**************************************************************************************************************************************************** ****************************************************************************************************************************************************
Showing posts with label দৈনীক গুজব. Show all posts
Showing posts with label দৈনীক গুজব. Show all posts

নিজে সতর্ক হোন এবং পৃথিবিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুণ!! Be careful to protect the


যেমন ধরুন,
আপনি বাস থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে পা পিচলে রাস্তায় পড়ে গেলেন। পিছন থেকে আরেকটা বাস এসে আপনাকে উপ্ররের টিকিট ধরিয়ে দিয়ে গেল। আপনি উপ্রে চলে
গেলেন। আপনি উপ্রে যাওয়ায় আপনার বন্ধুরা মিলে সেই বাস কোম্পানির বাসগুলো ভাংচুর শুরু
করলো। আগুন ধরালো। এর ফলে বাসের
পেট্রোলের টাংকিতে আগুন ধরে প্রচন্ড
বিস্ফোরন ঘটলো।
এদিকে দেখা গেলো যে
এই বিস্ফোরনের দায় আইএস স্বীকার করে
নিয়েছে। ফলে সারা বিশ্বে খবরটা ছড়িয়ে
পড়লো। ধারনা করা হলো যে বাংলাদেশে আইএস জঙ্গি আছে। আমেরিকা এ নিয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ করলো। রাশিয়া আইএস দমন করার জন্য ইচ্ছা পোষন করলো। রাশিয়া ইচ্ছা পোষন করায় আমেরিকা দেরি না করে সোজা বিনা নোটিশে বোমারু বিমান বাংলাদেশের আকাশে পাঠিয়ে দিলো আইএস দমন করার উদ্দেশ্যে। বিমান থেকে টপাটপ বোমা পড়তে থাকলো এবং ঢাকা শহর তুলাধুনা হয়ে গেল।এদিকে রাশিয়াও বসে নেই। তারাও বোমারু
বিমান পাঠিয়ে দিলো শক্তি প্রদর্শনের জন্য।
একদিন দেখা গেলো, আমেরিকার বিমান ও রাশিয়ার বিমানে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে দুটো বিমানই ধ্বংস হয়ে গেছে। এই খবর হলুদ মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লো পৃথিবির আনাচে কানাচে। আমেরিকা দাবি করলো, রাশিয়া
তাদের উপর হামলা চালিয়েছে আর রাশিয়া দাবি করলো, এই সব আমেরিকার দোষ। বেজে উঠলো যুদ্ধের দামামা। শুরু হয়ে গেল তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ। আমেরিকা রাশিয়াকে পারমানবিক বোমা মারলো, রাশিয়া মারলো আমেরিকাকে। সুযোগ
বুঝে ঝোপের উপর কোপ মারলো ইন্ডিয়া-পাকিস্থান ,এবং ইরান-ইজরাইল ইত্যাদি দেশ গুলোর মধ্যেও পারমানবিক বোমা অাদান প্রদান হল। এক বছরের মধ্যে দেখা গেলো, পুরা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেছে চিরোতরে। সুধুমাত্র আপনার অসতর্কতার কারণে

সুতরাং, বাস থেকে ধীরে সুস্থে নামুন এবং
পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুন।

facebook যদি বাংলাদেশি হতো

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক যদি হতো বাংলাদেশি তাহলে এখানে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া কেমন হতো? কী কী শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট করা যেত?

(প্রিয় টেক) পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক যদি হতো বাংলাদেশি তাহলে এখানে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া কেমন হতো? কী কী শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট করা যেত? এই নিয়ে আজ থেকে চার বছর আগেই ভেবে রেখেছিলেন রম্য লেখক ফিউশন রহমান। ২০১১ সালের ৯ মে দৈনিক প্রথম আলোর 'রস আলো' রম্য ম্যাগাজিনে এ সংক্রান্ত একটি লেখা প্রকাশ হয়েছিল। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট করতে হলে ন্যাশনাল আইডি দরকার হবে বলে সরকার থেকে ঘোষণা আসার পর থেকে অনেকেই ফিউশন রহমানের চার বছর আগে প্রকাশিত লেখাটি ফেসবুকে শেয়ার করছেন। সময়ের প্রয়োজনে তাঁর লেখাটি প্রিয় টেকের পাঠকদের জন্য হুবহু দেওয়া হলো।

