শুরু করলে গাড়িতে থাকা স্ক্রু জাতীয় সরঞ্জাম জুয়েনার বুকের দু’পাশে ঢুকিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
রাজ্জাকের দাবি, ঘটনার সময় গাড়িতে তার এক বন্ধুও ছিল। তবে প্রযুক্তিগত তদন্ত আর ওই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গাড়িতে তার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আটকের পর রাজ্জাক প্রথমে নিজেকে অবিবাহিত দাবি করলে পরে থানায় এক তরুণী এসে দাবি করেন তিনি রাজ্জাকের স্ত্রী। তাদের ঘরে সন্তানও রয়েছে। এর পর রাজ্জাক স্বীকার করে বিয়ে না করলেও ওই তরুণীর সঙ্গে ‘স্বামী-স্ত্রী’র মতো বসবাস করে আসছিল।
No comments:
Post a Comment