হয়ত আপনার একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন কিন্তু আপনি জানেন না কিভাবে করবেন বা কোথায় গিয়ে করতে হবে। তাই আজকের এই টিউটোরিয়াল এর মাঝে আমি সম্পূর্ণ বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেছি কিভাবে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন, কোথায় যেতে হবে, কত টাকা লাগবে এবং কিভাবে কাজটি করবেন।
লাইসেন্সের প্রকারভেদ
প্রকারভেদ অনুযায়ী লাইসেন্স ৫ প্রকার। যেমন-• শিক্ষানবীশ লাইসেন্স
• পেশাদার লাইসেন্স
• অপেশাদার লাইসেন্স
• পি.এস. ভি লাইসেন্স
• ইনস্ট্রাকটর লাইসেন্স
প্রকানভেদ অনুযায়ী লাইসেন্স ৫ প্রকার হলেও শিক্ষানবীশ লাইসেন্স, পেশাদার লাইসেন্স এবং অপেশাদার লাইসেন্সই বেশি প্রচলিত। নিম্নে এ সম্মন্ধে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হলো- যে ধরণের ব্যক্তিগণ লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন -
• সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স্ক ব্যক্তি অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
• সর্বনিম্ন ২০ বছর বয়স্ক ব্যক্তি পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
• পেশাদার এবং অপেশাদার লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যাদের বয়স (২০/১৮) নির্ধারিত বয়স অপেক্ষা কম এবং যিনি কমপক্ষে অষ্টম শ্রেনী
বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন।
• ক্ষিপ্রতা গ্রস্ত ব্যক্তি ও মৃগী রোগী
• বধিরতা
• যিনি রাতকানা রোগগ্রস্ত
• হৃতরোগী
• বর্ণান্ধ
• যে সকল ব্যক্তি শারিরীক অক্ষমতা / শারিরীক স্বল্পতা/ ত্রুটির কারণে গাড়ী চালনায় অযোগ্য।
শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পদ্ধতি যে কোন ব্যক্তিকে শিৰানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে নিম্নলিখিতভাবে অগ্রসর হতে হবে :
১. বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বি.আর.টি.এ) অফিস হতে ছাপানো নির্ধারিত আবেদন ফরমে আবেদন করতে হবে।
২. একজন রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তার কর্তৃক শারীরিক ফিটনেস সার্টিফিকেট ও রক্তের গ্রুপ ফর্মে উল্লেখ থাকতে হবে।
৩. নির্ধারিত আবেদন ফিস স্হানীয় পোস্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
৪. আবেদন পত্র সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের তিনকপি ছবিসহ বি আর টি এ অফিসে জমা দিতে হবে।
আবেদনপত্র পাওয়ার পর লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ আবেদন পত্রের যথার্থতা বিবেচনাক্রমে ৩ (তিন) মাসের জন্য শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে থাকেন। অতঃপর লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হবে।
একজন চালককে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে যে সমস্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হয় তা হলো :
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের দেয়া শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ কালের মধ্যে ধার্যকৃত ফিস জমা দিয়ে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। আবেদন পত্র পাওয়ার পর লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ আবেদনকারীকে-
ক. লিখিত পরীক্ষা
খ. মৌখিক পরীক্ষা
গ. ব্যবহারিক পরীক্ষা অংশ গ্রহণ করতে হবে।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে মটর যানের যে শ্রেণীর (মটর কার, মটর সাইকেল বা হালকা/ভারী) জন্য আবেদন করেছে সে শ্রেণীর গাড়ী নিয়ে বি.আর.টি.এ অফিসের নির্ধারিত স্হানে (জেলা পর্যায়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট/১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে) ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হবে।
ব্যবহারিক পরীক্ষা ৩ (তিন) টি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে। যথাঃ
ক. জিগ জ্যাগ টেস্ট
খ. র্যাম্প টেস্ট
গ. রোড টেস্ট : এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে লাইসেন্সিং কর্তৃপৰ আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবেন।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, মধ্যম ও ভারী যানবাহনের লাইসেন্স পেতে হলে অবশ্যই আবেদনকারীর হালকা মটরযানের লাইসেন্স থাকতে হবে এব তিন বছর পার না হলে উক্ত প্রকার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যাবে না। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পরীক্ষা পদ্ধতি :
তিনটি বিষয়ের উপরে লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়। যথা :
ক. রোড সাইন, ট্রাফিক সিগন্যাল ও ট্রাফিক চিহ্ন,
খ. ট্রাফিক নিয়মাবলী,
গ. মটরযান ও ইহার ইঞ্জিন সংক্রান্ত প্রাথমিক জ্ঞান বিষয়ে।
প্রশ্ন : লিখিত পরীক্ষা কত সময় দেয়া হয় এবং পরীক্ষায় পাশের শতকরা হার কত ?
উত্তর : সাধারণতঃ লিখিত পরীক্ষায় ২৫-৩০ মিনিট সময় দেওয়া হয় এবং শতকরা ৬৬% নম্বর পেলে উত্তীর্ণ হওয়া যায়।
প্রশ্ন : লিখিত পরীক্ষায় কি ধরনের প্রশ্ন থাকে ?