ফেসবুকে রেজিস্ট্রেশন করা এখন অনেক সহজ। আগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে গ্রাহককে নানা হয়রানির মুখে পড়তে হতো। বর্তমান নিয়মে ফেসবুকে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য যা যা লাগবে -

    ১. বিটিসিএলের একটি স্থায়ী বৈধ ফোন সংযোগ।
    ২. সর্বশেষ পরিশোধিত ফোন অথবা গ্যাস বিলের সত্যায়িত কপি।
    ৩. চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (ডিজিটাল ছবি গ্রহণযোগ্য নয়)।

শর্তাবলী

    রেজিস্ট্রেশন করার অনধিক ২৩ দিনের মধ্যে সদস্য হতে ইচ্ছুক গ্রাহকের স্থায়ী ঠিকানা বরাবরে ডিমান্ড নোট ইস্যু করা হবে। বিশেষ ফাইবার অপটিক ক্যাবলসহ ইন্টারনেট সংযোগ গ্রাহককেই নিজ খরচে সংগ্রহ করতে হবে।
    জেনে রাখা ভালো, ফেসবুক সেবাটি ১৮ বছরের কম বয়সী কারো ব্যবহারের জন্য নয়। গ্রাহকের বয়স ১৮ বছরের কম হলে ভোটার আইডি কার্ড ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা চেয়ারম্যানের সনদসহ প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র পেশ করতে হবে।
    সরকারের ইতিবাচক কার্যক্রম সংক্রান্ত যে কোন স্ট্যাটাস, নোট এবং অন্যান্য সেবায় আনলিমিটেড ‘লাইক’ প্রদান করা যাবে। তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন একাউন্টের স্ট্যাটাসসহ অন্যান্য সেবায় প্রতি ১০০টি ‘লাইক’-এর বিপরীতে ১০% হারে ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে।
    ভুলবশত বা স্মরণশক্তির অভাবে পাসওয়ার্ড হারানো গেলে ঢাকার মগবাজারস্থ ফেসবুক প্রকল্পের কার্যালয়ে উপ পরিচালক-১ বরাবরে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে।
    গ্রাহকের সঙ্গে ফেসবুক সংক্রান্ত যে কোনো যোগাযোগ শুধুমাত্র ডাকযোগাযোগের মাধ্যমেই সম্পাদিত হবে। ইমেইল বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে যোগাযোগ সম্পূর্ণ অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। এই ধরনের যোগাযোগের দায় গ্রাহককেই বহন করতে হবে।
    লিখিত অনুমতি ছাড়া ফেসবুকের স্ট্যাটাস, ব্যক্তিগত তথ্য, নোট, বন্ধু তালিকাসহ সাইটের কোন অংশের ব্যাকআপ নেওয়া বা ডাউনলোড করা যাবে না। এর অন্যথা ঘটলে তা ফৌজদারি আইনের লঙ্ঘন বলে গণ্য হবে। তবে গ্রাহক চাইলে লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে কিছু অংশের প্রিন্ট নিতে পারবেন।

বিআরটিসি কে কলা খাওয়ায়ে আপনিও চালাতে পারেন Facebook,Whatsapp,Viberr,Line কম্পিউটার এবং মোবাইলে আগের মতই !


অনেক টেনশেন এ আছেন, কারন (বিটিআরসি) এর নির্দেশে অনিদৃষ্ট সময়ের জন্য  বন্দ হয়ে গেল Facebook, Whatsapp, Viberr।পরবর্তি নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই সকল সাইটে এক্সেস করা যাবে না। তাই অনেকেই হয়ত এক্সেস করতে পারছেন না এই সব সাইট গুলায়।

সমস্যা নাই, এর ও সমাধান আছে। আসুন জেনে নেই কিভাবে কম্পিউটারে Facebook এবং মোবাইলে Whatsapp, Viberr, Line চালানো যাবে।
যারা বিচি ইউজার তারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করুনঃ
Firefox – এর জন্য এই Proxy Extension ইন্সটল করে নিন
   


                   Chrome -এর জন্য এই Proxy Extension ইন্সটল করে নিন 






এবার এই Extension টি ON করে দিন নিচের মত করে
[Mozilla Firefox]
 

[Google Chrome]


এটি একটি Proxy Extension। এটির মাধ্যমে যে কোন ব্লক সাইটে এক্সেস করা যাবে। এবার তাহলে পিসি তে Facebook চালান আগের মত।
 
 
 
