**************************************************************************************************************************************************** ****************************************************************************************************************************************************

ফেসবুক ব্যাবহার করছো মামু মাগার ফেসবুকের অচেনা ভবন দেখনাই, যেখানে তুমার আমার 'লাইক' রেকর্ড হয়


ফেসবুক ব্যবহার করেন নিশ্চয়ই? আপনার প্রতিটি লাইক এবং পোস্ট ফেসবুক রেকর্ড করে রাখে। এ কথা সবাই জানেন। কিন্তু যে ওয়্যার হাউজটিতে আপনার লাইক এবং পোস্ট রেকর্ড হচ্ছে তার কথা অধিকাংশই
জানেন না। সুইডেনের উত্তরে আর্কটিক সার্কেল থেকে ৭০ মাইল দূরেই রয়েছে সেই গোপন ভবনটি।  লুলিয়া নামের খনি সমৃদ্ধ শহরে রয়েছে লাইক আর পোস্ট রেকর্ডের স্থান। শীতে এখানে তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। সবার আড়ালে থাকা ওয়্যারহাউজটিকে ফেসবুক ডেটা সেন্টার বলে ডাকে। এখানে হাজার হাজার সার্ভারে সংরক্ষিত আছে বিলিয় বিলিয়ন বাইট তথ্য। এই হাউজটি ইউরোপে ফেসবুকের মেরুদণ্ড বলে পরিচিত। নরডিক অঞ্চলে ফেসবুকের বিস্ফোরণ সামাল দিতেই পরবর্থী তিন বছরের জন্যে কোল্ড স্টোরেজের পেছনে ৩.৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে ফেসবুক। আইসল্যান্ডে ন্যাটোর পুরনো কিফ্লাভিক বেজ এলাকায় এই ওয়্যারহাউজটি অবস্থিত। এখানকার নিরাপত্তব্যবস্থা নিশ্চিদ্র। নিরাপত্তা কাজে একটা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। এ ভবনের করিডগুলো ধাতব। দরজা দেখলে মনে হবে এগুলো বিস্ফোরণ প্রতিরোধী। ভেতরে ৫০০টি বিশাল আকৃতির পাখা রয়েছে। এরা ভেতরে ঠাণ্ডা বাতাস বাইরে বের করে দেয়। গোটা ভবনের দেখাশোনা করেন ১৫০ জন সুইডিশ কর্মী। ৮৪ একর জমির ওপর অবস্থিত ঘেরা এলাকায় মাঝে মধ্যেই মানুষের অনুপ্রবেশ ঘটে। তবে বাজে পরিস্থিতির শিকার হয় না। অতি উৎসুক মানুষ চাইল মাথা গলিয়ে একটু দেখে নেন। ফেসবুকের অচেনা ভবন, যেখানে আপনার 'লাইক' রেকর্ড হয় এই ভবনে যে পরিমাণ ইলেট্রনিক ডেটা জমা হয় তা বিস্ময়কর। প্রতিদিন ৩৫০ মিলিয়ন ছবি, ৪.৫ বিলিয়ন লাইক এবং ১০ বিলিয়ন মেসেজ রেকর্ড হয় এখানে। মোট ডেটার পরিমাণ প্রতি ১৮ মাসে দ্বিগুন হয়ে চলেছে। অদ্ভুত হলেও সত্য, সেখানকার স্থানীয় সরকারব্যবস্থা খোলামেলাভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভবনটি দেখাশোনার অনুমতি দিয়েছে ফেসবুককে। কিছুদিন আগে সুইডেনের রানি এলাকাটি পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে ফেসবুকের এসব কর্মকাণ্ড বেশ খুশি মনে মেনে নিয়েছেন তিনি। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট

No comments:

Post a Comment