উত্তর : উপরোক্ত বিষয়ের উপর ছোট ছোট প্রশ্ন থাকে। যাতে স্বল্প কথায় উত্তর দেওয়া যায়। উত্তর দেওয়ার জন্য প্রত্যেক প্রশ্নের নিচেই ফাঁকা জায়গা থাকে
এবং সেখানেই উত্তর লিখতে হয় অথবা প্রশ্ন পত্রে কয়েকটি উত্তর দেওয়া থাকে সঠিক উত্তরের পাশ্বে টিক দিতে হয়।
প্রশ্ন : কি কি বিষয়ের উপর মৌখিক পরীক্ষা দিতে হয় ?
উত্তর : রোড সাইন, ট্রাফিক সিগন্যাল ও ট্রাফিক চিহ্ন, ট্রাফিক নিয়মাবলী বাস্তবে চিহ্নিত করতে পারে কিনা এবং মটরযান ও ইহার ইঞ্জিন সংক্রান্ত প্রাথমিক জ্ঞান আছে কিনা। তদুপরি বয়স ও শারীরিক দিক হতে উপযুক্ত কিনা ইত্যাদি বিষয়ে মৌখিক পরীক্ষয় প্রশ্ন করা হয়।
প্রশ্ন : প্রাকটিক্যাল টেস্ট বা মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষা কি ভাবে হয় ?
উত্তর : পরীক্ষার্থী মটরযানের যে শ্রেণীর জন্য লাইসেন্স পেতে চায় সেই শ্রেণীর গাড়ী দিয়েই মাঠে প্রাকটিক্যাল টেস্ট দিতে হয়। এ প্রাকটিক্যাল টেস্টে ইঞ্জিন চালু করা, গিয়ার পরিবর্তন করা, সিগন্যাল লাইট ব্যবহার করা, গাড়ী থামানো, সামনে অগ্রসর হওয়া ও পিছনের দিতে সুষ্ঠুভাবে চালাতে পারে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা ১ম ধাপ হচ্ছে জিগজাগ টেস্ট। মাঠে যে আঁকা বাকা রাস্তা মার্কিং করা থাকে তার ভিতর দিয়ে গাড়ী নিয়ে অগ্রসর হওয়ার নাম জিগজাগ টেস্ট। ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে কিংবা ছিড়ে গেলে ‘ইস্যুকরণ পদ্ধতি’
ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে কিংবা ছিড়ে গেলে লাইসেন্সধারীকে-
নির্ধারিত ফরমে সাদা কাগজে প্রয়োজনীয় ফিস পোস্ট অফিসে জমা দিয়ে লাইসেন্স পূর্ণ বিবরণাদি উল্লেখপূর্বক যে লাইসেন্সিং অথরিটি কর্তৃক ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছিল তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে লাইসেন্সিং অথরিটির নিকট ৩ (তিন) কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবিসহ আবেদন দাখিল করতে হবে।
লাইসেন্স হারিয়ে বা পুড়ে গেলে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি এন্ট্রি) করতে হবে এবং তার একটি সত্যায়িত অনুলিপি আবেদন পত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
এছাড়া দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে এবং সেই বিজ্ঞপ্তির তারিখ আবেদন পত্রে উল্লেখসহ উক্ত পত্রিকার নির্দিষ্ট স্হানটি চিহ্নিত করে আবেদন পত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। আবেদন পত্র সঠিক বিবেচিত হলে লাইসেন্সধারীর অনুকুলে একটি প্রতিলিপি ইস্যু করা হবে।
পদক্ষেপ সমূহ | কাজ | কোথায় যাবেন | কার কাছে যাবেন | কি কি কাগজপত্র লাগবে | কাজ সম্পূর্ণ হবার সময়সীমা | খরচ (টাকা) | গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ |
গ্রাহকোর কাজ | সেবা প্রদানকারীর কাজ | ফি | অন্যান্য খরচ |
প্রথম কাজ (শিক্ষানবীশ লাইসেন্স) | শিক্ষানবীশ লাইসেন্সের জন্য আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে | ফরম প্রদান | জেলা/বিভাগীয় বি.আর.টি.এ অফিস | নির্বাহী অফিসার | | | যে কোন ব্যাংক থেকে ২০০/-টাকার পে-অর্ডার | | নাই |
দ্বিতীয় কাজ | লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ বি.আর.টি.এ বরাবর শিক্ষানবীশ লাইসেন্সের জন্য আবেদন ফরম পূরণ করে ফরম সহ ২০০/টাকার পে-অর্ডার বি.আর.টি.এ তে জমা দিয়ে সেখান থেকে চালান নিয়ে ২ দিন পর চালান কাটতে হবে | | ঐ | ঐ | ক) ৩ কপি সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজ ছবি খ) পূরণকৃত ফরম গ) ২০০/-টাকার পে-অর্ডার | ৭ দিন | | | ঐ |