এবার দেখে নিন কিভাবে মোবাইলে ব্যবহার করবেন Facebook, Viberr, Whatsapp:
প্রথমে Hotspot Shield Free VPN Proxy Apps টি ডাউনলোড করে নিন 


Hola Free VPN Proxy Apps টি ডাউলোড করে নিন
Download হয়ে গেলে Install করে নিন এবং Apps টি Open করে ON করে দিন।
এবার দেখুন আগের মতই Facebook, Whatsapp, Viberr, Line চলছে।
আশা করি এখন থেকে Facebook, Whatsapp, Viberr,Line চালাতে কারও কোন সমস্যা হবে না যদি হয় তাইলে তোর কপাল পোড়া।
আমার ১৪ গুষ্টি সহ ফেসবুক 
পেইজে আছি।

লাশ ব্যবসায়ীর মাগনা লাশ!


প্রতি বুধবার রাত ১০টায় আসে লোকটা। লাশ নিতে। একটা লাশ নিয়ে যায় এবং তাকে দিয়ে যায় নগদ ১ হাজার দিনার। কোনো ঝামেলা করে না। তাদের একটাই শর্ত, লাশটা হতে হবে পুরুষের লাশ এবং সব অঙ্গ সম্পূর্ণ অক্ষত থাকতে হবে।



সে নিজ হাতে দাফন করা লাশগুলো থেকে বেছে বেছে পুরুষ এবং অক্ষত লাশগুলো বিক্রি করে দেয়। প্রতি সপ্তাহে একটা, বুধবার রাত ১০টায়। অনেক বছর ধরে সে গোরস্থানে গোরখোদকের কাজ করছে। সবাই তাকে একজন সাচ্চা ঈমানদার লোক হিসেবেই জানে, খোরখোদে ন্যায্য মজুরির বেশি এক পয়সাও দাবি করে না। কেউ টের পায় না, ভালো অক্ষত লাশগুলো সে কবর দেয় বিশেষ এক কায়দায়। হালকা করে মাটি চাপা দেয়। বুধবার রাতে সেই লাশ তুলতে তার তেমন বেগ পেতে হয় না। অপরিচিত এক লোকের হাতে সেই লাশ তুলে দিয়ে ন্যায্য মজুরির বাইরে আরেকটা চড়া মজুরি জোটে গোরখোদকের।


মাসে মাসে বাড়ছে লাশের দাম। কারণ অক্ষত পুরুষ লাশ সুলভ কিছু নয়। এখন অক্ষত পুরুষ লাশ খুবই দুর্লভ। পুরুষ লাশগুলো অধিকাংশই থাকে হয়তো হাতকাটা, না হয় পা থেঁতলানো, মস্তকহীন বা চোখ উপড়ানো...। তবে বুধবারের জন্য একটা অক্ষত পুরুষ লাশ সে বের করে ফেলে। বুধবার রাতে নির্ধারিত সময়ে লোকটা এসে ঠিক উপস্থিত হয়। লাশ দিয়ে সে তার পাওনা গুণে নেয় অনায়াসে।



লাশগুলোর কী হয়, তারা এগুলো দিয়ে কী করে, এটা তার জানা নেই। জানতেও চায়নি কোনো দিন। আরে ভাই রুহু বাইর হোয়া যাওনের পর মরার কী হইল না হইল তাতে কী আসে যায়?! বছর বছর বাড়ছে গোরখোদকের সম্পদের পরিমাণ। কিছু দিন আগে সে শহরে একটা দালান কিনল। তিন তলা দালান। প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর প্রতি তলা থেকে ভাড়া পাচ্ছে। ১২টা ভাড়া গাড়ি নামিয়েছে। দিনান্তে প্রতি গাড়ির ভাড়া বাবদ পাচ্ছে নয় দিনার। কোনো ঝুটঝামেলা নেই। ড্রাইভারদের সাথে তার ভালো সম্পর্ক। কোনো ঝগড়াঝাঁটি নেই এবং পাড়া প্রতিবেশীদের সন্দেহ নেই যে, গোরখোদক ‘জাইয়াশ আবু রুমানা’ একজন শরিফ, আমানতদার এবং সাচ্চা ঈমানদার মানুষ। কোনো জিন-ইনছান জানতে পারে না তার এই গোপন কারবারের কথা। কারবার শুরু করার চার বছরের মাথায় সে দ্বিতীয় দালানটা কিনল। চার তলার দালান। সামনে সুন্দর বিশাল একটা বাগান। দালানের শিশু রাত-দিন বাগানটায় পড়ে থেকে খেলে, হুড়োহুড়ি করে।


