এই আধুনিক দুনিয়ার প্রধান শক্তি হলো, বিদ্যুৎ শক্তি। আর এই বিদ্যুৎটা আমরা পেয়ে থাকি প্রধানত ক) কয়লা পুড়িয়ে খ) জ্বালানি তেল পুড়িয়ে গ) গ্যাস পুড়িয়ে এবং ঘ) নদীতে বাঁধ দিয়ে।
উপরের সব কয়টি পদ্ধতিরই মূলমন্ত্র এক। তা হলো, জ্বালানি পুড়িয়ে স্টিম তৈরি হয়। আর এই স্টিমের শক্তি দিয়ে টারবাইন ঘুরানো হয়। আর নদীতে বাঁধের ক্ষেত্রেও ঘটনা একই
। নদীতে বাঁধ দিয়ে পানির উচ্চতা বাড়ানো হয়। পরে এই পানি সজোরে নিচের দিকে ফেলা হয় টারবাইনের পাখার ওপর। এতে করে পাখা ঘুরানো হয়। তাহলে মূল মন্ত্রটা সেই একই, টারবাইন ঘুরানো। আর টারবাইন ঘুরালেই বিদ্যুৎ তৈরি হয়।
কোনো সমস্যা ছিল না, যদি ঠিকঠাক মতো উপরের পদ্ধতিগুলো বছরের পর বছর চলতে থাকত। সমস্যা হলো, জ্বালানি তেল, গ্যাস, কয়লা সব ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই শেষটা খুব দ্রুতই হচ্ছে। হয়ত কয়েক বছর পরেই এই জ্বালানিগুলো শেষ হয়ে যাবে। তাহলে বিদ্যুৎটা আসবে কোথা থেকে? আর বিদ্যুৎ ছাড়া দুনিয়া চলবেই বা কী করে!
আসলে এই চিন্তাগুলো বিজ্ঞানীদের মাথায় এসেছে অনেক আগেই। তখন থেকেই তারা ভাবা শুরু করে দিয়ে ছিলেন, কিভাবে বিদ্যুতের একটা চিরস্থায়ী ব্যবস্থা করা যায়। এই ভাবনাটার শুরুই হয়েছিল তা যেন রিনিউএবল হয়। অর্থাৎ তেল, গ্যাসের মতো যেন তা ফুরিয়ে না যায়।
আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তির উৎস হলো, সূর্য। বিজ্ঞানীরা ভাবা শুরু করলেন এই সূর্য থেকে কিভাবে শক্তি নিয়ে তাকে বিদ্যুৎ তৈরিতে কাজে লাগানো যায়। আর সূর্যের শক্তিকে আপাতত রিনিউএবল বলা যায়। কারণ সূর্যের জ্বালানি শেষ হতে অন্তত আরো ৫০০ কোটি বছর লাগবে।
প্রথমেই মাথায় আসল ফটোভোল্টিকের আইডিয়া। সেমিকন্ডাক্টরের ওপর আলো পড়লে তা থেকে ইলেক্ট্রন ফ্রি হয়ে যায়। আর ফ্রি ইলেক্ট্রনের প্রবাহ থেকে ডি.সি. কারেন্ট তৈরি করা সম্ভব। অতএব, তৈরি হয়ে গেল আলো থেকে বিদ্যুৎ তৈরির কাজ।
আরেকটা আইডিয়া হলো, সূর্যের তাপকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা। এই আইডিয়াটা আসলে নতুন কিছু না। আমরা তেল, গ্যাস, জ্বালানি জ্বালিয়ে যেভাবে তাপ তৈরি করতাম, সেই তাপ দিয়ে স্টিম তৈরি করে সেই স্টিম দিয়ে টারবাইন ঘুরাতম। সেই একই আইডিয়া। এই পদ্ধতির নাম হলো সিএসপি অর্থাৎ কনসেন্ট্রেটেড সোলার পাওয়ার। বিশাল আকারের অবতল আয়নার লেন্স লাগিয়ে তার ফোকাসটা ফালানো হয় নির্দিষ্ট একটা স্থানে। অনেকগুলো আয়নার ফোকাস যখন একটা জায়গায় পড়ে তখন সেখানে প্রচণ্ড তাপ তৈরি হয়। সেই তাপ দিয়ে বাষ্প তৈরি করে টারবাইন ঘুরিয়ে তৈরি করা হয় বিদ্যুৎ। অবশ্য এখানেও মজার একটা আইডিয়া আছে। রাতে যখন সূর্য থাকবে না তখন কী হবে? তাই আরেকটা আইডিয়া তৈরি হলো, তার নাম থারমাল ব্যাটারি।
এই থারমাল ব্যাটারি আসলে তেমন কিছুই না। একটা বিশাল ট্যাংকে লবণের (সোডিয়াম+পটাশিয়াম নাইট্রেড) মিশ্রণ রাখা হয়। এই ট্যাংকের সংযোগ করে দেয়া হয় তাপ তৈরির সেই ফোকাল পয়েনেটর সঙ্গে। এতে করে থারমাল ট্যাংকের তাপমাত্রা প্রায় ৫৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায়। আর এই তাপমাত্রা প্রায় ১৫ ঘণ্টা বজায় থাকে। অতএব সূর্য না থাকলেও জমাকৃত তাপমাত্রা দিয়ে পরে টারবাইন ঘুরানো যায়। আর টারবাইন ঘুরানো মানেইতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়া!