তৃতীয় কাজ | শিক্ষানবীশ লাইসেন্স সংগ্রহ | লাইসেন্স প্রদান | জেলা/বিভাগীয় বি.আর.টি.এ অফিস | নির্বাহী অফিসার | ফরম জমাদানের রশিদ | ৩০ মিনিট | নাই | | ঐ |
প্রথম কাজ (অপেশাদার লাইসেন্স) | শিক্ষানবীশ লাইসেন্স পাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (৩মাস) গাড়ী চালানো শিখতে হবে। | | | | | ৩ মাস | | | ঐ |
দ্বিতীয় কাজ | শিক্ষানবীশ লাইসেন্সে উল্লেখিত তারিখের মধ্যে গাড়ী চালনায় দক্ষতা প্রমানের জন্য লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে। | | | | | | | | ঐ |
তৃতীয় কাজ | পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ১৩০০/- টাকার পে-অর্ডার সহ বি.আর.টি.এ বরাবর আবেদন করতে হবে | আবেদনপত্র গ্রহণ করে ফরম জমাদানের রশিদ প্রদান করবে | জেলা/বিভাগীয় বি.আর.টি.এ অফিস | নির্বাহী অফিসার | ১.পূরণকৃত আবেদনপত্র ২.সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজ ছবি-২ কপি এবং স্ট্যাম্প সাইজ ছবি ৩ কপি ৩. নাগরিকত্ব সনদ ৪. গাড়ী চালনায় দক্ষতা প্রমান পরীক্ষার সনদ ৫.এস.এস.সি পরীক্ষার সনদ ৬. জন্ম নিবন্ধন সনদ এর ফটোকপি। | ৩ মাস | অপেশাদার প্লাষ্টিক লাইসেন্স ১০ বৎসর মেয়াদী নবায়ন ফি সহ ১৩০০/- টাকা | নাই | ঐ |
চতুর্থ কাজ | প্লাস্টিক লাইসেন্স সংগ্রহ | লাইসেন্স প্রদান | জেলা/বিভাগীয় বি.আর.টি.এ অফিস | নির্বাহী অফিসার ফরম জমাদানের রশিদ | ৩০ মিনিট | নাই | | | ঐ |
প্রথম কাজ (পেশাদার লাইসেন্স) | শিক্ষানবীশ লাইসেন্স পাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (৩মাস) গাড়ী চালানো শিখতে হবে। | | | | | ৩ মাস | | | ঐ |
দ্বিতীয় কাজ | শিক্ষানবীশ লাইসেন্সে উল্লেখিত তারিখের মধ্যে গাড়ী চালনায় দক্ষতা প্রমানের জন্য লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে। | | | | | | | | ঐ |
তৃতীয় কাজ | পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ৮০০/- টাকার পে-অর্ডারসহ বি.আর.টি.এ বরাবর আবেদন করে আবেদন ফরমটি বি.আর.টি.এ অফিসে বর্তমান পুলিশ কর্তৃক ¯^v¶i করিয়ে নিজ এলাকাধীন থানা পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে স্থায়ী ঠিকানা পরিদর্শন পূর্বক তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে বি.আর.টি.এ অফিসে জমা দিতে হবে। | আবেদনপত্র গ্রহণ করে ফরম জমাদানের রশিদ প্রদান করবে | জেলা/বিভাগীয় বি.আর.টি.এ অফিস | নির্বাহী অফিসার | ১. পূরণকৃত আবেদনপত্র ২.০সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজ ছবি-২ কপি এবং স্ট্যাম্প সাইজ ছবি ৩ কপি ৩. নাগরিকত্ব সনদ ৪. গাড়ী চালনায় দক্ষতা প্রমান পরীক্ষার সনদ, ৫.পুলিশ তদন্তের রিপোট ৬. জন্ম নিবন্ধন সনদ এর ফটোকপি। | ৩ মাস | অপেশাদার প্লাষ্টিক লাইসেন্স ৫ বত্সর মেয়াদী নবায়ন ফি সহ ৮০০/- টাকা | নাই | ঐ |
চতুর্থ কাজ | প্লাস্টিক লাইসেন্স সংগ্রহ | লাইসেন্স প্রদান | জেলা/বিভাগীয় বি.আর.টি.এ অফিস | নির্বাহী অফিসার | ফরম জমাদানের রশিদ | ৩০ মিনিট | নাই | | ঐ |
লাইসেন্স ফি
সকল জেলা শহরেই বেসরকারীভাবে ড্রাইভিং শেখানোর কিছু প্রতিষ্ঠান থাকে যেখানে প্রতিষ্ঠানভেদে ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে । সাধারণত ভাল প্রতিষ্ঠানগুলো যে ধরনের ফি নিয়ে থাকে যেমন- শিক্ষানবীশ লাইসেন্স ফি ১২৭০/-
জিগজ্যাগ পরীক্ষা বাবদ ৪৭০/-
অপেশাদার প্লাষ্টিক লাইসেন্স বাবদ ২১০০/-
পেশাদার প্লাষ্টিক লাইসেন্স বাবদ ১৫০০/-