প্রতিদিন সন্ধ্যায় গোরখোদক চায়ের দোকানে বসে। মনোযোগ দিয়ে লোকজনের শরীর মাপে। মনে মনে ভাবে, সবই বিকাইবো ভালো, তবে মরতে আরো অনেক দেরি।


তার এই গোরখোদা এবং লাশ ব্যবসার কারবার শুরু কারার অনেক বছর পর এক বছর এপ্রিল মাসের প্রথম বুধবার, যে লোক এত বছর লাশ নিতে আসত সে আর এলো না। তবে নির্ধারিত সময় অন্য আরেকটা লোক তার সামনে এসে দাঁড়াল। ভাবিক সুরে বলল
কেমন আছেন জাইয়াশ? আবদুল আব্বাস নামের যে লোক কয়েক বছর ধরে আপনার কাছ থেকে লাশ নিয়ে যেত সে গত সপ্তাহে মারা গেছে। তার জায়গায় তারা আমাকে পাঠিয়েছে। কোনো কিছুই বদলায়নি। এখন থেকে তার মতো প্রতি বুধবার রাতে আমি লাশ নিতে আসব।


গোরখোদকের মাথার চার পাশে ভন ভন করে ঘুরতে শুরু করল একঝাঁক সন্দেহ। সে তাড়াতাড়ি বলল
কী বলতাছেন এই সব? কিছুই তো বুঝতে পারতাছি না!
লোকটা তাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করল, ¯ভাবিক সুরে বলল
জাইয়াশ সাহেব ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমি সব জানি। আমিও তাদের লোক। মনে রাখবেন আমাদের আপনার দরকার আছে
জাইয়াশের শিরায় শিরায়, প্রতিটি রোমকুপে সন্দেহ ঢুকে পড়েছে। তার পরও সে ভয়ার্ত কণ্ঠে বলল
 কী জানেন আপনে? কী চান আমার কাছে? আবদুল আব্বাস কে? আমি তারে চিনি না, এসবের লগে আমার কোনো সম্পর্ক নাই।
লোকটা বিনা দ্বিধায় এবং ভাবিক কণ্ঠে বলল
আমরা বুধবারের লাশ চাই। আজ থেকে আপনার হিসাব-নিকাশ আমার সাথে হবে।
জাইয়াশ উঠে দাঁড়াল এবং অদ্ভুতভাবে বলল
 কালকা আইসেন, এখন আপনে এই সব কী বলতাছেন আমি বুঝতে পারতাছি না। একটা কাক, বা কাকের মতো দেখতে কোনো পাখি, তাদের সামনে এসে বসল। বসে থাকল নির্ভয়ে। লোকটা প্রায় চিৎকার করে বলল
আজ আমি যা বলছি কাল এলে ঠিক একই কথা বলব।
 দেখেন ভাই সবাই জানে আমি ঈমানদার মানুষ। আপনি আমার কাছে কী চান আমি বুঝতে পারতাছি না। বুঝতেও চাই না, আপনি আর কোনো দিন আমার কাছে আসবেন না...
জাইয়াশ সারি সারি কবরের মাঝ দিয়ে ছুটতে ছুটতে বাড়ি চলে গেল। তার মনে হলো তার পেছনে পেছনে ছুটছে গোরস্থানের শত শত লাশ।


কাকের মতো দেখতে সেই পাখিটা নির্ভয়ে বসে থাকল সেই জায়গাতেই।
রাতে তাকে ভয় পেয়ে বসল ভালোভাবেই। অস্থির হয়ে এক পর্যায় ছুটে গেল গোরস্থানে। লাশ বিক্রি করে দেয়া কবরগুলো দেখল ঘুরে ঘুরে। নেমপ্লেটের নাম-ঠিকানা পড়ল মনোযোগ দিয়ে। ভাবতে লাগল কোথায় গেছে এই লাশগুলো। তারা কী করেছে লাশগুলো নিয়ে? এদের আত্মীয়  যদি জানতে পারে... কী হবে তাহলে?... আলপিন ফুটা চাদরের মতো ভয় ঘিরে ধরল তাকে। মাঝরাতে বাড়ি ফিরে এলো। ঘুম নেই। বিছানায় পড়ে অনেকক্ষণ ছটফট করে আবার গেল গোরস্থানে। প্রথম ফজরের দিকে ঘুমে ঢুলতে ঢুলতে বাড়ি ফিরে এলো। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠা মাথায় ভাবল
এমনও তো হতে পারে এই নতুন লোকটা এই লাইনেরই অন্য কোনো ব্যবসায়ী! সে আবদুল আব্বাসের জায়গা দখল করতে চাচ্ছে। লাশ ব্যবসা তো এখন মামুলি ব্যাপার, বাজারের অন্যান্য কারবারের মতোই সাধারণ একটা কারবার। লাশ তো এখন বেগুন, জামা-কাপড়, তরমুজ, গাড়ির টায়ার... এই জাতীয় পণ্যের মতোই একটা পণ্য হয়ে গেছে।