তারপর আরেকটা রিনিউএবল আইডিয়া হলো, নদীর পানিতে বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা। এখানে চিন্তাটা খুবই সরল। সাধারণত পাহাড় ঘেরা নদীকে প্রথমে সিলেক্ট করা হয়। তারপর নদীর একটা পয়েন্টে দেয়া হয় বাঁধ। এতে করে নদীর পানি ফুলতে থাকে। আর যেহেতু নদীটা থাকে পাহাড়ে ঘেরা তাই এই পানি আশপাশে চলেও যেতে পারে না। এই পানির বাঁধের বিদ্যুৎ কিভাবে রিনিউএবল হলো। উত্তরটা খুবই সহজ। সূর্যের তাপে পানি বাষ্পিভূত হয়। মেঘ তৈরি হয়। এই মেঘ বৃষ্টি হয়েই গড়িয়ে পড়ে নদীতে। তাই যে পানিটা আমরা বাঁধ দিয়ে আটকে রেখেছিলাম, তা পরে ছেড়ে দিলাম টারবাইন ঘুরানোর জন্য। সেই পানি আবার উজানে চলে যাবে বাষ্পিভূত হয়ে বৃষ্টির রূপ ধরে। সেই পানে আবার এসে বাঁধে জমা হবে। আর এই প্রসেস চলতে থাকবে, সূর্য যতদিন এমন করে তাপ দিয়ে যাবে।
আরেকটা রিনিউএবল এনার্জি হলো বাতাস। উড়োজাহাজের চাইতেও বড় বড় পাখা বানিয়ে তা টাউয়ারে জুড়ে দেয়া হয়। বাতাসে এই পাখা ঘুরায়। আর পাখার পেছনে থাকে বিশাল আকারের টারবাইন। আর আমরা ইতিমধ্যেই জেনে গেছি। টারবাইন ঘুরলেই তৈরি হয় বিদ্যুৎ।
এখন কথা হলো, এই বাতাস কিভাবে রিনিউএবল হলো? প্রথমেই আসি, বাতাসের প্রবাহ কেন তৈরি হয়। বাতাস আসলে নাইট্রোজনে, অক্সিজেন ইত্যাদি গ্যাসের মিশ্রণ। এখন গ্যাসে তাপ পড়লে কী হয়? প্রসারিত হয়। অর্থাৎ গ্যাস হালকা হয়ে যায়। তার মানে যেখানে সূর্যের তাপ বেশি পড়ে সেখানের গ্যাসটা হালকা হতে থাকে। এই গ্যাস আশপাশে ছোটাছুটি করে তুলনামূলক কম তাপের জায়গায় চলে যায়। আর এই যাওয়ার প্রসেসটাকেই আমরা দেখি কী সুন্দর বাতাস বইছে। পৃথিবীর সব জায়গার তাপমাত্রা যদি সমান হতো, তাহলে বাতাস বইত না।
হঠাৎ করেই কোনো জায়গার তাপমাত্রায় আমূল পরিবর্তন হলে সেখানে গ্যাসেরও মারাত্মক সংকোচন, প্রসারণ হয়। এতে করে আশপাশের বাতাসে তার মারাত্মক প্রভাব পড়ে। এই ঘটনাটাই ঝড়। যাই হোক, এই বাতাস বহার মূল কারণও সূয। আর বাতাস বহার মাঝপথে আমরা টারবাইন বসিয়ে তৈরি করতে পারি বিদ্যুৎ।
ইদানিং কালে আরেকটা কালজয়ী বুদ্ধি এসেছে বিজ্ঞানীদের মাথায়। তার নাম হলো, সি-স্নেক বা পেলামিস। রেলগাড়ির মতো বড় একটা যন্ত্র ফেলে রাখা হয় সাগরে। আর প্রত্যেকটা বগির মাঝে লাগানো থাকে বিশাল আকারের পিস্টন। সাগরের ঢেউয়ের কারণে যখন এই যন্ত্রটা দুলতে থাকে তখন তার মাঝের পিস্টনেও দোল খেতে থাকে। আর সেই দোলকে কাজে লাগিয়ে ঘুরানো হয় টারবাইন। আর টারবাইন ঘুরানো মানেই তো বিদ্যুৎ!
