যেখানে পানি, সেখানেই জীবন, আর পানিও নেই জীবনও নেই। যে যাই বলুক না কেন এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি অন্য গ্রহ বা উপগ্রহে পানি আছে। এ বিশ্ব আমাদের পৃথিবী একমাত্র জলজ
গ্রহ (Aquatic planet)। বিজ্ঞানের আলোকে পানি যদি বিশ্লেষণ করি তাহলে লক্ষ্য করা যায় যে, হাইড্রোজেনের দু’টি পরমাণু ও অক্সিজেনের একটি পরমাণু দ্বারা গঠিত, যা H20 বলে চিহ্নিত। এদিকে Chambers 21s century Dictionary তে পানি সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট সংজ্ঞা উল্লেখ করেছে, তা হলো “Water is a colorless, odorless, tasteless liquid that freezes to form ice at 00C and boils to form steam at 1000C at normal atmospheric pressure” পূর্বেও বলেছি, এ যাবত্ যতগুলো গ্রহ/উপগ্রহ আবিষ্কার হয়েছে এর মধ্যে পৃথিবীতেই পানি আছে, যদিও বৈজ্ঞানিকরা বলেন যে, মঙ্গল গ্রহে পানি আছে বা বৃহস্পতি গ্রহের টাইটান উপগ্রহের মেরু অঞ্চলে বরফ জমাট বাঁধা আছে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে এবং এটির পুরোপুরি সত্যতা এখনও মেলেনি। আমরা আমাদের আদরের অবনীকে প্রকারান্তরে জলীয় গ্রহ (Aquatic planet) বলে অভিহিত করি। এখানে (ভূপৃষ্ঠের এক ভাগ মাটি এবং দু’ভাগ পানি। আর এই মোট পানির শতকরা সাতানব্বই ভাগই লবণাক্ত, শুধু শতকরা তিন ভাগ স্বাদু (Sweet)। অথচ উক্ত স্বাদু পানি খুব সামান্য অংশই মানুষ ব্যবহার করে থাকে। প্রায় স্বাদু পানি আছে ভূগর্ভস্থ এ্যাকুইফারে, নদী-নালা, ঝরনা, মেঘ, কুয়াশা, বরফ, হিমবাহ ইত্যাদি। অবশিষ্ট তিন ভাগ আছে, উল্লেখ্য যে, এ্যাকুইফারে সঞ্চিত পানিকে ভূগর্ভস্থ পানি (Ground Water) বলে থাকি এবং এটিকে খনিজ সম্পদের পর্যায়ও ফেলা হয়। তবে
Nature of the water
পার্থক্য হলো অন্যান্য খনিজ সম্পদ ক্ষয়িষ্ণু, কিন্তু ভূগর্ভস্থ পানি ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে (Recharging) পরিপূরণ হয়ে থাকে। সাধারণত ভূগর্ভস্থ পানি পরিপূরণ তথা পুনর্ভরণ হয় বৃষ্টির পানির মাধ্যমে। মেঘ হতে জলধারা মাটিকে সিক্ত করত নিম্নমুখী হয়ে ধীরে ধীরে পানি স্তরে (Water strata) প্রবেশ করে। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে কিছুটা পানি সিক্ত মাটির (Moisture soil) মাধ্যমে Vegetation coverage আওতায় গাছ-পালা, পোকা-মাকড়, জীবাণু ইত্যাদি প্রয়োজন অনুসারে নিয়ে থাকে। এখানে উল্লেখ্য যে, যতদূর জানা যায়, ঢাকা ওয়াসার গভীর নলকূপের মাধ্যমে যে পানি প্রতিনিয়ত উত্তোলন করে থাকে, তা রিচার্জ হয় ফরিদপুর বেল্ট (পদ্মা ও মেঘনাসহ ও ঢাকা রাজধানীর চারিদিকের নদী-নালা থেকে।
মহান সৃষ্টিকর্তা জীবজগত্ ঘিরে সকল বস্তুর মূল উত্স পানি বলে অভিহিত করেছেন। তিনি সূরা আম্বিয়ার ৩০ নং আয়াতে বলেন, “আমি প্রাণযুক্ত সকল কিছু পানি হতে সৃষ্টি করেছি” এদিকে সিরাতে খাতামুল আম্বিয়ার মুফতি শফি বদর যুদ্ধের গায়েবি সাহায্য নিয়ে লিখেছেন, বছরের গায়েবি সাহায্য ছিল আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ। হঠাত্ বৃষ্টি আরম্ভ হলো। এতে মুসলমানদের আবাস স্থলের বালুকা রাশি সিক্ত হয়ে জমে গেল। সাহাবায়ে কেরাম নিজে পান করলেন এবং অপরকেও পান করালেন। তাছাড়া চৌবাচ্চা বানিয়ে অবশিষ্ট পানি আটকে রাখলেন। অনেকে মনে করে থাকেন যে, এর থেকে পানি সংরক্ষণের কার্যক্রম সূত্রপাত হয়।