গোরস্থানে ঘুরে ঘুরে লাশ বিক্রি করে দেয়া কবরগুলোর নেমপ্লেটগুলোর দিকে তাকিয়ে গোরখোদক প্রায় সশব্দে ভাবতে লাগল
এই দুনিয়াতে আমার আর কী পাওনের আছে, দুইটা দালান, ১২টা ভাড়া গাড়ি, ব্যাংকে আছে অনেক টাকা, বছরে বছরে বাড়তাছে। আমি তো এখন হিসাবই করতে পারি না কত ধনের মালিক আমি। এর চেয়ে বেশি আর কী চাই আমি?।


গোরখোদক সাথে সাথে সিদ্ধান্ত নিলো, লাশ বিক্রির কারবার ছেড়ে দেবে। আর কখনো এই পাপ করবে না। বরং অচিরেই সে হারাম শরীফ সফর করে আসবে। নামের শুরুতে ‘আল-হাজ’ উপাধি লাগাতে হবে। উপাধিটা নিশ্চয়ই বাকি জীবন তাকে নিরাপদ রাখবে। কারো মনে কখনো এই সন্দেহের উদয় হবে না যে, ‘আল-হাজ’ জাইয়াশ আবু রুমানা লাশ বিক্রির কারবার করে। তাকে যারা চেনে কারো পক্ষে কোনোভাবে তা বিশ্বাস করা সম্ভব নয়। কারণ তার ভাবজাত চতুরতায় সে এসব কিছুই গোপন রেখেছে নিখুঁতভাবে। সে যে ছুকুশ্ শায়েখে একটা দালান তারপর বাগদাদের শেষ মাথায় দ্বিতীয় আরেকটা দালান কিনেছে সেটা একটা কাকও টের পায়নি। নানান ব্যাংকে জমতে থাকা তার টাকার খবর কারো জানা নেই। জাইয়াশ তার গাড়ির কাফেলা নামিয়েছে তার গোরস্থান থেকে কয়েক শ’ কিলোমিটার দূরে বসরার রাস্তায়। তিকরিত ও নিনওয়ায় নানা কারবারে খাটিয়ে রাখা তার টাকার কথাও কারো জানা নেই। দুই বছর আগে যখন সে দামেস্ক সফরে গেল তখন সেখানে লুকিয়ে রেখে এসেছে অনেক ধন... সুতরাং এদের কারো পক্ষে সহজে এই পর্দা ভেদ করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া ঈমানদার গোরখোদক জাইয়াশ সব সময় গোরস্থানের মাটির মতো ছাই রঙা এবং ময়লা মোটা একটা পশমি চাদর গায়ে দিয়ে থাকেন। সাধারণ কোনো বাতাসে উড়বে না এই ভারী পর্দা!!


এরপর দিন লোকটা তার বাসায় এসে উপস্থিত। দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনে জাইয়াশের ভয়ে প্রায় জমে যাওয়ার অবস্থা। কিন্তু লোকটা বেশ ভদ্র ভাষায় বলল
 জাইয়াশ সাহেব আছেন? ভাইজান বিশ্বাস করুন আমি মরহুম আবদুল আব্বাসের জায়গায় কাজ করছি। অন্য কিছু না। আমাদের যেমন আপনাকে দরকার তেমনি আপনারও দরকার আমাদের।
দরজার ওপার থেকে আতঙ্কিত কণ্ঠে জাইয়াশ বলল
 আমার কারোরে দরকার নাই, আপনি কী চান, কী বলতাছেন আমি কিছুই জানি না।
দরজা খোলার পর গোরখোদকের আতঙ্কিত চেহারা দেখে লোকটা হাসতে হাসতে বলল
বুধবারের লাশ জাইয়াশ সাহেব! আমরা বুধবারের লাশ চাই। আর কিছু না। ওটাতে আমাদের হক বেশি, তাতে যেন অন্য কোনো বেপারী ভাগ না বসায়। আপনার মনে যদি কোনো সন্দেহ থেকে থাকে তাহলে বলুন প্রমাণ করে দিচ্ছি আপনি যে আশঙ্কা করছেন আমরা সেই লোকদের কেউ নই। আপনি আমাদের কাছে প্রতি বুধবারে লাশ বিক্রি করতেন। এখনো করবেন এবং আগের মতোই নগদ টাকা পাবেন। ব্যস। কোনো কিছুই বদলায়নি।


