ভারতের বাজারে চীন সস্তায় প্লাস্টিকের চাল ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা ভারতের।ভারতের ধারনা চালাকি করে চীন এই চাল ভারতের বাজারে ছাড়তে পারে। বাজারে গিয়ে কিনে আনলেন মিনিকিট বা ভালো বাঁশকাঠি চাল। হাঁড়িতে সে ভাত ফুটলও। দিব্য খেয়ে ফেললেন। কিন্তু, জানলেনও না, আপনি যে চালের ভাত খেলেন, সেটা কৃত্রিম চাল, আসলে প্লাস্টিক ছাড়া কিছু নয়।
তা অবিশ্বাস আপনি করতেই পারেন, কিন্তু, চিন এ ভাবেই নকল প্লাস্টিকের চালে এশিয়ার বাজার ধরে নিচ্ছে। এমনকী যারা চালের কারবারি, দিনরাত চাল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তাঁরাও ধরতে পারেননি চিনের এই চালাকি। আর পাঁচটা চাইনিজ জিনিস যেমন সস্তায় মেলে, তেমন সস্তায় চাল কিনে, ব্যাপক মুনাফা করতে সেই নকল চালই বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।
এর আগে নকল ডিম বানিয়েও দেদার আয় করেছে চিন। বাইরে থেকে দেখে, এমনকী ডিম ফাটিয়েও কারও ধরার ক্ষমতা হয়নি, সে ডিমও নকল। না হাঁসের, না মুরগির। এই ডিম নাকি ভারতের বাজারেও বিক্রি হয়েছে। ভারতীয়রা সব সময় সস্তায় জিনিস কিনতে চায়। এই কারনে চীনের প্লাস্টিকের চাল নিয়ে ভারতের শঙ্কা।
ভারতের বাজারেও দেদার বিকোচ্ছে এই সস্তার চাল। সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামেও যাচ্ছে। সস্তায় দিচ্ছে বলে, নকল চালেও চালের বাজার গ্রাস করে নিচ্ছে চিন।
চীনের এই প্লাস্টিকের চাল এতটাই চালের মতো রান্নার আগে বুঝতেও পারবেন না, সেটা প্লাস্টিকের কিনা। পাশপাশি রেখে আসল-নকল বোঝার উপায় নেই। রান্না করে বুঝবেন, ভাতটা মনমতো হল না। সেই স্বাদও পাবেন না। সম্প্রতি কেরালায় এমন নকল চাল প্রথমে নজরে আসে। তখনই খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চিন থেকে এই নকল চালের দেদার আমদানি হচ্ছে। প্লাস্টিকের সঙ্গে আলু ও রাঙাআলু মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে এই নকল চাল।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সাবধান করে জানিয়েছেন, এই প্লাস্টেকের চাল কিন্তু শরীরের পক্ষে মোটেও সুখের নয়। নিয়মিত খেলে প্রাণসংশয় হতে পারে।
No comments:
Post a Comment