ইসলামী দৃষ্টিকোণ হযরত খিজির (আঃ) কর্তৃক আবে হায়াত নামক স্বর্গীয় পানি পানপূর্বক অমরত্বের ঘটনা সকল মুসলমানরা অবহিত আছেন, যিনি আবার সনাতন ধর্মে জনশ্রুতিতে জলদেবতা গঙ্গা নামে অভিহিত।
আল্লাহ পাকের প্রতিটি আদেশ উপদেশ ও নিষেধ বাস্তবধর্মী, অথচ রহস্যময় এর সুদূরপ্রসারী কার্যকারিতা বিদ্যমান। যাহোক, আল্লাহ তায়ালার আদেশক্রমে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) নবজাত পুত্র ইসমাইল (আঃ) এবং তদীয় স্ত্রী বিবি হাজেরাকে খেজুর ও এক ব্যাগ ভর্তি পানি পাহাড়ে ঘেরা কাটা গাছে ভরা উষর উপত্যকায় রেখে যান। কিছুদিনের মধ্যে ওগুলো ফুরিয়ে যায়। তখন শিশু ইসমাইল (আঃ) পিপাসায় কাতর হয়ে কাঁদতে থাকলে মা হাজেরা অস্থির ও পাগলিনী হয়ে পুত্রকে একটি জয়তুন গাছের নিচে রেখে সাফা-মারওয়ায় পানির খোঁজে দৌড়াদৌড়ি শুরু করতে লাগলে কোথাও পানির সন্ধান পেলেন না। এভাবে সাতবার দৌড়াবার পর তিনি লক্ষ্য করলেন তারই শিশু পুত্র ইসমাইল (আঃ) এর পায়ের দিক থেকে সজোরে পানি বয়ে যাচ্ছে। তখন পুত্রসহ তিনি খেলেন। কিন্তু প্রবাহ বেড়ে যেতে থাকলেও বিবি হাজেরা বললেন আব জম জম। এখানে উল্লেখ্য যে, আরবীতে “আব” মানে পানি আর জম জমের অর্থ ঝরনা। এই থেকে এই কূপের নাম আবে জম জম। তবে নামের ব্যাপারে আর একটি কথা আছে যে, প্রচুর পানি এবং যম যম মানে অল্প অল্প ঢোকে পান করা। যাহোক, পানি প্রবাহ ঠেকাতে বিবি হাজেরা পাথর নুড়ি চারদিকে ঘিরে দিলে তাই যম যম কূপ। যমযমের পানি অতি পবিত্র ও বরকতময়। এতে প্রচুর জীবনীশক্তি ও রোগ নিরাময় শক্তি রয়েছে, যা পৃথিবীর অন্য কোনো পানিতে নেই। এই কূপটি মক্কা মুকার্রমায় অবস্থিত কাবা শরীফের দক্ষিণ-পূর্বে কোনো স্থাপিত হাজরে আসাওয়াদের কাল পাথর অদূরে অবস্থিত। এ গভীরতা ১৪০ ফুট। পাহাড় এবং কাবা গৃহের তলদেশ। এই পানি কখনও কমে না বরং মাঝে-মধ্যে বৃদ্ধি পায়।
এ প্রেক্ষিতে জানা যায় ৯০৯ খ্রিস্টাব্দে এর পানি উপচিয়ে কাবা শরীফ চত্বরে বন্যার সৃষ্টি করেছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, তিনটি উেসর কথা বলা হলেও এর আদি উত্স অন্য কোথাও হতে পারে। কেননা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি মতে এই এলাকায় তেমন বৃষ্টিপাত হয় না। তাই রিচার্জ হওয়ার সুযোগ নেই। হয়তো হাজার হাজার মাইল দূরে অসীম অবস্থিত উঁচু থেকে এই পানি তুলনামূলক নিচ স্থান হিসেবে এই জম জম কূপে জমা হয়, জানা যায় প্রতিনিয়ত চার হাজার লিঃ পানি এসে থাকে। এর প্রবাহ একই রকম হলেও মাঝে-মধ্যে বেশি হয়। মূলত একটি লোক, ৩০ দিন শুধু পানি না খেয়ে বাঁচতে পারে। কিন্তু জম জমের পানিতে স্যালাইন ওয়াটারের ন্যামফুড ভ্যালু অনেক বেশি বিধায় বহুদিন শুধু এই পানি খেয়ে বাঁচা সম্ভব।