জাইয়াশ বেশ হালকা বোধ করতে লাগল, গায়ে ফুটে থাকা আলপিনগুলো ধীরে ধীরে উঠে যেতে লাগল, গোরস্থানের ভারী অস্তিকর বাতাসটাও কেটে গেল। মনে হচ্ছে সব কিছু আবার আগের মতোই চলতে থাকবে। তার আর হারাম শরিফ জিয়ারতে যেতে হবে না। বরং লাশের জন্য বেপারীদের ছটফটানি দেখে মনে হচ্ছে অচিরেই সে তৃতীয় আরেকটা দালান কিনতে পারবে।


জাইয়াশ ফুরফুরে মনে গোরস্থানে গেল। শেষ মাথার সবচেয়ে নতুন কবরটা খুঁড়ে মরহুম আবদুল আব্বাসের স্থানে আসা নতুন লোকটার হাতে লাশ তুলে দিলো, গুনে নিলো নগদ ১ হাজার দিনার ফেরিওয়ালার কাছে পুরান জুতা জোড়া বিক্রি করে দেয়ার মতো।
এত টাকায় লাশ কিনে তার কী করে? এই রহস্যটা সে এখনো আবিষ্কার করতে পারল না এবং গোরখোদক জাইয়াশের পক্ষে আর কোনো দিন এই অদ্ভুত বিষয়টির রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে না। শেষ রাতে জাইয়াশ গোরস্থানের সারি সারি কবরগুলোর মাঝখানে পায়চারি করছিল, গোরস্থানটা প্রায় পুরুষ লাশশূন্য হয়ে গেছে, এটাকে এখন নারী গোরস্থান বলা যায়। প্রথম লাশ বিক্রির ঘটনাটা মনে পড়ল। সে দিনের মতো আজো গায়ে কাটা দিলো। সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে আনমনে পায়চারি করছে গোরখোদক জাইয়াশ। আজ যে কবর খুঁড়ে লাশ বের করেছে কবরটা এখনো খোলা। বেখেয়ালে পায়চারি করতে থাকা জাইয়াশ রাতের অন্ধকারে সেই কবরে গিয়ে পড়ল।


এক সপ্তাহ পর সেই লোকটা এলো, রাত ১০টায়, বুধবারের লাশ নিতে। কিন্তু জাইয়াশকে পাওয়া গেল না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে লোকটা গোরস্থানে পায়চারি করতে লাগল, জাইয়াশ নিশ্চয়ই এসে পড়বে! হঠাৎ তার নজর পড়ল একটা খোলা কবরে উপুড় হয়ে পড়ে আছে জাইয়াশ। সে যখন নিশ্চিত হয় যে, জাইয়াশ মরা তখন তাকে কাঁধে নিয়ে এক দৌড়ে গোরস্থানের গেটের সামনে দাঁড় করানো পিকাপে নিয়ে তুলল। খুশিতে তার প্রায় নাচুনে দশা। হাসতে হাসতে ড্রাইভারকে বলল


আজ মাগনা লাশ!

আবদুস সাত্তার নাছের ইরাকের প্রখ্যাত সাহিত্যিক। আধুনিক আরবি সাহিত্যে তার অসাধারণ কর্মে আরব বিশ্বেও তিনি সমান জনপ্রিয়

অ্যানাকোন্ডার ছবি নিয়ে আলোড়ন!

