**************************************************************************************************************************************************** ****************************************************************************************************************************************************

মাহে রমানের গুরুত্ব পুর্ণ বিষয় ফিতরা এবং ফিতরা দেওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নিন এবং সঠিক নিয়মে ফিতরা আদায় করুন



টাকা দিয়ে ফিতরা চলে না, চলবে না (গ্রহণীয় হবে না!!!)
রাসুল (সাঃ) এর যুগেও অর্থ/টাকা/পয়সা ছিল, কিন্তু সে সময় টাকা না দিয়ে খাদ্য দ্রব্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হত এবং খাদ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা ফরজ করা হয়েছে...।
হাদিসের কলম থেকে----
১। সহীহুল বুখারী :: হাদিস : ১৫১০
মু’আয ইবন ফাযালা (রাযিঃ)... আবূ সা’ঈদ খূদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

আমরা নবী (ﷺ)-এর যুগে ঈদের দিন এক সা’ পরিমাণ খাদ্য সাদকাতুল ফিতর হিসাবে আদায় করতাম।
আবূ সা’ঈদ (রাযিঃ) বলেন, আমাদের খাদ্যদ্রব্য ছিল যব, কিসমিস, পনির ও খেজুর।
***বিঃদ্রঃ এক ‘সা’ = ২.৫ কে.জি (সা হল- খাদ্য ওজন পরিমাপক পাত্র)
( বুখারীঃ তা.পা ১৫০৫) ( আ.প্র. ১৪১৩, ই.ফা. ১৪১৯)
( বুখারীঃ তা.পা ১৫০৩) ( আ.প্র. ১৪০৭, ই.ফা. ১৪১৩)
( বুখারীঃ তা.পা ১৫০৬, ১৫০৮, ১৫১০, মুসলিম ১২/৪, হা ৯৮৫, আহমাদ ১১৯৩২) ( আ.প্র. ১৪০৮, ই.ফা. ১৪১৪)
২। ঈদুল ফিতরের সলাতের জন্য বের হবার পূর্বেই ফিতরা বন্টন শেষ করতে হবে। ইবনু আব্বাস হতে বর্ণিত যাকাতুল ফিতর যে সলাতের পূর্বে আদায় করবে সেটা মাকবূল বা গ্রহণযোগ্য । আর যে সলাতের পরে আদায় করবে সেটি সাধারণ সদাকাহর মত।
(আবূ দাঊদ হা: ১৬০৯, ইবনু মাজাহ হা: ১৮২৭, দারাকুতনী, হাকিম, বাইহাকী, বুলুগুল মারাম - সদকাতুল ফিতর অধ্যায়।
টাকা দিয়ে চলবে না---- কারণ=
ধরুন ফিতরা ধার্য করা হল ৭৫টাকা (সম্ভবত এরুপ ধার্য করা হয়েছে)
আপনি চাল খান ৩৫ টাকার সে হিসেবে ২.৫ কেজি চালের মূল্য ৩৫x২.৫= ৮৭.৫ টাকা (আপনার ফিতরা হাদীস অনুযায়ী ৮৭.৫টাকা)
আরেক ভাই চাল খায় ৪৫টাকার সে হিসেবে ২.৫কেজি চালের মূল্য ৪৫x২.৫ = ১১২.৫টাকা(ভাইয়ের ফিতরা হাদীস অনুযায়ী ১১২.৫টাকা)
এখানে, আপনার কাছ থেকে (টাকা হিসেবে) সুবিধা করে ৮৭.৫৳ এর জায়গায় মাত্র ৭৫ টাকা ধার্য করা হল।
এক্ষেত্রে আপনি ফিতরা প্রাপ্ত ব্যক্তিকে ঠকাচ্ছেন (৮৭.৫-৭৫৳)= ১২.৫ ৳ (এজন্য আল্লাহ আপনাকে পাকরাও করবেন না???)
আর, অপর ভাইয়ের কাছ থেকে (টাকা হিসেবে) সুবিধা করে ১১২.৫৳ এর জায়গায় মাত্র ৭৫ টাকা ধার্য করা হল।    mahe ramzan
এক্ষেত্রে, সেই ভাই ফিতরা প্রাপ্ত ব্যক্তিকে ঠকাচ্ছেন (১১২.৫-৭৫৳)= ৩৭.৫৳ (এজন্য আল্লাহ তাকে পাকরাও করবেন না???)
এবং, (আমি চাল খাই ২৮টাকার) আমার কাছ থেকে (টাকা হিসেবে) ফিতরা নিচ্ছে ৭০ টাকার জায়গায় ৭৫ টাকা
এক্ষেত্রে, আমার কাছ থেকে বেশি নেওয়া হচ্ছে (৭৫-৭০৳)= ৫৳ (এজন্য আল্লাহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে পাকরাও করবেন না???)
ফিতরা দিতে হবে-
১। আপনি যে খাদ্য খান (যেমন- চাল) তা থেকে ফিতরা দিতে হবে
২। ফিতরা ১ সা= ২.৫ কেজি (খাদ্য= চাল) প্রতি এক জনের জন্য
৩। পরিবারের সদস্য সংখ্যা (যেমন-) ৪ জন, তাহলে যে খাদ্য (চাল) খান তার ২.৫কেজি হিসেবে মোট ১০কেজি চাল ফিতরা দিতে হবে।
৪। টাকা দিলে ফিতরা হবে না! হবে না!! হবে না!!!
***রাসুল (সাঃ) টাকা দিয়ে ফিতরা দেন নি- আপনি আবার কে যে বাংলাদেশের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কথা শুনে টাকা দিয়ে ফিতরা দিবেন???****

সুত্র এখানে

No comments:

Post a Comment