রিনিউএবল বিদ্যুৎ নিয়ে মোটামুটি আলোচনা করা গেল। এবার বাংলাদেশে এর সম্ভাবনা নিয়ে দুটা কথা না বল্লেই না।
বাংলাদেশে একটা পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে বহু আগে থেকেই। খুবই সামান্য পরিমাণ বিদ্যুৎ আমরা পাই। ২৩০ মেগাওয়াটের মতো। চায়নায় একটা মাত্র পানির বাঁধ (থ্রি গর্জেজ ড্যাম) দিয়ে তার তৈরি করছে ২২.৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ। যা আমাদের সমগ্র বাংলাদেশের চাহিদার প্রায় চারগুণ। কিন্তু কথা হলো, আমাদের এত বড় ইয়াংজি নদীও নেই যে আমরা সেই স্বপ্ন দেখব। আর আমাদের দেশে বাতাসের প্রবলতাও সেই রকম না যে আমরা বাতাস থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারব। কিন্তু আমাদের আছে সাগর, আমাদের আছে সূর্যের আলো। এই দুটিকে ব্যহবার করেই আমরা স্বয়ং সম্পূর্ণ হতে পারি বিদ্যুতে।
উপরের সব কয়টি পদ্ধতিরই মূলমন্ত্র এক। তা হলো, জ্বালানি পুড়িয়ে স্টিম তৈরি হয়। আর এই স্টিমের শক্তি দিয়ে টারবাইন ঘুরানো হয়। আর নদীতে বাঁধের ক্ষেত্রেও ঘটনা একই
। নদীতে বাঁধ দিয়ে পানির উচ্চতা বাড়ানো হয়। পরে এই পানি সজোরে নিচের দিকে ফেলা হয় টারবাইনের পাখার ওপর। এতে করে পাখা ঘুরানো হয়। তাহলে মূল মন্ত্রটা সেই একই, টারবাইন ঘুরানো। আর টারবাইন ঘুরালেই বিদ্যুৎ তৈরি হয়।
কোনো সমস্যা ছিল না, যদি ঠিকঠাক মতো উপরের পদ্ধতিগুলো বছরের পর বছর চলতে থাকত। সমস্যা হলো, জ্বালানি তেল, গ্যাস, কয়লা সব ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই শেষটা খুব দ্রুতই হচ্ছে। হয়ত কয়েক বছর পরেই এই জ্বালানিগুলো শেষ হয়ে যাবে। তাহলে বিদ্যুৎটা আসবে কোথা থেকে? আর বিদ্যুৎ ছাড়া দুনিয়া চলবেই বা কী করে!