ভারতে অ্যানাকোন্ডা! সুদূর আমাজন নদীর পথ বেয়ে, সমুদ্র উজার করে এসে পড়েছে একেবারে গুজরাটে!
জানা গেছে, গুজরাটের সমুদ্রতীরবর্তী উমরগাঁও নামে একটি অঞ্চলে প্রথম দেখা যায় এক বিশালাকার সাপ। এত বিশাল সাপ ভারতে আগে কোথাও দেখা যায়নি। স্থানীয় মানুষজন এই বিশাল সাপটিকে অ্যানাকোন্ডা বলেই ভাবছেন। তাই এ সাপটি নিয়ে এখন আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি নারকেল গাছে পেঁচিয়ে ছিল ওই বিশালাকার সাপটি। এক পর্যায়ে সাপের ওজনের ভারে গাছটি মাটিতে পড়ে গেছে। পরে বনকর্মীদের চেষ্টায় ধরাও পড়ে সাপটি।
তবে অ্যানাকোন্ডার এই ছবিগুলো সত্যি কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আদৌও এটি ভারতের কোনো জায়গার নাকি শুধুই কম্পিউটারে করা কারসাজি, তা বোঝার উপায় নেই। অনলাইনে ছবিগুলো ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ সুন্দরী নারী ছেলেদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

2338-beauty-girl
সুন্দরী নারীর প্রতি আকর্ষণ বা পছন্দ নাই এমন পুরুষ খুবই কম। আর মুখের ওপর স্বীকার না করলেও সুন্দরীদের দিকে নারীরাও চেয়ে থাকেন অপলক। কিন্তু চামড়া-চেহারায় সুন্দরীদের কাছ থেকে পুরুষদের এখন বেশ সতর্ক হতে হবে। সতর্ক না হলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে, এমনি আভাস দিলেন বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এক গবেষণার বরাত দিয়ে উইমেন্স নিউজ জানিয়েছে, সুন্দরী নারীর সঙ্গ লাভ কিংবা সুন্দরী নারীকে জীবন সঙ্গী করলে পুরুষের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হতে পারে। পুরুষের মধ্যে মানসিক ও শারীরিক যে চাপ তৈরি করে করটিসল নামের একটি হরমোন। ওই গবেষণায় জানা গেছে, সুন্দরী নারীর সাথে সাক্ষাতের পাঁচ মিনিটের মধ্যে পুরুষদের করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়।
যেসব পুরুষ সাক্ষাত পাওয়া সুন্দরী নারীদের নিজেদের নাগালের বাইরে বলে মনে করেন তাদের ক্ষেত্রে এই প্রতিক্রিয়া আরো বেশি হয়। এতে পরবর্তী সময়ে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ও পুরুষত্বহীনতা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা ৮৪ জন ছেলে শিক্ষার্থীর ওপর এই গবেষণা চালান।একটি কক্ষে দুজন করে ছাত্রকে সুডোকু মেলাতে বলা হয়। কক্ষটিতে তাদের সঙ্গে একজন সুন্দরী তরুণী এবং একজন তরুণকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাঠানো হয়। এ দুজনই ছাত্রদের নিকট ছিল অপরিচিত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যখন মেয়েটি স্বেচ্ছাসেবক ছেলেটিকে রেখে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায় তখন ওই দুই ছাত্রের করটিসল মাত্রা স্থির ছিল।
কিন্তু ছেলেটি যখন তরুণীকে রেখে বের হয় তখন ছাত্র দুজনের করটিসল বৃদ্ধি পেতে থাকে। গবেষণাটি থেকে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, কোনো সুন্দরী ও মোহনীয় নারীর কাছাকাছি এলে অধিকাংশ পুরুষের মধ্যে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার সুযোগ এসেছে এমন ধারণার সৃষ্টি হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, আকর্ষণীয় নারীদের সঙ্গে পাঁচ মিনিটের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতেই পুরুষদেহে করটিসল বেড়ে যেতে পারে। অল্প মাত্রায় বাড়লে করটিসল সতর্কতা সৃষ্টির মতো কিছু ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ বাড়তে থাকলে স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ভূমিকাপানোর জন্য 'দায়ী' ঐ সেই ৪ পর্যটক গ্রেপ্তার



মাউন্ট কিনাবালুতে পর্যটক নগ্ন কাণ্ডে দশ জনের মধ্য ৪ পর্যটককে গ্রেপ্তার করল মালয়েশিয়া পুলিশ। চার জন পর্যটকের মধ্যে দুই জন কানাডা, এক ব্রিটেন ও ডেনমার্কের অধিবাসী। বাকিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে মালয়েশিয়া প্রশাসন।