মহান সৃষ্টিকর্তা জীবজগত্ ঘিরে সকল বস্তুর মূল উত্স পানি বলে অভিহিত করেছেন। তিনি সূরা আম্বিয়ার ৩০ নং আয়াতে বলেন, “আমি প্রাণযুক্ত সকল কিছু পানি হতে সৃষ্টি করেছি” এদিকে সিরাতে খাতামুল আম্বিয়ার মুফতি শফি বদর যুদ্ধের গায়েবি সাহায্য নিয়ে লিখেছেন, বছরের গায়েবি সাহায্য ছিল আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ। হঠাত্ বৃষ্টি আরম্ভ হলো। এতে মুসলমানদের আবাস স্থলের বালুকা রাশি সিক্ত হয়ে জমে গেল। সাহাবায়ে কেরাম নিজে পান করলেন এবং অপরকেও পান করালেন। তাছাড়া চৌবাচ্চা বানিয়ে অবশিষ্ট পানি আটকে রাখলেন। অনেকে মনে করে থাকেন যে, এর থেকে পানি সংরক্ষণের কার্যক্রম সূত্রপাত হয়।
ইসলামী দৃষ্টিকোণ হযরত খিজির (আঃ) কর্তৃক আবে হায়াত নামক স্বর্গীয় পানি পানপূর্বক অমরত্বের ঘটনা সকল মুসলমানরা অবহিত আছেন, যিনি আবার সনাতন ধর্মে জনশ্রুতিতে জলদেবতা গঙ্গা নামে অভিহিত।
আল্লাহ পাকের প্রতিটি আদেশ উপদেশ ও নিষেধ বাস্তবধর্মী, অথচ রহস্যময় এর সুদূরপ্রসারী কার্যকারিতা বিদ্যমান। যাহোক, আল্লাহ তায়ালার আদেশক্রমে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) নবজাত পুত্র ইসমাইল (আঃ) এবং তদীয় স্ত্রী বিবি হাজেরাকে খেজুর ও এক ব্যাগ ভর্তি পানি পাহাড়ে ঘেরা কাটা গাছে ভরা উষর উপত্যকায় রেখে যান। কিছুদিনের মধ্যে ওগুলো ফুরিয়ে যায়। তখন শিশু ইসমাইল (আঃ) পিপাসায় কাতর হয়ে কাঁদতে থাকলে মা হাজেরা অস্থির ও পাগলিনী হয়ে পুত্রকে একটি জয়তুন গাছের নিচে রেখে সাফা-মারওয়ায় পানির খোঁজে দৌড়াদৌড়ি শুরু করতে লাগলে কোথাও পানির সন্ধান পেলেন না। এভাবে সাতবার দৌড়াবার পর তিনি লক্ষ্য করলেন তারই শিশু পুত্র ইসমাইল (আঃ) এর পায়ের দিক থেকে সজোরে পানি বয়ে যাচ্ছে। তখন পুত্রসহ তিনি খেলেন। কিন্তু প্রবাহ বেড়ে যেতে থাকলেও বিবি হাজেরা বললেন আব জম জম। এখানে উল্লেখ্য যে, আরবীতে “আব” মানে পানি আর জম জমের অর্থ ঝরনা। এই থেকে এই কূপের নাম আবে জম জম। তবে নামের ব্যাপারে আর একটি কথা আছে যে, প্রচুর পানি এবং যম যম মানে অল্প অল্প ঢোকে পান করা। যাহোক, পানি প্রবাহ ঠেকাতে বিবি হাজেরা পাথর নুড়ি চারদিকে ঘিরে দিলে তাই যম যম কূপ। যমযমের পানি অতি পবিত্র ও বরকতময়। এতে প্রচুর জীবনীশক্তি ও রোগ নিরাময় শক্তি রয়েছে, যা পৃথিবীর অন্য কোনো পানিতে নেই। এই কূপটি মক্কা মুকার্রমায় অবস্থিত কাবা শরীফের দক্ষিণ-পূর্বে কোনো স্থাপিত হাজরে আসাওয়াদের কাল পাথর অদূরে অবস্থিত। এ গভীরতা ১৪০ ফুট। পাহাড় এবং কাবা গৃহের তলদেশ। এই পানি কখনও কমে না বরং মাঝে-মধ্যে বৃদ্ধি পায়।
এ প্রেক্ষিতে জানা যায় ৯০৯ খ্রিস্টাব্দে এর পানি উপচিয়ে কাবা শরীফ চত্বরে বন্যার সৃষ্টি করেছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, তিনটি উেসর কথা বলা হলেও এর আদি উত্স অন্য কোথাও হতে পারে। কেননা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি মতে এই এলাকায় তেমন বৃষ্টিপাত হয় না। তাই রিচার্জ হওয়ার সুযোগ নেই। হয়তো হাজার হাজার মাইল দূরে অসীম অবস্থিত উঁচু থেকে এই পানি তুলনামূলক নিচ স্থান হিসেবে এই জম জম কূপে জমা হয়, জানা যায় প্রতিনিয়ত চার হাজার লিঃ পানি এসে থাকে। এর প্রবাহ একই রকম হলেও মাঝে-মধ্যে বেশি হয়। মূলত একটি লোক, ৩০ দিন শুধু পানি না খেয়ে বাঁচতে পারে। কিন্তু জম জমের পানিতে স্যালাইন ওয়াটারের ন্যামফুড ভ্যালু অনেক বেশি বিধায় বহুদিন শুধু এই পানি খেয়ে বাঁচা সম্ভব।
No comments:
Post a Comment