আসলে এই চিন্তাগুলো বিজ্ঞানীদের মাথায় এসেছে অনেক আগেই। তখন থেকেই তারা ভাবা শুরু করে দিয়ে ছিলেন, কিভাবে বিদ্যুতের একটা চিরস্থায়ী ব্যবস্থা করা যায়। এই ভাবনাটার শুরুই হয়েছিল তা যেন রিনিউএবল হয়। অর্থাৎ তেল, গ্যাসের মতো যেন তা ফুরিয়ে না যায়।
আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তির উৎস হলো, সূর্য। বিজ্ঞানীরা ভাবা শুরু করলেন এই সূর্য থেকে কিভাবে শক্তি নিয়ে তাকে বিদ্যুৎ তৈরিতে কাজে লাগানো যায়। আর সূর্যের শক্তিকে আপাতত রিনিউএবল বলা যায়। কারণ সূর্যের জ্বালানি শেষ হতে অন্তত আরো ৫০০ কোটি বছর লাগবে।
প্রথমেই মাথায় আসল ফটোভোল্টিকের আইডিয়া। সেমিকন্ডাক্টরের ওপর আলো পড়লে তা থেকে ইলেক্ট্রন ফ্রি হয়ে যায়। আর ফ্রি ইলেক্ট্রনের প্রবাহ থেকে ডি.সি. কারেন্ট তৈরি করা সম্ভব। অতএব, তৈরি হয়ে গেল আলো থেকে বিদ্যুৎ তৈরির কাজ।
আরেকটা আইডিয়া হলো, সূর্যের তাপকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা। এই আইডিয়াটা আসলে নতুন কিছু না। আমরা তেল, গ্যাস, জ্বালানি জ্বালিয়ে যেভাবে তাপ তৈরি করতাম, সেই তাপ দিয়ে স্টিম তৈরি করে সেই স্টিম দিয়ে টারবাইন ঘুরাতম। সেই একই আইডিয়া। এই পদ্ধতির নাম হলো সিএসপি অর্থাৎ কনসেন্ট্রেটেড সোলার পাওয়ার। বিশাল আকারের অবতল আয়নার লেন্স লাগিয়ে তার ফোকাসটা ফালানো হয় নির্দিষ্ট একটা স্থানে। অনেকগুলো আয়নার ফোকাস যখন একটা জায়গায় পড়ে তখন সেখানে প্রচণ্ড তাপ তৈরি হয়। সেই তাপ দিয়ে বাষ্প তৈরি করে টারবাইন ঘুরিয়ে তৈরি করা হয় বিদ্যুৎ। অবশ্য এখানেও মজার একটা আইডিয়া আছে। রাতে যখন সূর্য থাকবে না তখন কী হবে? তাই আরেকটা আইডিয়া তৈরি হলো, তার নাম থারমাল ব্যাটারি।
এই থারমাল ব্যাটারি আসলে তেমন কিছুই না। একটা বিশাল ট্যাংকে লবণের (সোডিয়াম+পটাশিয়াম নাইট্রেড) মিশ্রণ রাখা হয়। এই ট্যাংকের সংযোগ করে দেয়া হয় তাপ তৈরির সেই ফোকাল পয়েনেটর সঙ্গে। এতে করে থারমাল ট্যাংকের তাপমাত্রা প্রায় ৫৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায়। আর এই তাপমাত্রা প্রায় ১৫ ঘণ্টা বজায় থাকে। অতএব সূর্য না থাকলেও জমাকৃত তাপমাত্রা দিয়ে পরে টারবাইন ঘুরানো যায়। আর টারবাইন ঘুরানো মানেইতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়া!