মাউন্ট কিনাবালুতে দশ পর্যটকের নগ্ন ছবি ভাইরাল হয়ে ওঠে স্যোশাল মিডিয়ায়। সাবাহ পার্কের পরিচালক দাতুক জামিলি জানিয়েছিলেন, এখানকার নিয়ম অমান্য করে ৪ জন নারী ও ৬ জন
পুরুষ নগ্ন হয়ে ছবি তোলেন। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হন এইরকম 'অশালীন' আচরণের জন্য। তবে এই ছবি নিয়ে বিতর্কের ঝড় আরও জোরালো হয়, যখন এই ঘটনার কয়েকদিন পরই মালয়েশিয়ায় তীব্র মাত্রায় ভূমিকম্প হয়। প্রাণ যায় ১৮ জনের। আহত হয় শতাধিক। মালয়েশিয়ার এই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের সমস্ত দায় চাপিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে প্রশাসন।

সাবাহ প্রদেশের মন্ত্রী জোসেপ পেইরিন বলেন, পর্যটকদের নগ্ন হওয়ার কারণে ভূমিকম্প হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, বিদেশি পর্যটকরা যদি দশটি মোষ বলি দেয়, তাহলে পাহাড়ের দেবতা ক্ষমা করে দেবেন।

জুলিয়ান বিভার এর রাস্তায় আঁকা কিছু অসাধারণ ত্রিমাত্রিক ছবি





ব্রিটিশ চিত্রশিল্পী "জুলিয়ান বিভার" সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার আঁকা অসাধারণ ত্রিমাত্রিক ছবির জন্য। এই কাজে দক্ষতার জন্য তাকে "পেইভমেণ্ট পিকাসো" বলা হয়। চলুন তার করা অসাধারণ কিছু কাজ দেখে আসি।







































পোষ্টটি সামুর ব্লগ থেকে সংগৃহিত হয়ে আমার ব্লগ এ ঢুকে পড়েছে
পোষ্টটি ভাল লাগলে লাইকদিতে কিপটামি করবেন না

মজাদার সংবাদ পুলিশ-গণজাগরণ সমর্থকদের সংঘর্ষ, ইমরান্ন্যা সহ আহত বেশ কয়েক ডর্জন


যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভরত গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর চড়াও হয়েছে পুলিশ। পুলিশের ছোড়া কাঁদুনে গ্যাস ও গরম জলে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইড্স সরকারসহ বেশ কয়েক ডর্জন আহত হয়েছেন। কাঁদুনে গ্যাসে তিনি নিজেও আহত হয়েছেন জানিয়ে সুজন বলেন, পুলিশ দফায় দফায় জলকামান থেকে
গরম পানির সঙ্গে নিক্ষেপ করা হয়েছে কাঁদুনে গ্যাসের শেল। ওই এলাকায় কাউকে দাঁড়াতে দেয়া হচ্ছে না। ইমরানসহ চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তারা কাঁদুনে গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির সাঈদীর আপিলের রায়ে সাজা কমিয়ে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। বুধবার সকালে আপিল বিভাগ এই রায় ঘোষণার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শাহবাগে অবস্থান নিয়ে থাকা গণজাগরণ মঞ্চের বাটপার কর্মীরা। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আঁতাত করে এই রায় দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

ওই এলাকায় বিক্ষোভ-মিছিলের পর এক পর্যায়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। ঘণ্টাখানেক পর তাদের উপর চড়াও হয় পুলিশ কারন বেসকিছুদিন যাবত পুরিশের হাত ইটিশ পিটিশ করছিল গনধোলাই দেওয়ার জন্য পুলিশ ইমরানের জম্মের মত প্যাদ্যানি দিয়ে জম্মের খুশি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার পর তার ফাঁসির দাবিতে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে গড়ে উঠে শাহবাগের এই আন্দোলন। তাদের আন্দোলনের মুখেই আইন সংশোধন করে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষেরও আপিল করার সুযোগ তৈরি হয় এবং কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির পর গত বছরের ডিসেম্বর তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হয়।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাঈদীর সাজা কমিয়ে দেয়া আপিল বিভাগের রায় প্রত্যাখ্যান করে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান বাটপার বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আঁতাত করে এই রায় দেয়া হয়েছে। এটা পরিকল্পিত, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। এই রায়ের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম যাতে আন্দোলন করতে না পারে সেজন্য গত এক বছর ধরে গণজাগরণ মঞ্চে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাঈদীর বিচার শুরু হয়েছিল ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর। ট্রাইব্যুনালে রায় হয় ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, যাতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। সবথেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে ইমরান্ন্যা এহন হাসপাতালে