তারপর আরেকটা রিনিউএবল আইডিয়া হলো, নদীর পানিতে বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা। এখানে চিন্তাটা খুবই সরল। সাধারণত পাহাড় ঘেরা নদীকে প্রথমে সিলেক্ট করা হয়। তারপর নদীর একটা পয়েন্টে দেয়া হয় বাঁধ। এতে করে নদীর পানি ফুলতে থাকে। আর যেহেতু নদীটা থাকে পাহাড়ে ঘেরা তাই এই পানি আশপাশে চলেও যেতে পারে না। এই পানির বাঁধের বিদ্যুৎ কিভাবে রিনিউএবল হলো। উত্তরটা খুবই সহজ। সূর্যের তাপে পানি বাষ্পিভূত হয়। মেঘ তৈরি হয়। এই মেঘ বৃষ্টি হয়েই গড়িয়ে পড়ে নদীতে। তাই যে পানিটা আমরা বাঁধ দিয়ে আটকে রেখেছিলাম, তা পরে ছেড়ে দিলাম টারবাইন ঘুরানোর জন্য। সেই পানি আবার উজানে চলে যাবে বাষ্পিভূত হয়ে বৃষ্টির রূপ ধরে। সেই পানে আবার এসে বাঁধে জমা হবে। আর এই প্রসেস চলতে থাকবে, সূর্য যতদিন এমন করে তাপ দিয়ে যাবে।
আরেকটা রিনিউএবল এনার্জি হলো বাতাস। উড়োজাহাজের চাইতেও বড় বড় পাখা বানিয়ে তা টাউয়ারে জুড়ে দেয়া হয়। বাতাসে এই পাখা ঘুরায়। আর পাখার পেছনে থাকে বিশাল আকারের টারবাইন। আর আমরা ইতিমধ্যেই জেনে গেছি। টারবাইন ঘুরলেই তৈরি হয় বিদ্যুৎ।
এখন কথা হলো, এই বাতাস কিভাবে রিনিউএবল হলো? প্রথমেই আসি, বাতাসের প্রবাহ কেন তৈরি হয়। বাতাস আসলে নাইট্রোজনে, অক্সিজেন ইত্যাদি গ্যাসের মিশ্রণ। এখন গ্যাসে তাপ পড়লে কী হয়? প্রসারিত হয়। অর্থাৎ গ্যাস হালকা হয়ে যায়। তার মানে যেখানে সূর্যের তাপ বেশি পড়ে সেখানের গ্যাসটা হালকা হতে থাকে। এই গ্যাস আশপাশে ছোটাছুটি করে তুলনামূলক কম তাপের জায়গায় চলে যায়। আর এই যাওয়ার প্রসেসটাকেই আমরা দেখি কী সুন্দর বাতাস বইছে। পৃথিবীর সব জায়গার তাপমাত্রা যদি সমান হতো, তাহলে বাতাস বইত না।
হঠাৎ করেই কোনো জায়গার তাপমাত্রায় আমূল পরিবর্তন হলে সেখানে গ্যাসেরও মারাত্মক সংকোচন, প্রসারণ হয়। এতে করে আশপাশের বাতাসে তার মারাত্মক প্রভাব পড়ে। এই ঘটনাটাই ঝড়। যাই হোক, এই বাতাস বহার মূল কারণও সূয। আর বাতাস বহার মাঝপথে আমরা টারবাইন বসিয়ে তৈরি করতে পারি বিদ্যুৎ।
ইদানিং কালে আরেকটা কালজয়ী বুদ্ধি এসেছে বিজ্ঞানীদের মাথায়। তার নাম হলো, সি-স্নেক বা পেলামিস। রেলগাড়ির মতো বড় একটা যন্ত্র ফেলে রাখা হয় সাগরে। আর প্রত্যেকটা বগির মাঝে লাগানো থাকে বিশাল আকারের পিস্টন। সাগরের ঢেউয়ের কারণে যখন এই যন্ত্রটা দুলতে থাকে তখন তার মাঝের পিস্টনেও দোল খেতে থাকে। আর সেই দোলকে কাজে লাগিয়ে ঘুরানো হয় টারবাইন। আর টারবাইন ঘুরানো মানেই তো বিদ্যুৎ!
রিনিউএবল বিদ্যুৎ নিয়ে মোটামুটি আলোচনা করা গেল। এবার বাংলাদেশে এর সম্ভাবনা নিয়ে দুটা কথা না বল্লেই না।
বাংলাদেশে একটা পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে বহু আগে থেকেই। খুবই সামান্য পরিমাণ বিদ্যুৎ আমরা পাই। ২৩০ মেগাওয়াটের মতো। চায়নায় একটা মাত্র পানির বাঁধ (থ্রি গর্জেজ ড্যাম) দিয়ে তার তৈরি করছে ২২.৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ। যা আমাদের সমগ্র বাংলাদেশের চাহিদার প্রায় চারগুণ। কিন্তু কথা হলো, আমাদের এত বড় ইয়াংজি নদীও নেই যে আমরা সেই স্বপ্ন দেখব। আর আমাদের দেশে বাতাসের প্রবলতাও সেই রকম না যে আমরা বাতাস থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারব। কিন্তু আমাদের আছে সাগর, আমাদের আছে সূর্যের আলো। এই দুটিকে ব্যহবার করেই আমরা স্বয়ং সম্পূর্ণ হতে পারি বিদ্যুতে।
No comments:
Post a Comment